বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০১:১৫ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ বিশাল শোক র্যালী করেছে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় বাহারছড়া মুক্তিযোদ্ধা মাঠ থেকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস,এম সাদ্দাম হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনানের নেতৃত্বে বিশাল এই শোক র্যালী বের করা হয়। র্যালীতে কক্সবাজারের সব উপজেলা, পৌরসভা, কলেজসহ সকল ইউনিট থেকে ছাত্রলীগের প্রায় লক্ষাধিক নেতাকর্মীর সমাগম হয়। এসময় নেতাকর্মীদের জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু সেস্নাগানে সেস্নাগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠে রাজপথ।
বিশাল র্যালীটি প্রধান সড়ক পদক্ষিণ করে কলাতলী ডলফিন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস,এম সাদ্দাম হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, সহ—সভাপতি রেজাউল করিম, রামু—সদর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়াল কমল, মহেশখালী—কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক।
বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিএনপি এ দেশে হত্যা, ষড়যন্ত্র, দুর্বৃত্তায়ন ও জঙ্গিবাদের পৃষ্টপোষক। বিএনপি নেতারা তাদের চিরায়ত মিথ্যাচারের রাজনীতি অব্যাহত রেখে নানামুখী ষড়যন্ত্র—চক্রান্ত ও অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। তারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও অন্তরে তাদের ১৫ আগস্টের নির্মম—নিষ্ঠুর পাশবিক মানসিকতা এবং ২১ আগস্টের বর্বরতা ও পৈশাচিকতাকে ধারণ করে। তাই বিএনপির জন্য এখানে একটি পাকিস্তানি ক্লাব করে দেওয়া হবে। তাঁরা সেখানে বসেই পাকিস্তানের খোশ গল্পে মত্ত থাকবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপ প্রচার সম্পাদক কাউন্সিলর এম.এ মনজুর, প্যানেল মেয়র হেলাল উদ্দিন কবির, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর ও ঝিলংজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু সুলতানসহ আরও অনেকে।
এর আগে বাহারছড়া মুক্তিযোদ্ধা মাঠে বিকাল ৩টা ১ মিনিটে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত, কালো পতাকা উত্তোলন এবং কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়। বিকাল ৩টা ৫ মিনিটে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। দুপুর থেকে কক্সবাজারের প্রতিটি উপজেলা, পৌরসভা, কলেজ, বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ইউনিট থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বাহারছড়া মুক্তিযোদ্ধা মাঠে আসে নেতাকর্মীরা। বিকাল গড়াতেই জনস্রোতে রূপ নেয় মুক্তিযোদ্ধা মাঠ।