বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০১:২৬ পূর্বাহ্ন

আজ ১১ই সেপ্টেম্বর ২০২২, আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ১৫ তম কারামুক্তি দিবস

আজ ১১ই সেপ্টেম্বর ২০২২, আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ১৫ তম কারামুক্তি দিবসঃ

এই মুক্তি শুধু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছিলনা, এই মুক্তিছিলো বাংলাদেশের।

তাইতো মুক্তির পরদিন পত্রিকার হেডলাইন ছিলো “এমন উচ্ছাস বেগম খালেদা জিয়াকে ঘিরেই মানায়”

সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা, বহুদলীয় গণতন্ত্রে উত্তরণ ও জনগণের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে আজ ৩৯ বছর ধরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

তাঁর নেতৃত্বকালে তিনি বাংলাদেশে স্বৈরাচারী শাসন অবসানে আপোষহীন ভূমিকা পালন করায় দেশবাসী তাঁকে আপোষহীন নেত্রী হিসেবে বরণ করে নিয়েছেন।

স্বাধীনতার ঘোষক, জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ও উন্নয়নের রাজনীতির রুপকার রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নির্মমভাবে নিহত করার পর ষড়যন্ত্রকারীরা জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিলো।

কিন্তু জনগণের কেড়ে নেয়া অধিকার পুনরুদ্ধার করার লক্ষ্যে জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রের রাজনীতির পতাকাকে উড্ডীন করে বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিক মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন।

সেই থেকে তিনি এই দেশে সকল অগণতান্ত্রিক দেশবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে অবিরাম লড়াই অব্যাহত রেখেছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে দেশের গণতান্ত্রিক-সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে শক্তিশালী করতে দৃঢ় ভূমিকা পালন করেন। ২০০১-২০০৬ সময়ে তাঁর প্রধানমন্ত্রীত্বকালে দেশী বিদেশী চক্রান্তকারীরা তাঁর কাছ থেকে স্বার্থ আদায় করতে না পারায় ফল হিসেবে ১১ জানুয়ারী ২০০৭ সনে সংবিধান বর্হিভূত পন্থায় ক্ষমতা দখলকারীরা জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য আবারো নতুন খেলায় মেতে উঠেছিল।

এরই অংশ হিসেবে ওই বছরে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার খালেদা জিয়াকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ২০০৭সালের ০৩ই সেপ্টেম্বর পুত্রসহ গ্রেফতার করে। সংসদ ভবন এলাকার একটি বাড়িকে সাব জেল
হিসেবে ঘোষণা দিয়ে তাকে সেখানে রাখা হয়।

সেই সাথে ষড়যন্ত্রকারীরা এই প্রানের নেত্রীকে তার স্বজনের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার আপ্রান চেষ্টা চালায় ।সপরিবারে দেশত্যাগে বাধ্য করার চেষ্টাও চালানো হয়। কিন্তু তিনি দেশত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানান।

মাইনাস টু তত্ত্বসহ নানাবিধ অপকৌশল অবলম্বন করে ও অপপ্রচার চালিয়ে খালেদা জিয়াকে তার স্বদেশ ও জনগণের কাছ থেকে সরিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা চালানো হয়।

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীনতায় এবং জনগণের চাপে পিছু হটেছিল সেই সরকার এবং জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন ও আস্থা এবং দেশ ও জনগণের প্রতি দেশনেত্রীর দৃঢ় কমিটমেন্টে ষড়যন্ত্রকারীদের কূটকৌশল ব্যর্থ হয়ে যায় এবং এক বছর পর ২০০৮সালের আজকের দিনে অর্থাৎ ১১ই সেপ্টেম্বর ৩৭২দিনের কারাবাসের পর হাইকোর্টের নির্দেশে তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।

বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জনগণের ভোটের অধিকারের প্রশ্নে এখনও লড়াই অব্যাহত রেখেছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *