বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০১:৫৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি হিসাবে সম্মাননা পেলেন রামু থানার ওসি ইমন কান্তি চৌধুরী সোনাদিয়ায় প্যারাবন ছাবাড় করে চিংড়ী ঘের, ২০ জনের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা কোরবানির বাজার দখলে চোরাই গরু: রুট পাল্টে সক্রিয় সিন্ডিকেট ব্রিজের নির্মাণ কাজ বন্ধ; দুর্ভোগ সুগন্ধায় শফিক ,সোহেল, রাসেল ও ফরিদ সিন্ডিকেটের চাঁদাবাজির নতুন কৌশল রাজেশ আছে রাজার হালে দ্রুত সিদ্ধান্ত না আসলে সারা দেশ থেকে ঢাকা মার্চ : নাহিদ রামুতে সড়ক দূর্ঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষক নিহত রামুর কাউয়ারখোপে নদী ভাঙ্গন পরিদর্শনে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড উখিয়ায় অনলাইন জুয়ার ভয়াল ছোবল, বেড়ে চলছে চোরের উপদ্রব প্রশাসনের নজরদারী জরুরী

অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ, টিকে গেলেন ইমরান খান

৭১ অনলাইন ডেস্কঃ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরোধী পক্ষের উত্থাপন করা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন দেশটির জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার। দেশটির সংবিধানের ৫ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে এটি অবৈধ ঘোষণা করে প্রস্তাবটি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে ইমরান খান জয়ী হবেন কি না, সে প্রশ্নে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে ভোট ছিল রোববার। এদিন দুপুরে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনের শুরুতেই ওই প্রস্তাব উত্থাপিত হওয়ার পর ডেপুটি স্পিকার কাশিম সুরি তা খারিজ করে দেন। ব্যাপারটিকে তিনি আখ্যা দিয়েছেন ‘অসাংবিধানিক’ বলে। ষড়যন্ত্রের কারণে এই প্রস্তাব তোলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন কাশিম সুরি। এরপরই অধিবেশন মুলতবি করেন তিনি। এক পর্যায়ে বিরোধী দলগুলোর তোপের মুখে পড়েন তিনি।
এর আগে জাতীয় পরিষদের অধিবেশননের আগে সকালেই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন। নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা। ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেশ শাসনে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ এনে গত ৮ মার্চ অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় বিরোধী দলগুলো। এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও ভোটাভুটির জন্য অধিবেশন ডাকতে স্পিকার আসাদ কায়সারের প্রতি লিখিত আবেদন জানান তারা।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, লিখিত আবেদন জমার ১৪ দিনের মধ্যে স্পিকারকে আলোচনার জন্য অধিবেশন ডাকতে হবে। সে অনুযায়ী, ২২ মার্চের মধ্যে অধিবেশন আয়োজন করার কথা ছিল। তবে ২২ মার্চ থেকে জাতীয় পরিষদে ওআইসির দুই দিনব্যাপী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন শুরু হওয়ায় তা আর হয়নি। এরপরই অধিবেশনের তারিখ পেছায়। নিম্নকক্ষে ৩৪২ আসনের মধ্যে বিরোধীদের দখলে আছে ১৬৩টি। বাকি ১৭৯ আসন। এর মধ্যে ইমরানের দলের আছে ১৫৫টি, চার জোট সঙ্গীর ২০টি।
অনাস্থা প্রস্তাবে টিকে থাকতে হলে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ইমরান খানকে অন্তত ১৭২ সদস্যের সমর্থন পেতে হতো। এর মধ্যে তিন জোটসঙ্গী মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম-পি), পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদ (পিএমএল-কিউ) এবং বালুচিস্তান আওয়ামী পার্টি (বিএপি) বিরোধী শিবিরে যোগ দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।
দুর্নীতির দায়ে নওয়াজ শরিফ অভিশংসিত হওয়ার পর ২০১৮ সালে চার দলের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসেন তারকা ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া ইমরান খান। ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত তার সরকারের মেয়াদ রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *