শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৭ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক:
একটি দুইটি নয় তিনটি স্থান থেকেই মাটি কেটে অবৈধভাবে ডাম্পার দিয়ে বিক্রি করছে দেলোয়ার আব্দুল্লাহ সিন্ডিকেট। দিন-রাতে স্কেভেটার দিয়ে সদরের পিএমখালীর গোলারপাড়া কৃষি জমি কেটে বিক্রি করছে পার্শ্ববর্তী ইট ভাটায়। অন্যদিকে বাংলাবাজারের রাবার ড্রামের পশ্চিমে বাঁকখালীর পাড় থেকে মাটি নিয়ে ভরাট করছে পুকুের। প্রতি ডাম্পার মাটি বিক্রি করছে ১০০০ টাকায়। এসব অভিযোগ দির্ঘদিনের হলেও মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সকালে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি টিম সরেজমিনে পরিদর্শনে যায়। যদিও সেখানে আগে থেকে অভিযানের কথা যেনে যাওয়ায় স্কেভেটার থাকলেও পাওয়া যায়নি ডাম্পার ও মাটি খেকোদের।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মাহবুব এই তিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রত্যক্ষদর্শী ও ভোক্তভোগীদের বক্তব্য রেকর্ড করেছেন।
গোলারপাড়া স্থানীয়দের অভিযোগ, পিমখালী ইউনিয়নের চেরাংঘর বাজারের পূর্ব পাশে বজল কোম্পানি ব্রীকপিলের দক্ষিণে বিশাল কৃষি জমি কাটছে উত্তর নয়াপাড়ার মোহামম্দ হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ, বিএনপি নেতা ছৈয়দ নূরের ছেলে দেলওয়ারের নেতৃত্বে দিন রাত ২৪ ঘন্টা মাটি কাটছে। দৈনিক ২০ থেকে ৩০ টি অবৈধ ডাম্পার দিয়ে এসব স্থানে মাটি নিয়ে যাচ্ছ এই সিন্ডিকেট। গ্রামিণ সড়কের মাঝ দিয়ে ডাম্পার চালানোর কারণে কোন গাড়ি চলতে পারে না। ধুলোর কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এখানকার বাসিন্দারা। রোজা আসার পর থেকে দিনে মাটি না কেটে সন্ধ্যার পরেই যেন ডাম্পারের আলোতে আলোকিত গোলারপাড়ার বিশাল কৃষি জমি।
অন্যদিকে ৫ নং ওয়ার্ডের উত্তর নয়াপাড়ার মৃত ফজর আলী মেম্বারের ছেলে দানু মিয়ার দীর্ঘ বছরের পুরাতন পুকুরটিও ভরাট করছে আব্দুল্লাহ-দেলওয়ার সিন্ডিকেট।
এদিকে অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ ও দেলয়ারের কাছে জানতে চাইলে আব্দুল্লাহ স্কেভেটার ভাড়া দেয়ার কথা স্বীকার করলেও দেলওয়ার একেবারেই জড়িত নয় বলে দাবী করেন।
এদিকে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তররের উপ-পরিচালক নাজমুল হুদা জানিয়েছেন, পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িতদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। অন্যদিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায় বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। পরিবেশ বিধ্বংসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডিসি৭১/এমইউনয়ন