শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারস্থ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১৫ পৃথক অভিযান চালিয়ে টেকনাফের রাজারছড়া এলাকা থেকে ইয়াবা এবং চকরিয়ার বড়ইতলী এলাকা থেকে গাঁজাসহ ৩ জনসহ মোট চার মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯,৬০০ পিস ইয়াবা ও ১৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব-১৫ জানায়,রবিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী টেকনাফ সদর ইউপিস্থ ৭ নং ওয়ার্ড এর রাজারছড়া সাকিনস্থ মেরিন ড্রাইভ সড়কের উপর মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫ এর একটি দল রবিবার রাত সাড়ে ১২টায় উক্ত স্থানে পৌঁছালে র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে একজন ব্যক্তি পালানোর চেষ্টাকালে টেকনাফ সদর ইউপিস্থ ৭ নং ওয়ার্ড এর হাবিবছড়া এলাকার মোঃ রফিক ও খুরশিদা বেগমের পুত্র মোঃ মুরশেদ আলম (২০)কে ধরে ফেলে।
পরে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে ধৃত ব্যক্তির দেহ তল্লাশী করে হাতে থাকা শপিং ব্যাগ হতে সর্বমোট ৯ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে টেকনাফ থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
অপর অভিযানে কক্সবাজারের চকরিয়া থানাধীন বড়ইতলী এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করে ১৫ কেজি গাঁজাসহ ০৩ জন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫।
রবিবার র্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল গোপন সূত্রে অবগত হয় যে, কতিপয় মাদক কারবারী চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী রিলাক্স পরিবহন নামক বাসে করে যাত্রী বেশে মাদকদ্রব্য গাঁজা বহন করছে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল রাত ৪ ঘটিকায় চকরিয়ার বড়ইতলী ইউপিস্থ শাহ্ ওমর ফিলিং স্টেশনের সামনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপর বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশী অভিযান শুরু করে।
তল্লাশীর একপর্যায়ে বর্ণিত বাসটি চেকপোস্টের সামনে আসলে র্যাব সদস্যগণ বাসটি থামিয়ে তল্লাশী শুরু করলে তিনজন ব্যক্তির আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়।
ঐ সময় উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে উক্ত ব্যক্তিদের হেফাজতে থাকা তিনটি ব্যাগ তল্লাশী করে সর্বমোট ১৫ (পনের) কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, তাদের পরিচয়
১। মোঃ জাহাঙ্গীর (৩৬), পিতা- মৃত আবুল শমা সওদাগর, সাং- বাস স্টেশন পাড়া, জমজম হাসপাতালের পিছনে, চকরিয়া পৌরসভা, ০৮ নং ওয়ার্ড, থানা- চকরিয়া, জেলা- কক্সবাজার;
২। কামাল উদ্দিন (৩৭), পিতা- মৃত নুরুল আবসার, সাং- বাঁশঘাটা রোড, মাস্টারপাড়া, চকরিয়া পৌরসভা, ০৮ নং ওয়ার্ড, থানা- চকরিয়া, জেলা- কক্সবাজার এবং
৩। নেজাম উদ্দিন (৪২), পিতা- আহমদ শফি, সাং- জালিয়াখালী (সাহাবুদ্দিনের বড় বাড়ি), থানা- পেকুয়া, জেলা- কক্সবাজার।
ধৃত আসামীরা আরো জানায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য গাঁজা কুমিল্লা থেকে বহন করে কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করে আসছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চকরিয়া থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।