মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকীঃ
পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে সেন্টমার্টিনগামী তিন নৌ যানকে জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে সেন্টমার্টিন জেটিঘাটে এ অভিযান পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নওরীন হক।
অভিযানকালে টেকনাফ -সেন্টমার্টিন নৌ রুটে চলাচলকারী পর্যটকবাহী লঞ্চ এমভি পরিজাত, এমভি ফারহান ২ ও বে ক্রুজ ইন্টারন্যাশনালকে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেন সেন্টমার্টিনে দায়িত্বরত পরিবেশ অধিদফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওরীন হক।
ইতোপূর্বে ঢাকা সদরঘাট থেকে নদীপথের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী লঞ্চ এমভি পারিজাত, এমভি ফারহান ও বে-ক্রুজ ইন্টারন্যাশনাল কিছুদিন ধরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন সমুদ্রপথে চলাচল করে আসছিল।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওরীন হক বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে চলাচলকারী এমভি পারিজাত, এমভি ফারহান ও বে-ক্রুজ ইন্টারন্যাশনাল সেন্টমার্টিন জেটিঘাটে নোঙ্গররত ছিল। এক পর্যায়ে ভ্রম্যমাণ আদালতের কাছে খবর আসে ওই লঞ্চ তিনটির রান্নাঘর থেকে ময়লা-আবর্জনা সাগরে ফেলা হচ্ছে। এ খবরে ভ্রাম্যমাণ আদালত দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান চালায়। অভিযানে পরিবেশ-প্রতিবেশ সুরক্ষা ও সংকটাপন্ন এলাকা ২০১৬ এর বিধিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে ওই জাহাজ তিনটিকে জরিমানা করা হয়। প্রতিটি জাহাজকে ২০ হাজার করে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও বলেন, ‘অভিযুক্ত নৌযানগুলোর কর্তৃপক্ষকে ভবিষ্যতে পরিবেশ আইন মানার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। আগামীতে তারা যদি আবারও আইন লঙ্ঘন করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখাসহ সংশ্লিষ্ট বিধি মতে আরও কঠিন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সেন্টমার্টিনে পরিবেশ ও প্রতিবেশ সুরক্ষায় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সুপারিশকৃত ১৩ দফা বাস্তবায়নে প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলে জানান নওরীন হক।
উল্লেখ্য, ঢাকা সদরঘাট থেকে আভ্যন্তরীন নদীপথের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচলকারী ফিটনেসবিহীন লক্কর ঝক্কর লঞ্চ এনে টেকনাফ – সেন্টমার্টিন সমুদ্র পথে চালাচ্ছে একটি সিন্ডিকেট।
দেড় দশকেরও বেশী সময় ধরে প্রতিবছর পর্যটন মৌসূমে নদীপথের এসব লঞ্চ দিয়ে সেন্টমার্টিন সমুদ্রপথে পর্যটক পরিবহন করছে তারা।
এসব লঞ্চকে “জাহাজ” বলে পর্যটকদের সাথে প্রতারণার অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
Related