রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন
মোবারক উদ্দিন নয়ন:
“উন্নয়ণের নতুন জোয়ারে বদলে যাওয়া কক্সবাজার”
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন-আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর কক্সবাজারে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমানে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে। আগামীতে কক্সবাজার উন্নয়নে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে সেতুবন্ধন তৈরি হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন-ছোটবেলা থেকে কক্সবাজারে যাওয়া আমাদের স্বপ্নটা বেশি ছিল। তাই আমার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সময় পেলে আমাদের কক্সবাজার নিয়ে যেতেন। বঙ্গবন্ধু বেশিরভাগ জেলে থাকতেন। তাই, জেল থেকে ছাড়া পেলে আমাদের কক্সবাজারে নিয়ে যাওয়ার চেস্টা করতেন। আমরা বাবাী কাছে বায়না ধরতাম।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টারদিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে কক্সবাজার সমু্দ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্ট অনুষ্ঠিত ‘উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উদযাপন’ অনুষ্ঠানে কক্সবাজারবাসির উদ্দেশ্য তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে কক্সবাজার যখন বিধ্বস্ত হয়, তখন আমরা কুতুবদিয়া, বদরখালী, মহেশখালীসহ বিভিন্ন বাড়িতে গিয়েছি। তখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু, সে সময়ে খালেদা জিয়া ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কোন খবর নেয়নি। অথচ, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর কক্সবাজারে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমানে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে।
কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক এলাকা গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন- কক্সবাজারে এক্সক্লুসিভ পর্যটন এলাকা, খেলাধুলার জন্য স্টেডিয়াম, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, মেডিকেল কলেজ, রেল লাইনপ্রকল্প থেকে শুরু করে ব্যাপক উন্নয়নের চলছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন- আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছি। নির্বাচনী ইশতিহারে দেয়া ওয়াদা আমরা রক্ষা করেছি। শতভাগ বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছি। আজকে বাংলাদেশের মানুষ ডিজিটাল দেশের সকল সুবিধা ভোগ করছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে। তাই, সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।
এরআগে সকাল থেকে দিনব্যাপী কক্সবাজার সমু্দ্র সৈকতের লাবণি পয়েন্টে “উন্নয়নের নতুন জোয়ারে বদলে যাওয়া কক্সবাজার” স্লোগানে বাংলাদেশের উন্নয়ন উৎসব শুরু হয়। পরে রাতে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি চট্টগ্রামের ভাষায় কক্সবাজার বাসীর উদ্দেশ্যে বলেন ‘তোয়ারা লাই আর পেট পুরে’। এটি শুনে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন কক্সবাজারের মানুষ।
কক্সবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিশু শিল্পীদের পরিবেশনায় বেজে ওঠে জাতীয় সংগীত। এরপর জয় বাংলা শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে জয় বাংলা শ্লোগানে।
উৎসবে বিভিন্ন স্থানীয় উন্নয়নের উপর বক্তব্য রাখেন, অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মোস্তফা কামাল, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী নসরুল হামিদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুবে আলী, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ হাসান রাসেল, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস।
এই আয়োজনের শুরুটা হয়েছিল সকাল নয়টায়। মূল আকর্ষণ ছিল সন্ধ্যা ৮টায়। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর আতশবাজির ঝলক, সুরের ইন্দ্রজালে বুঁদ হয়ে ছিল সমবেত জনতা।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মিস ফাতিমা ইয়াসমিন, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান।
ডিসি৭১/এমইউনয়ন