মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

খুরুশকুলে ইয়াবা ব্যবসায়িদের দৌরাত্ম বেড়েই চলেছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

শহরের পার্শবর্তী এলাকা এবং চারিদিকে নদী পরিবেষ্টিত হওয়ায় খুরুশকুলে বেড়েই চলেছে ইয়াবা কারবারীদের সংখ্যা। কয়েক বছর আগে থেকে করা ইয়াবা ব্যবসায়িদের কোন শাস্তি না হওয়া,হঠাৎ বিপুল টাকা মালিক বনে যাওয়া,আবার ইয়াবা সহ গ্রেফতার হলে জামিনে ফিরে এসে সমাজে প্রতিষ্টিত হওয়া যুবকদের দেখে নতুন করে অনেকে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। খুরুশকুলের বিভিন্ন পাড়া মহল্লার নেতৃবৃন্ধদের দাবী প্রতিটি পাড়া মহল্লায় কয়েক বছর আগে ২/৩ জন ইয়াবা ব্যবসায়ি থাকলেও বর্তমানে তা বেড়ে দাড়িয়েছে অন্তত ১০/১৫ জনে। এর মধ্যে অনেকে গোপনে থেকে চালাচ্ছে এই মরণ নেশার কারবার। কিন্তু তারা সবাই সমাজিক এবং রাজনৈতিক ভাবে প্রতিষ্টিত।
স্থানীয়দের দাবী,ফকির পাড়া এলাকায় মোস্তাক পিতা আবদু রহিম সে স্থানীয় ক্লাব ঘরের সামনে ব্যাপক হারে পাইকারী এবং খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করছে ইয়াবা। একই ভাবে কানছুনি নামের এক মহিলার নাম ব্যাপক ভাবে আলোচনায় আসছে ইয়াবা কারবারী হিসাবে ইয়াবা নিয়ে কয়েক বার গ্রেফতার হলে সহজে জামিনে বেরিয়ে এসে আবার ফিরে যায় পুরানো পেশায় শুধু কানছুনি নয় তার পুরু পরিবারকে ইয়াবা ব্যবসায়ি হিসাবে এক নামে চিনে পুুরু এলাকার মানুষ। তার স্বামী জিয়াউর রহমানও ইয়াবা সহ আটক হয়েছিল জামিনে এসে এখন টাইম বাজার এলাকায় চার দোকান দিয়ে ব্যবসার আড়ালে করছে ইয়াবা ব্যবসা। কানছুনির ছেলে কালু সে ও গ্রেফতার হয়েছিল তবে এখন পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করে ইয়াবা।
মনুপাড়া এলাকায় এক নামে ইয়াবা ব্যবসায়ি এলাকার মানুষ চিনে জহুর আহামদের ছেলে মামুন নামের এক যুবককে সে এক সময় মালয়েশিয়া প্রবাসী থাকলে পরে বিপুল পরিমান ইয়াবা সহ আটক হয়। এখন জামিনে এসে তার ১০/১৫ জন অনুসারী নিয়ে চালাচ্ছে ইয়াবা ব্যবসা। তার বোন আনোয়ারাকে এলাকার মানুষ ইয়াবা ব্যবসায়ি হিসাবে চিনে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মনুপাড়ার একজন সমাজপতি জানান,একবার স্থানীয় মসজিদেও তাদের ইয়াবা ব্যবসা বন্ধের বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। এছাড়া মনুপাড়া এলাকার গিয়াস উদ্দিন ও ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত বলে জানা গেছে। এদিকে পেচারঘোনা এলাকায় গিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সাথে আলাপ করতেই তারা বাচা মিয়ার ছেলে আজিজুল হকের নাম বলেন অপকটে এবং তার স্ত্রী সহ মিলে আরো কয়েকজন মরণ নেশা ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত বলে জানান তারা। মোহাম্মদ আলী নামের এক যুবককে সবাই ইয়াবা ব্যবসায়ি হিসাবেই চিনে। এলাকার তার ব্যাপারে বেশির ভাগ মানুষেরই বিরুপ মন্তব্য আছে। এছাড়া স্থানীয় আলী আকবরের ছেলে নুরুল হুদা,মোহাম্মদ শফি মেম্বারের ছেলে মোহাম্মদ আলী,আমির সোলতানের ছেলে আবদুল্লাহ এবং রাসেদ তারা বর্তমানে সৌদি আরবে চলে গেছে বলে জানা গেছে, এদিকে ডেইল পাড়া এলাকার কয়েক জন স্থানীয়দর আলাপ করে জানা গেছে এলাকা মদ ইয়াবার বিস্তার ঘটিয়েছে নুরু মিয়ার ছেলে মুবিন প্রকাশ মুবিন সওদাগর,আগেও ইয়াবা সহ গ্রেফতার হয়েছিল গোলামুর রহমানের ছেলে জিয়াউল হক বর্তমানেও জামিনে বের হয়ে প্রকাশ্য ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত বলে জানা গেছে,খুইল্লা মিয়া প্রকাশ কাজলের ছেলে জানে আলম ( তার নামে মাদক মামলাও আছে) এছাড়া মনিরুল হকের ছেলে ফিরোজ আহামদ শাহী সহ বেশ কয়েকজন খুচরা ইয়াবা কারবারী আছে বলে জানা গেছে। এছাড়া খুরুশকুল শীলপাড়া এলাকায় কবিতা শীল নামের এক মহিলা বেশ কয়েক বছর ধরে ইয়াবা ব্যবসা করছে বলে জানান স্থানীয়রা। তাকে ইয়াবা সরবরাহ করে অনেকে এর মধ্যে ডেইল পাড়ার শামসু মেম্বারের ছেলে রহমত উল্লাহ অন্যতম।
তেতৈয়া এলাকার ইয়াবা ব্যবসায়ি ইমতিয়াজ সে আগেও ইয়াবা সহ আটক হয়েছিল। বর্তমানে এলাকায় তার অন্তত ২০/৩০ জনের সিন্ডিকেট রয়েছে। রবিউল হক পিতা মনিউল হক তার ও রয়েছে সিন্ডিকেট বর্তমানে তার কাছের মানুষ টেকনাফ সাবরাং এলাকা থেকে আসা যুবক সাইফুল তার মাধ্যমে রবিউলের ইয়াবা জগতে প্রবেশ বলে জানান এলাকাবাসী। বাবু পিতা ফয়েজ।মাহাদু পিতা আবু তৈয়ব,জানে আলম পিতা ফজিউর রহমান,জায়েদ দক্ষিণপাড়া। এছাড়া তেতৈয়া এলাকার গুইল্লাবাপের পাড়ায় আরফা বেগম নামের এক মহিলা ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত বলে জানা গেছে তার স্বামীর নাম সুলতান আহামত আরফা মূলত তার মেয়ের জামাই সৈয়দ নুরের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ইয়াবা আনে। তার মেয়ের জামাই প্রৃকত রোহিঙ্গা বলেও জানান এলাকাবাসী।
মেহেদী পাড়া এলাকার নাছির। কুলিয়াপাড়ার অন্যতম ইয়াবা ব্যবসায়ি শামসুল আলমের ছেলে জসিম,নবাব মিয়া সহ তার আরেক ভাই। বর্তমানে ইয়াবার টাকায় করেছে আলিশান বাড়ি। এলাকায় প্রকাশ্য খুচরা ইয়াবা ব্যবসা করে পরিবারের মহিলা সদস্যরা। এছাড়া ২ লাখ ইয়াবা সহ আটক হওয়া ফজল করিমের ছেলে ফিরোজ এবং সুলতান মাঝির ছেলে মোস্তাক, জেল ফেরত শামসুর ছেলে আবু তাহের,শেখ আবদুল্লাহ সহ বেশ কয়েকজন তরুন ইয়াবা ব্যবসায়ির হাতে জিম্মি পুরুএলাকা। তাদের রয়েছে অন্তত ২০/৩০ জনের একটি কিশোর গ্যাং। এদিকে রাস্তার পাড়া,ফকিরপাড়াএলাকা সহ বিভিন্ন এলাকা ভিত্তিক ইয়াবা ব্যবসায়ি রয়েছেবলে জানান স্থানীয়রা। এ ব্যপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে জানতে চাইলেও তারা কেউ মুখ খুলতে নারাজ। তবে কক্সবাজার পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন,মাদক ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান সব সময় অব্যাহত আছে। খুরুশকুলের বিষয়ে নজরদারী বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *