সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন
আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজীহাবিবুল আউয়াল কমিশন সার্বিক প্রস্তুতি নিতেশুরু করেছে । অভ্যন্তরীণ প্রস্তুতির পাশাপাশি নতুন গুছিয়ে নিচ্ছে সংস্থাটি। কিন্তু দফায় দফায় রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া, নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে কারা কাজ করবেন সেসবও বাছাইয়ের পরও ‘ভূঁইফোঁড়’ ও নামসর্বস্ব দল এবং সংস্থাকে চূড়ান্ত করার ঘটনায় জন্ম দিচ্ছে বিতর্ক। এছাড়া নির্বাচন-সংক্রান্ত নানা ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের একাধিক বক্তব্য সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ফলে কোনোভাবেই যেন বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটির। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেয়ার
পর কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন শুরুতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ইভিএমে করার বিষয়ে মনস্থির করে। তবে দফায় দফায় চেষ্টা করেও সরকারের কাছ থেকে প্রকল্প পাস করাতে পারেনি। অবশেষে আর্থিক সংকটের কথা প্রকল্প প্রত্যাখ্যাত হলে শেষ পর্যন্ত ইভিএম নয়, ব্যালটে ভোট নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ইসির ভাষ্য অনুযায়ীআগামী নভেম্বরের যেকোনো দিন ঘোষণা হতে পারে তফসিলএই নির্বাচনকে ঘিরেই এখন সব ব্যস্ততা।
কারণ আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হতে পারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তাই কোনো প্রস্তুতির গ্যাপ রাখতে চাচ্ছে না ইসি। তবে নতুন দল নিবন্ধন দেয়া এবং পর্যবেক্ষক সংস্থা চূড়ান্ত করা নিয়ে বিতর্ক নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে নেতিবাচক বার্তা দেবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ভোটের সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই নির্বাচন কমিশনের কাজ নিয়ে বিতর্ক বাড়ছেনতুন দল ও পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন নিয়ে অযথা বিতর্ক সৃষ্টি করল সংস্থাটি। অথচ এটা না করলে কোনো ক্ষতি হতো না। পত্রিকায় ফলাও করে সরেজমিন রিপোর্ট করেছে দলীয় লোকজন সংস্থা চালাচ্ছেন, অফিস নেই, সাইনবোর্ড ছাড়া কিছু নেই তারাও নিবন্ধন পাচ্ছে, তালিকাভুক্ত হচ্ছে। এতে তো আস্থা কমবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও সর্বজনগ্রাহ্য করার ক্ষেত্রে ১৪ ধরনের চ্যালেঞ্জ বা বাধা চিহ্নিত করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রথমটিই ছিল, নির্বাচন কমিশনের প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থাহীনতা। বিএনপিসহ সরকার বিরোধী দলগুলো শুরু থেকেই কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির প্রতি তাদের অনাস্থার কথা বলে আসছে।
ইসিও মনে করে, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কমিশনের প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা থাকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সে লক্ষ্যে দলগুলোর আস্থা ফিরিয়ে আনতে করণীয় ঠিক করে রেখেছিল নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি। কিন্তু সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় ঘনিয়ে এলেও আস্থা ফিরিয়ে আনা দূরে থাক, উল্টো সদ্যসমাপ্ত কয়েকটি নির্বাচন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আরও অনাস্থার জায়গায় আসীন হয়েছে কমিশন।
নির্বাচনের সময় পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা কতটা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে- সেটি ছিল ইসির দ্বিতীয় চিন্তা। এ লক্ষ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে ইসির নিজস্ব জনবল নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কমিশন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তে শেষ পর্যন্ত অনড় থাকতে পারেনি সংস্থাটি। বরং আগের মতো জেলা প্রশাসকদেরই রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
উপরন্তু পুলিশ প্রশাসন ও সিভিল প্রশাসনের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে তাদের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণের কাজ চালাচ্ছে ইসি। আর ভোট সুষ্ঠু করার ক্ষেত্রে তৃতীয় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে নির্বাচনে ইভিএমের (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) প্রতি বেশিরভাগ দলের অনাস্থাকে চিহ্নিত করেছিল কমিশন। অবশ্য যন্ত্র কেনার অর্থ না পাওয়ায় সেই সিদ্ধান্তই এখন আর নেই। সব আসনে আগের মতোই ব্যালটে ভোটগ্রহণ হবে। যে কারণে বিষয়টি নিয়ে চ্যালেঞ্জেই পড়তে হয়নি ইসিকে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কর্মপরিকল্পনায় ওই তিনটি বিষয়ের বাইরেও ইসি যেসব প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করেছিল, তার মধ্যে রয়েছে- অর্থ ও পেশিশক্তির নিয়ন্ত্রণ; নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা; সব দলের নির্বাচনী আচরণবিধি অনুসরণ; প্রার্থীদের নির্বিঘœ প্রচার; জাল ভোট বা ভোটকেন্দ্র দখল বা ব্যালট ছিনতাই রোধ; প্রার্থী বা এজেন্ট বা ভোটারদের অবাধে ভোটকেন্দ্রে আসা; ভোটারদের পছন্দ অনুযায়ী ভোট দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি; নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ প্রদান; পর্যাপ্তসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিয়োগ; পর্যাপ্তসংখ্যক নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম নিয়োগ এবং নিরপেক্ষ দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকের ব্যবস্থা রাখা। এসব প্রতিবন্ধকতা উত্তরণে ১৯টি উপায়ের কথাও বলেছিল ইসি। কিন্তু হাতেগোনা দুই-তিনটি বিষয় বাদে এখন পর্যন্ত কোনো চ্যালেঞ্জই বাস্তবায়নের মতো অবস্থান তৈরি করতে পারেনি সংস্থাটি।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসি কীভাবে আস্থার সংকট কাটাবে, পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে, নির্বাচনের সময় হয়রানিমূলক মামলা বন্ধ করবে, এজেন্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে-কর্মপরিকল্পনায় এসব প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট কোনো উত্তরই নেই। বড় প্রতিবন্ধকতাগুলো উত্তরণে অনেক ক্ষেত্রে সরকারের দিকেই তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে।
কর্মপরিকল্পনায় নির্বাচনের পাঁচটি লক্ষ্যের কথা বলেছিল ইসি। সেগুলো হলো- অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন।অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাখ্যায় কমিশন বলেছে, ‘ইচ্ছুক সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সক্রিয় অংশগ্রহণ।’
‘স্বচ্ছ’ এর ব্যাখ্যায় ইসি বলেছে, তাদের সব কার্যক্রম ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে, পর্যাপ্তসংখ্যক দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগ এবং সংবাদকর্মীদের অবাধে সংবাদ সংগ্রহের সুযোগ দেয়া হবে। আর গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যাখ্যায় তারা বলেছে, নির্বাচনের ফলাফল সব ভোটার ও অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের কাজে গ্রহণযোগ্য প্রতীয়মান হওয়া। এসব লক্ষ্যের একটিও বাস্তবায়নের কোনো সম্ভাবনা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। উল্টো রাজনৈতিক দলগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানকেই ধোঁয়াশায় ফেলে দিয়েছে।
কর্মপরিকল্পনার প্রথমেই ইসি বলেছিল ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা সৃষ্টি’ করা। তবে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে বিশেষ কোনো উদ্যোগের কথা বলেনি তারা। এ নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করা এবং তাদের অংশগ্রহণ করার নিশ্চিত বিষয়ে ইসির কোনো পরিকল্পনাই নেই। বরং ইসি কোনো সংলাপ আয়োজন করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান বলেন, ‘আমরা অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন। আমরা অনেক আস্থাশীলতার ঘাটতির মধ্যে আছি। আমি মনে করি, আমাদের কর্মকাণ্ড দিয়ে প্রমাণ দিয়েছি, আমরা কিছুটা হলেও আগে থেকে আস্থা অর্জনে এগিয়ে গিয়েছি।’
ইসি শুরু থেকেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলে আসছে। কিন্তু অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি বলছে, ইসির প্রতি তাদের আস্থা নেই। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচনের আরও সময় বাকি আছে। রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে অনেক সময় অনেক দল নির্বাচনে অংশ নেয় না। কোনো দল না এলে কমিশন কী করতে পারে?
