বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৪৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

খালেদা জিয়া-তারেক রহমানই আমাদের নেতা : ফখরুল

৭১ অনলাইন ডেস্কঃ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপির নেতা হচ্ছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং অসুস্থতার কারণে তার অবর্তমানে আমাদের নেতা তারেক রহমান। আন্দোলনের নেতাও তারেক রহমান। দিবালোকের মতো একথা স্পষ্ট। এটা নতুন কোনো কথা নয়। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নওগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির নেতারা নানা ভাগে বিভক্ত। বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত। তাদের দলে নেই কোনো গঠনতন্ত্রের বালাই। তারা আজ নানাভাবে বিভক্ত। বিএনপির নেতা কে ? তাদের আন্দোলনের নেতা কে?’

ওবায়দুল কাদের বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল আরো বলেন, বিএনপি দ্বিধা-বিভক্ত নয়। এখন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি আগের চেয়ে অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরে আনবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করতে তিনি এসব বক্তব্য রাখছেন প্রতিদিন।

ক্ষমতাসীনরা স্বাধীনতার ভ্রান্ত ইতিহাস প্রচার করছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বলা হচ্ছে, একজন ব্যক্তি ও একটি দল তারা ছাড়া কেউই এই স্বাধীনতা যুদ্ধে কৃতিত্ব দাবি করতে পারে না। অথচ সত্য কথা হচ্ছে স্বাধীনতার জন্যে বাংলাদেশের মানুষ সেই বৃটিশ আমল থেকে আন্দোলন করেছে, সংগ্রাম করেছে এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের যে শুরুটা, মুক্তিযুদ্ধে যে সূচনা সেটা যিনি করেছিলেন তার ঘোষণার মধ্য দিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম মুছে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, তারা একবারও উচ্চারণ করে না শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর কথা। এমনকি তাদের দলের নয় মাস সরকার পরিচালনা করল, যুদ্ধ পরিচালনা করল তাদের কথা একবারও উচ্চারণ করে না। তারা উচ্চারণ করে না তাজউদ্দিন আহমেদ, এমএজি ওসমানি সাহেবের কথা। এখন তো কথা শুনলে মনে হয়, একমাত্র একজন ব্যক্তি এককভাবে এদেশে যুদ্ধ করেছেন, স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন আমাদের সামনে এনে দিয়েছে।

বিএনপির স্বাধীনতা সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন স্বরচিত কবিতা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা কমিটির উদ্যোগে এই পুরস্কার বিতরণীয় অনুষ্ঠান হয়। এতে ৯৮ জন শিশু প্রতিযোগীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন কবি মাহবুব হাসান, জাহাঙ্গীর ফিরোজ, জাকির আবু জাফর, মুস্তাহিদ ফারুকী, নাসিম আহমেদ, শিশুদের মধ্যে মো. আবরার, সামিয়া নুজহাত ও ওয়াজদিয়া উনাইছা। অনুষ্ঠানে ‘শহীদ জিয়ার বাংলাদেশকে জানো’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন বিএনপি মহাসচিব।

স্বরচিত কবিতা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা কমিটির আহ্বায়ক সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য আমিরুল ইসলাম কাগজী ও আরিফুর রহমান মোল্লার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সদস্য সচিব আবদুস সালাম, কবি আবদুল হাই শিকদার বক্তব্য রাখেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *