শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১১:০১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

টেকনাফ পৌর শহরের কায়ুকখালী খালের দু পাশে ওয়াকিংপার্ক নির্মিত হলে শ্রী বৃদ্ধি পাবে

মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী, টেকনাফঃ
টেকনাফ পৌর শহরের ঐতিহ্ন্যবাহী কায়ুকখালী খালের দুপাশ্বে সরকারী খালের অবৈধভাবে দখলকৃত জায়গা অবমুক্ত করে জনস্বার্থে দৃষ্ঠি নন্দন পার্ক এবং হাঁটার ব্যায়ামাগারের উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিলে পৌরসভার সৌন্দয্যের চেহারা পাল্টে যাবে এবং পর্যটকদের সমাগম ঘটবে। টেকনাফ পৌর শহর পর্যটনের প্রধান কেন্দ্র, স্থল এবং দুরদুরান্ত থেকে আগত পর্যটকেরা টেকনাফ পৌর শহরে আসে এবং পর্যটকদের আকৃষ্ট করার তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ স্পট না থাকায় পর্যটকেরা বেশিক্ষণ অবস্থান করেনা। পৌরবাসীর পরিবেশ বান্দব শারিরীক ব্যায়াম, বিনোদন মূলক ব্যবস্থা, পর্যটকদের ধরে রাখতে কায়ুকখালী খালের দুপাশ্বে রাস্তা সড়ক বাতিসহ জনস্বার্থমূলক উন্নয়ন মূলক বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিলে টেকনাফ পৌরসভার শ্রীবর্ধন বৃর্দ্ধি পাবে। টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী খালটি নাফ নদীর সাথে মিশে গিয়ে ইসলামাবাদ পর্যন্ত চলে গেছে। ২০০২ সালে টেকনাফ পৌরসভা রূপান্তরের পর ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত বাণিজ্য কার্যক্রম এবং ২০১৬ সালে টেকনাফ কক্সবাজার মেরিন ড্রাইব সড়ক চালুর পর থেকে টেকনাফ পৌর শহরসহ টেকনাফে স্থানী বৈধ জায়গা জমির দাম বৃর্দ্ধি পেয়ে আসছে। তারই প্রভাবে বনে, নদী ওখালের তীরে সরকারী খাস জায়গা দখলের প্রতিযোগিতা চলছে। নদী শাসন আইন থাকলেও এটি এখানে অকার্যকর পরিনত হয়েছে। ১৯৮৪ সালের সমীক্ষানুযায়ী কায়ুকখালীখাল দিয়ে বড় বড় জলযান যাতায়াত করতো এবং বর্তমানে তা বিলুপ্তির পথে। খালের দু-পার্শ্বের সরকারী খাস জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মান এবং খালের তীর দখল দায়িত্ব থাকায় খালটি ক্রমশঃ সংকোচিত হয়ে নৌ-যাতায়াত মারাতœক ঝুঁকিতে পরিনত পরিবেশের বিরুপ প্রভাব পড়েছে। অপরদিকে খালটি নাব্যতা সৃষ্টির ফলে বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের পানি সহজে চলাচল করতে বাঁধাগ্রস্থ হয়। কায়ুকখালী খালের দু-পাশ্বে সরকারীভাবে সীমানা খুটী না থাকায় ভূমিধস্যুচক্র বেপরওয়া হয়ে সরকারী খাস জায়গা দখল দায়িত্বে প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছে। টেকনাফ পৌরসভার সচেতন নাগরিকদের ভাবনা এবং অভিমত খালের উভয় পার্শ্বের সরকারী খাস জায়গা অবৈধভাবে দখল থেকে অবমুক্ত করে জন ও পর্যটকদের স্বার্থে দৃষ্টি নন্দন পার্ক ও হাঁটার (রাস্তা) ও ব্যাসাগারের ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আনলে পৌরসভার চেহারা পাল্টে যাবে। টেকনাফ উপজেলা  আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জহির হোসেন এম এ বলেন.  কায়ুকখালি খালটি সংস্কার করে  জনস্বার্থমূলক উন্নয়নমূলক প্রকল্প হাতে নিলে এর চেহারা পাল্টে যাবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *