শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

ডেন্টাল চিকিৎসার নামে চলছে প্রতারণা রোহিঙ্গা খায়রুলের গলাকাটা ব্যানিজ্য

বিশেষ প্রতিনিধি:
কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় কক্সবাজার টেকনাফে উপজেলার প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষের মুখ ও দাঁতের স্বাস্থ্য সুরক্ষা হুমকির মুখে পড়েছে।ডিপ্লোমাধারী টেকনিশিয়ান ছাড়াও কিছু স্বশিক্ষিত ডাক্তার সেজে রোগীর চিকিৎসা দিয়ে আসছে। ফলে একদিকে মানুষ না জেনে সেবার বদলে কৌশলে প্রতারিত হচ্ছে। অপরদিকে অপচিকিৎসার ফলে রোগীরা হেপাটাইটিসসহ এইডসের মতো জটিল রোগে হুমকিতে পড়ছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, দলবাজি, স্বজনপ্রীতি,আইনের অপপ্রয়োগ ও কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে উখিয়া টেকনাফে বেআইনিভাবে যত্রতত্র ডেন্টাল কেয়ার গড়ে উঠেছে। এভাবে গড়ে ওঠেছে৷ টেকনাফ পুরাতন বাস স্টেশনে আবু সিদ্দিক মার্কেট দ্বিতীয় তলায় রবী ডেন্টাল কেয়ার উখিয়া বখতিয়ার মার্কেটে দ্বিতীয় তলায় খাইরুল ডেন্টাল কেয়ার নিলা খাইরুল বসর ডেন্টাল কেয়ার নামে কেয়ার রয়েছে রোহিঙ্গা খায়রুলের নামে তাছাড়াও এসব ডেন্টাল কেয়ারের নামধারী কতিপয় ডাক্তাররা চিকিৎসার নিয়মনীতি ও আইনের তোয়াক্কা না করে চোখ ধাঁধানো আকর্ষণীয় ব্যানার ও সাইনবোর্ড টাঙিয়ে তারা ডাক্তার না হয়েও নামের আগে ডাক্তার ও নামের পরে সার্জন, বিশেষজ্ঞ, প্রযুক্তিবিদ, প্রশিক্ষকসহ বিভিন্ন অভিজ্ঞতার মিথ্যা পদবি লিখে প্রকাশ্যে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। এভাবে গত দুই যুগ ধরে মানুষকে অপচিকিৎসা দিয়ে এলেও এসব ডেন্টাল ক্লিনিকের বিরুদ্ধে কোনো অভিযান নেই কর্তৃপক্ষের।
সরজমিনে জানা যায় এসব ডেন্টাল ক্লিনিকের গুলোতে মেডিকের বিশেষজ্ঞ ডেন্টাল সার্জনের নাম সাইনবোর্ড থাকলেও তার তার অস্তিত্ব নেই চেম্বারে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কোন প্রশিক্ষণ ছাড়াই রোহিঙ্গা খায়রুল নিজেকে নামধারী ডাক্তার বলে পরিচয় দেন জানা যায়। বিধিতে বলা আছে ডিপ্লোমা পাসধারী টেকনিশিয়ানরা সরাসরি চেম্বার খুলে জটিল রোগের কোনো চিকিৎসা দিতে পারবে না। দাঁত উঠানো, দাঁত বাঁধানো, রুট ক্যানেল, জিআই ফিলিং, মারকারি ফিলিং, লাইট কিউরফিলিং, ক্যাপ, ব্রিজ এবং আঁকাবাঁকা দাঁত সোজা করার মতো স্পর্শকাতর চিকিৎসা দেয়ার কোনো অনুমতি নেই টেকনিশিয়ানদের। তারা শুধুমাত্র বড়দের দাঁত ওয়াস করতে পারবে। ছোট বাচ্চাদের দুধ দাঁত উঠাতে পারবে এবং দুধ দাঁতের ফিলিং অর্থাৎ গর্ত ভরাট করতে পারবে। সেইসঙ্গে ওয়াল হাউজিং অর্থাৎ রোগীকে পরামর্শ ও সহযোগিতা দিতে পারবে। টেকনিশিয়ানরা এই ৪টি চিকিৎসা দেয়া ছাড়া অন্য কোনো চিকিৎসা দেয়ার অনুমতি নেই তাদের। কিন্তু টেকনাফ উপজেলায় আইনের প্রয়োগ না থাকায় কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে কিছু অসাধু লোক অভিজ্ঞ জ্ঞান ও শিক্ষা ছাড়াই নিজেকে বড় ডাক্তার দাবি করে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা দিয়ে আসছে। এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মাহবুবুর রহমান দৈনিক কক্সবাজার একাত্তর পত্রিকায়কে বলেন অদক্ষ অর্ধশিক্ষিত ভুয়া ডেন্টাল কথিত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হবে,স্থানীয় লোকজন জানান অদক্ষ ও ভুয়া ডাক্তার নামধারী রোহিঙ্গা খায়রুল কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।কোনো ধরনের চিকিৎসা জ্ঞান ও শিক্ষা ছাড়াই তারা শুধু ডেন্টাল ম্যাটেরিয়াল ও ওষুধ, হাইপাওয়ার এন্টিবায়োটিকের জোরে তারা রোগীদের চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করে যাচ্ছে।এসব ভুয়া চিকিৎসকদের আইনের আওতায় আনা দাবী সচেতন মহলের।রোহিঙ্গা থেকে কি ভাবে খাইরুল জাতীয় পরিচয় পত্র পেলো এমন প্রশ্নের ঘোরপ্যাঁচ স্থানীয়দের মনে, কঠোর নিরাপত্তা ও নির্দেশনার পরও রোহিঙ্গাদের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পৌঁছে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম অঞ্চল ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিদ্যমান ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এখন নিবন্ধিত রোহিঙ্গারাও ভোটার হয়ে যাচ্ছেন। সারাদেশে ইসির সতর্কতাও কাজে আসেনি। কীভাবে এটা হচ্ছে সেটা নিয়ে উদ্বিগ্ন জেলার সংশ্লিষ্টরা।
সচেতন মহলের দাবী, রাষ্ট্র বা পরিচয়হীন রোহিঙ্গারা এনআইডি নেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেই। কিন্তু তাদের কারা, কেন, কীভাবে এটা সরবরাহ করছে সেটা খুঁজে বের করতে হবে।এ নিয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে দফায় দফায় তদন্তে করা হলে থেমে নেই দেশদ্রোহিতা কাজে লিপ্ত সিন্ডিকেট কয়েকজন জনপ্রতি। রোহিঙ্গাদের ভোটার করার জন্য জন্মসনদ ইস্যুকারী, মা-বাবা পরিচয়ধারী এবং নাগরিক সনদ প্রদানকারীদেরকেই দুষছে ইসি। বলছে, জনপ্রতিনিধিদের কারণেই রোহিঙ্গারা এনআইডি পেয়ে যাচ্ছে। আর তা দিয়ে ভোটার হওয়ার চেষ্টা করছে তারা। জানা গেছে, জনপ্রতিনিধি ও ইসির একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী যোগসাজশ করে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের ভোটার বানাচ্ছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও ইসির প্রতিবেদনেও এ তথ্য উঠে আসে,সম্প্রতি সময়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের প্রবেশ করে রোহিঙ্গা খায়রুল বসর ও তার মা-বাবাসহ সপরিবারে, বিভিন্ন তথ্য সূত্র আরো জানা যায় খাইরুল বিভন্ন কৌশলে শহরে সমিতির পাড়া এলাকায় চলে আসলেও মা- বাবা রয়ে যায় লেদা ৪নংক্যাম্প বিব্লকে তার মা-বাবা,তবে কৌশলী খাইরুল বসর তার জাতীয় পরিচয় পত্রে বাবা মৃত বলে উল্লেখ করেন মিথ্যা আশ্রয় নিয়ে ইয়াবা হুন্ডিসহ নানান অপরাধ জড়িত,টেকনাফ,হোয়াইয়াক্যং উখিয়াসহ নামে বেনামে রয়েছে তার কয়েকটি ডেন্টাল চেম্বার।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে আসে কক্সবাজার টেকনাফ হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়ন পরিষদ ততক্ষণিক দায়িত্বে থাকা ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা মাওলানা নুর মোহাম্মদ আলেয়ারী রোহিঙ্গা খাইরুল বশরকে ভোটার হতে জন্মসনদ দিয়ে সহযোগিতা করেন এবং ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বসরে জন্মসনদে চেয়ারম্যান মাওলানা নুর মোহাম্মদ আনোয়ারী একটি সাক্ষরিত কপি ও পাওয়া ২০১৪সালে ২৬শে জানুয়ারী সনদ ইস্যুর তারিখে এমন ন্যাক্কারজন ঘটনার লিপ্ত হয় যাহা দেশদ্রোহীতার সামিল বলে মন্তব্য করেন সচেতন মহল, এমন ঘটনান লিপ্ত হয় কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর রফিকুল ইসলামও ৫/১১/২০১৪ইং রোহিঙ্গা খাইরুলকে দেওয়া হয় তার সাক্ষরিত চারিত্রিক সনদ, এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার পৌরসভার সাকেক কাউন্সিলর আবু জাফর সিদ্দিকী দৈনিক কক্সবাজার একাত্তরকে বলেন,ভোটার হতে রোহিঙ্গাদের স্থানীয়ভাবে কেউ না কেউ সহযোগিতা করছে যাচ্ছে। বিশেষ করে ভোটার হওয়ার আগে রোহিঙ্গারা কীভাবে অনলাইনে জন্মসনদ এবং চেয়ারম্যান-কাউন্সিলর থেকে নাগরিক সনদ পাচ্ছেন তার তদন্ত জরুরি।জেলায় বিভিন্ন অঞ্চলে রোহিঙ্গা নিজের বাবা-মাও বানিয়ে ভোটার হতে সহযোগিতা করেছেন স্থানীয় কিছু লোকজন। ঘটনাটি ইসি কমিশন সিরিয়াসলি নিলেও তার কার্যক্রম নেই বলে চলে,জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার নেওয়ার দাবী সংশ্লিষ্টদের।
রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয় পত্র বানিয়ে দেয়ার কাজে সহযোগিতারকারী ও জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠুর পদক্ষেপ না নেওয়া বার দেশদ্রোহী কাজে লিপ্ত হচ্ছে এমনটা অভিযোগ স্থানীয়দের, রোহিঙ্গা খাইরুল বসর কিভাবে জাতীয় পরিচয় পেয়েছে সেই বিষয়ে কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিসারের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটির করার দাবী জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা জানা গেছে,টেকনাফ হোয়াইক্যং উপজেলার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিভিন্ন জালিয়াতির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয় পত্র বানিয়ে দেন যা খাইরুল বসরের জন্ম নিবন্ধ নং(১৯৮১২২১৯০৭৯০৫৯০৬৫) এবং এসব জালিয়াতি চক্রের রয়েছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট।
এদের মধ্যে কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম ও অন্যতম। তিনি দেশের প্রচলিত আইন না মেনে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অনেক রোহিঙ্গাকে নিজের পরিচয়ে ভূয়া কাগজপত্র সৃজন করে নিজে শনাক্তকারী হিসেবে জাতীয় পরিচয় পত্র ইস্যু করার কাজে সহযোগিতা করেছেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে।
সরেজমিন হোয়াইক্যং এলাকা ঘুরে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় তথ্য সংগ্রহকারীদের উপর দলীয় প্রভাব বিস্তার করে সীমান্তে অবস্থান করা বেশ কিছু রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশী হিসেবে জাতীয় পরিচয় পত্র করিয়ে দেয়ার জন্য অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়।
আনোয়ার ও রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অহরহ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশী নাগরিকত্ব করার কাজে সংশ্লিষ্টতার সত্যতা মিলেছে তার মধ্যে খাইরুল বসরসহ রয়েছে আরো অনেক রোহিঙ্গার নাম।
তাদের হাত ধরে রোহিঙ্গারা সহজে ভোটার হয়ে গেছে। এভাবে যদি রোহিঙ্গারা ভোটার হতে থাকে, তাহলে একদিন পুরো এলাকা রোহিঙ্গাদের দখলে যাবে বলে মন্তব্য করছেন স্থানীয় প্রবীণ মুরুব্বি সমাজ।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ও পৌর কাউন্সিল রফিকুল ইসলামের ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও ফোনে সংযোগ পাওয়া যায় নি তাই তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ থানায় অফিসার ইনচার্জ বলেন ঘটনার বিষয়ে আমরা তদন্ত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলামকে জানিয়েছি তিনি অনুমতি দিলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।
বিস্তারিত সিরিজ প্রতিবেদনে জানতে চোঁখ রাখুন দৈনিক। কক্সবাজার একাত্তর পত্রিকায়।

ডিসি৭১/এমইউনয়ন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *