বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৫৯ অপরাহ্ন
চকরিয়া সংবাদদাতা:
রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ভুমিদস্যুরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাটি ও বালি লুটের রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছিলো। এসব ভুমিদস্যুদের বেপরোয়া মাটি ও বালি লুটের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষরা এসব ভুমিদস্যুদের বিষয়ে অভিযোগ করে আসলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
অবশেষে বুধবার (২৩ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে বিকাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক সংলগ্ন দাঙ্গাঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়েছে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহাত-উজ জ্জামান এবং কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত।
এসময় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভুমি) রাহাত-উজ জ্জামানের নির্দেশে বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রায় ১০টি সেলু মেশিন ও ১ হাজার ফুট পাইপ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, একশ্রেণীর ভুমিদস্যু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক লাগোয়া দাঙ্গাঘাট এলাকা থেকে সেলু মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলন করে আসছিলো। এতে পার্কের প্রাচীরসহ নানা স্থাপনা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়।
তিনি আরও বলেন, পরে সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহাত-উজ জ্জামানের নেতৃত্বে বনবিভাগ অভিযান চালায়। এসময় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্দেশে ১০টি সেলু মেশিন ও ১ হাজার ফুট পাইপ ভেঙ্গে ঘুড়িয়ে দেয়া হয়।
চকরিয়া সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহাত-উজ জ্জামান জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক সংলগ্ন দাঙ্গাঘাট এলাকায় বেশ কিছু ভুমিদস্যু পাহাড় থেকে বালি উত্তোলন করে আসছিলো। এতে পার্কের সীমানা প্রাচীরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, এমন অভিযোগ পেয়ে বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করি। এসময় বালি উত্তোলনে ব্যবহৃত ১০টি সেলু মেশিন ও ১ হাজার ফুট পাইপ ভেঙ্গে ঘুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।