এদিকে নির্বাচনের দায়িত্বে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা বিশেষ করে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনকে অন্যতম চ্যালেঞ্জ বা প্রতিবন্ধক বলে মনে করছে ইসি। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দেখা গেছে, পুলিশ ও প্রশাসনের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি ইসি। ওইসব নির্বাচনের আগেও ইসি বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছিল।
ইসি এবার কীভাবে পুলিশ ও প্রশাসনের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবে, এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, কারও বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনে অনীহা ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্প্রতি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই কমিশনার বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কোনো কম্প্রোমাইজ করব না। প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব থেকে আমরা সরে যাব। দলীয় সরকারের অধীনে ভোট সুষ্ঠু হবে না, এ ধারণা ভাঙার দায়িত্ব কার- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা ভাঙার দায়িত্ব রাজনীতিবিদদের। এখানে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই। এটা রাজনৈতিক সমস্যা। রাজনৈতিক সমস্যা, রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। এ বিষয়টাতে আমাদের কিছু করার নেই। সংবিধানও সে দায়িত্ব আমাদের দেয়নি।
ইসির পক্ষে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আনিসুল হক অংশগ্রহণমূলক সংসদ নির্বাচনের প্রত্যাশা তুলে ধরে সম্প্রতি সংসদে জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে করাকে নির্বাচন কমিশন চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জ উত্তরণে নেয়া পদক্ষেপের মধ্যে সব দলের নির্বিঘœ প্রচার, প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী-সমর্থকদের উপর হামলা রোধ ও হয়রানিমূলক মামলা না করাসহ একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে ইসির কর্মপরিকল্পনায় আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আরও সাতটি করণীয় উল্লেখ করা হয়েছিল। সেগুলো হলো- সংসদীয় এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ, নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও সরবরাহ, বিধিবিধান অনুযায়ী ভোটকেন্দ্র স্থাপন, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ও নিবন্ধিত দলের নিরীক্ষা, সংশ্লিষ্টদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, নির্বাচনে অধিকতর প্রযুক্তির ব্যবহার এবং পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন ও নবায়ন কার্যক্রম। এই কাজগুলো কখন, কীভাবে করা হবে, তার একটি রূপরেখা কর্মপরিকল্পনায় দেয়া হয়েছিল।
সেই রূপরেখা অনুযায়ী এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে ইসি। এরইমধ্যে এই সাতটির অধিকাংশই বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া আইন ও নিয়ম কানুন ঠিকঠাক করার পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা তৈরি, ব্যালট পেপার, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও অন্যান্য নির্বাচনী সামগ্রীর চাহিদা নিরূপণের নিয়মিত কাজ চলছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন বিশ্লেষক আব্দুল আলীম বলেন, ইসির ঘোষিত কর্মপরিকল্পনার কাজগুলো ভোট আয়োজনের জন্য অপরিহার্য। তবে সবার নজর অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশের দিকেই। কিন্তু সব দলকে ভোটে আনার বিষয়টিই বড় চ্যালেঞ্জ।
তিনি বলেন, অংশগ্রহণমূলক ভোটের জন্য একটা সমঝোতা হওয়া বাঞ্ছনীয়। আমরা বারবার বলে আসছি, প্রধান চ্যালেঞ্জ দলগুলোকে ভোটে আনা। এ জন্য সংলাপ, সমঝোতার জন্য সরকারের ভূমিকা নিতে হবে। এটা কমিশনের কাজ নয়। এ সংলাপ শুধু সংলাপের জন্য সংলাপ হলে হবে না। দৃশ্যমান অগ্রগতি থাকতে হবে। রাজনৈতিক ভিন্নতা দূর করে ভোটের পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করতে হবে। এটা নভেম্বরের মধ্যেই হতে হবে। কারণ এ সময়ের মধ্যে হয়ত ইসি ভোটের তফসিলও দিতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রæয়ারিতে দায়িত্ব নেয়ার পর কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত সেপ্টেম্বরে ‘রোডম্যাপ’ ঘোষণা করে। ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন হতে হবে। সে হিসাবে ৩১ অক্টোবর অথবা ১ নভেম্বর থেকে ভোটের ক্ষণ শুরু হবে।