রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩০ পূর্বাহ্ন
সেলিম উদ্দিন:
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের মেদাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা ফারুক আহমদ বাবুলের নির্দেশে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের অঙ্গীকার খেলার মাঠের উত্তর পাশে ১টি পলিথিনের ঘেরাবেড়া দেয়া ঘর উচ্ছেদ করেন বনবিভাগের কর্মকর্তারা।
১ এপ্রিল (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ৯ টার সময় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ওই অভিযানে নেতৃত্ব দেন মেদাকচ্ছপিয়া বনবিট কর্মকর্তা মোঃ শাহিন আলম।
তিনি উচ্ছেদের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,তাদের ওই জমিতে সম্প্রতি এলাকার বেশক’জন প্রভাবশালীর মদদে বসতঘর তৈরি করে আসছিল। দখলদার স্থানীয় ওমর আলীকে ওই জমি ছেড়ে দিতে বন বিভাগের পক্ষ থেকে কয়েকবার নির্দেশনা দেওয়া হলেও সেটি আমলে নেননি। অবশেষে বন বিভাগের স্টাফ, ভিলেজার ও সিপিজি সদস্যদের নিয়ে অভিযান চালিয়ে বনভুমির জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করি। এ সময় মেদাকচ্ছপিয়া, খুটাখালী, নাপিতখালী বনবিটের কর্মকর্তা, স্টাফ, ভিলেজার ও সিপিজি দলের সদস্যরা উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেন বলে জানান তিনি।
তবে অভিযান প্রশ্নবিদ্ধ দাবী করে স্থানীয় ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আকতার কামাল বলেন, উচ্ছেদ করার সময় আমি নিজে তাদের সহযোগিতা করে জিম্মা নিয়েছি। কেননা আমি বিগত ২০১৬ সালে স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় বনজায়গীরদার হয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিালাম। ঐসময় তৎকালীন ফুলছড়ি রেঞ্জার ও বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হক মাহবুব মোর্শেদের কাছে লিখিত আবেদন করে আমি ঐ জমি দীর্ঘদিন ধরে দেখভাল ও দখলে আছি। মেদাকচ্ছপিয়া মৌজার, দাগ ও আরএস নং ৩৭/৭১ বিএস নং ৩৬ এর মাত্র ২ একর জমি। সম্প্রতি ঐ জমির প্রতি লোলুপ দৃষ্টি পড়ে স্থানীয়দের। মুলতঃ আমাকে উচ্ছেদ করতে বনবিভাগের লোকজনকে ভুলবাল বুঝিয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। এরপরও তিনি সবসময় বন ও বনভুমি রক্ষায় দায়িত্বশীল বলে দাবী করেন।
ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা ফারুক আহমদ বাবুল বলেন, বনবিভাগের জায়গায় কতিপয় অবৈধ দখলদার বসতঘর নির্মাণ করে জায়গা দখলে নেন। বিষয়টি বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশে শুক্রবার সকালে একদল বনকর্মীরা অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভাবে গড়ে তোলা বসতঘর ভেঙ্গে দিয়ে দখল উচ্ছেদ করা হয়।
তিনি বলেন, অবৈধ দখলদারকে বনবিভাগের জায়গা থেকে দখল উচ্ছেদ করে ঐ জায়গা বনবিভাগের নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এনিয়ে বনবিভাগের সংশ্লিষ্ট আইনে দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।