মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী. টেকনাফ:
নাফ নদীর সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ৩.১৭০ কেজি আইস উদ্ধার করেছে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ২ বিজিবি সদস্যরা। ২৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা বিওপি’র সামান্য উত্তরে ওয়াবরাং পোষ্টের পার্শ্বে নাফ নদী তীরে অভিযান চালিয়ে এসব উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া আইস এর মূল্য ১৫ কোটি ৮৫ লক্ষ (পনেরো কোটি পঁচাশি লক্ষ ) টাকা বলে জানান বিজিবি।
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ( ২ বিজিবি ) সুত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ( ২ বিজিবি ) এর অধীনস্থ হ্নীলা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম -১৪ হতে আনুমানিক ৩০০ মিটার উত্তরে ওয়াবরাং পোষ্টের পার্শ্বে নাফ নদী দিয়ে মিয়ানমার থেকে মাদকের একটি বড় চালান ঢুকতে পারে বাংলাদেশে । উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ( ২ বিজিবি ) এর ব্যাটালিয়ন সদর এর একটি বিশেষ টহলদল বেড়িবাঁধে আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে ।
শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১ টার দিকে সন্দেহভাজন দু”জন চোরাকারবারীকে নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসতে দেখে । টহলদল উক্ত ব্যক্তিদেরকে দেখা মাত্রই চ্যালেঞ্জ করলে খুব দ্রুত তাদের দিকে অগ্রসর হয় । চোরাকারবারীরা বিজিবি’র চ্যালেঞ্জকে উপেক্ষা করে মিয়ানমারের দিকে চলে যেতে থাকলে , বিজিবি টহলদল উক্ত সন্দেহভাজন চোরাকারবারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে এবং তাদেরকে থামানোর চেষ্টা করে । বিজিবি’র গুলিতে চোরাকারবারীগণ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে তাদের সাথে থাকা একটি বস্তা ফেলে রাতের অন্ধকারে নাফ নদীতে ডুব দিয়ে সাঁতার কেটে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায় । পরবর্তীতে টহলদল বর্ণিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া বস্তাটি উদ্ধার করে । উদ্ধারকৃত বস্তার ভিতর হতে ৩.১৭০ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস জব্দ করতে সক্ষম হয় । যার মূল্য ১৫ কোটি ৮৫ লক্ষ ( পনেরো কোটি পঁচাশি লক্ষ ) টাকা।
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ( ২ বিজিবি ) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার জানান, অজ্ঞাত আসামীদেরকে আটকের জন্য উক্ত এলাকা ও পার্শ্ববর্তী স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হলেও তাদেরকে আটক করা সম্ভব হয়নি । তবে চোরাকারবারীদেরকে সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে ।
তিনি আরো বলেন, জব্দকৃত ক্রিস্টাল মেথ আইস বহন এবং পাচারের দায়ে অজ্ঞাত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা দেয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।