সাপ্তাহিক ছুটি ও মহান স্বাধীনতা দিবস মিলে দুই দিনের ছুটিতে কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভিড় করেছেন পর্যটকরা। শুক্রবার (২৫ মার্চ) পর্যটকদের পদভারে মুখর ছিল দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন সমুদ্র সৈকত।
রাতের সমুদ্রের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ভোরের নির্মল হাওয়া উপভোগ, দ্বীপের নীল জলরাশি, শৈবাল-প্রবাল এবং জীবন্ত কোরাল দেখতে হাজারো পর্যটক এখন সেন্ট মার্টিনে অবস্থান করছেন। দ্বীপের শতাধিক আবাসিক হোটেল এবং কটেজ পর্যটকে ঠাসা। বর্তমানে প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার পর্যটক দ্বীপের বিভিন্ন হোটেল-মোটেলে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, ২৫ ও ২৬ মার্চের ছুটি উপভোগ করতে আগে থেকেই ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা সেন্ট মার্টিনের হোটেল এবং কটেজ বুকিং দিয়ে রেখেছেন। হোটেল-কটেজ এখন পরিপূর্ণ।
হোটেল মালিকরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই পর্যটকরা সেন্টমার্টিনমুখী হয়েছেন।
শুক্রবার সেন্ট মার্টিনে সমুদ্র সৈকতে হাজারো পর্যটক ভিড় করেছেন। কেউ পানিতে নেমে ছবি তোলার জন্য দৌঁড়ঝাপ করছেন, কেউ পাখির সঙ্গে ছবি তুলতে ব্যস্ত। যে যার মতো করে আনন্দে মেতেছেন পর্যটকরা।
চট্টগ্রামের চকবাজার থেকে সপরিবারে সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণে আসা মনির আহম্মদ বলেন, অসাধারণ লাগছে। তবে একটু গরমের প্রকোপ বেশি, পর্যটকের কোলাহলও বেশি। সব মিলিয়ে খারাপ লাগছে না। আমাদের চেয়ে সন্তানরা মজা করছে বেশি
ঢাকার মগবাজার থেকে ঘুরতে এসেছেন পর্যটক দম্পতি খোরশেদ আলম ও খুরশিদা বেগম। খুরশিদা জানান, প্রবাল দ্বীপে বিয়ের আগেও আমার আসা হয়েছে। তবে এবার অনেক পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। ট্যুরিস্ট পুলিশের তৎপরতা দেখে নিরাপদ বোধ করছি। সব মিলে খুবই ভালো সময় কাটছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী জানান, সেন্ট মার্টিনে পর্যটকরা যাতে নির্বিঘ্নে অবস্থান করতে পারেন, সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দ্বীপে অবস্থানকারী পর্যটকদের সুবিধার্থে প্রশাসনের বাড়তি নজরদারির পাশাপাশি সেখানকার জনপ্রতিনিধিদেরও সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া আছে।
Related