বিশেষ প্রতিবেদকঃ
টেকনাফের আলোচিত ইয়াবা ডন ও অস্ত্রধারী একাদিক মামলার চার্জশীট ভূক্ত আসামী রাসেল এখনো অধরা অবস্থায় একাদিক মাদক ও অস্ত্র মামলা মাথায় নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে। পুলিশের ভাষ্য তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। রাসেল টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের সিকদার পাড়ার ০৪নং ওয়ার্ডের মাওঃ আব্দুল গফুরের পুত্র। ইয়াবা ও অস্ত্রের প্রভাবে গোটা সাবরাং ইউনিয়নে চলছে তার আধিপাত্য। এলাকায় বহুল আলোচিত রাসেল বাহিনী এবং তার নেতৃত্বে ১৩/১৫ জনের একটি মাদক ও সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে। রাসেলসহ অন্যন্যরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের তালিকাভূক্ত ইয়াবা গড ফাদার এবং একাদিক মামলার চার্জশীট ভূক্ত আসামী। রাসেল অতীতে এলাকায় শাক শবজি ব্যবসায়ী হিসাবে খ্যাত থাকলেও কালের পরিক্রমায় ইয়াবা/মাদকের বদৌলতে বনে যায় অডেল সম্পদের মালিক। তার কালো টাকার পেশি শক্তির আধিপাত্য চলছে, এলাকায়। মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রন এবং অর্থ ও বিত্তের মালিক বনতে গড়ে তুলেছে একটি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনী। ওদের অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না। করলে প্রাণনাশের নানা ধরনের হুমকি ও ধমকি আসে। মাদকের কালো টাকার পেশিশক্তির বলে নিরীহ লোকদের জায়গা জমি দখল করা ওদের নিত্য নৈমিত্তিক কাজ। রাসেলের নেতৃত্বে চলছে রামরাজত্ব। স্থানীয় সরকার ওদের কাছে ধরাশায় বললেই চলে। এ ইয়াবা ডন রাসেল এবং তার গড়া সন্ত্রাসী বাহিনীরা একাদিক মাদক মামলা মাথায় নিয়ে এলাকায় চষে বেড়ালেও পুলিশের ভাষ্যনুযায়ী ওরা পলাতক রয়েছে। অথচঃ তার নিজ বাড়ী সাবরাং ৪নং ওয়ার্ড থেকে টেকনাফ মডেল থানার দুরুত্ব ২ কিঃ মিটার। সম্প্রতি ইয়াবা ডন একাদিক মাদক মামলার আসামী রাসেল ১৬মার্চ/২২ সপ্তাহ ব্যাপী রাজকীয় বিবাহ সম্পাদিত হয়েছিল। বিয়ের উৎসব পালনে পরিবেশ বিধংসী মূলক গোলাবারুধ, নর্তকীসহ বিভিন্ন অসমাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে গোটা এলাকায় আলোচনা ও সমালোচনার পাত্র হয়েছিল। বিয়ের অনুষ্ঠান উদযাপনে ঘোড়ার গাড়ী দশটি,সাজানো কার ১৫টি, মাইক্রো এবং ২শত মোটর সাইকেল শোভা মাত্রার মাধ্যমে রাজকীয় ভাবে বিবাহ সম্পাদন করে আলোচিত হয়েছিল। অবশ্যই এ তথ্য গোয়েন্দা সংস্থা অবগত হলে ও কী কারণে ইয়াবা ডন পার পেয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে সচেতন মহলের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে মোঃ রাসেল গং এর বিরুদ্ধে একাদিক মাদক ও অস্ত্র মামলা এবং চার্জশীট ভূক্ত মামলা টেকনাফ মডেল থানায় নথিভূক্ত থাকলেও সে কেন? গ্রেফতার হচ্ছেনা, তা নিয়ে রহস্যের জট দেখা দিয়েছে। মামলাগুলোর মধ্যে ২২-০২-২০২১ইং তারিখ মামলা নং- ৪৫, ২৩-০৬-২০১৮ তাং মামলা নং- ৩২, ২৫-১১-২০১৮ তাং মামলা নং- ১০৫, ২৭-১২-২০০৪ তাং মামলা নং- ৫৫, জি.আর মামলা নং- ৮২২/২১, ২১-০৯-২০২১ মামলা নং- ৭১, জি,আর মামলা নং- ৮২৩/২১, ২১-০৯-২০২১তাং মামলা নং- ৭২ ও সর্বশেষ ১০-০১-২০২২ তাং ৬০ হাজার ইয়াবা স্বীকারোক্তি প্রদান করলে টেকনাফ থানা- ১১-০১-২২ তাং রুজুকৃত ২৮১(৩) ০১ মাদক মামলায় উক্ত মোঃ রাসেলকে ৩নং আসামী হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমানে উক্ত মামলার চার্জশীটভূক্ত আসামী। এছাড়া সাবরাং মৌজার ০.১৭৬৭ একর জমি বিগত ২-২-২০২১ সাবঃ রেজিঃ অফিসে ৪৬৪নং দলিল মূলে মালিক হলেও মাদক ও অস্ত্রের কালো টাকার পেশী শক্তির প্রভাবে প্রকৃত জমির মালিকরা দখলে যেতে পাচেছনা। এ নিয়ে এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ প্রসঙ্গে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন. এর অবস্থান নিশ্চিত হলে যে কোন সময় সে গ্রেফতার হবে।
Related