মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী,টেকনাফ
শীত মওসুম আগমনের শুরুতেই টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন সাগর উপকূলের মৎস্যজীবী জেলেদের মাছ আহরণের উৎসাহ চলছে। বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর থেকে সুদূর সেন্টমার্টিন পর্যন্ত বিস্তীর্ণ সাগর উপকূলে টানা জালের মহোৎসব চলছে।প্রতিদিন উপকূলে বসবাসরত জেলেদের টানা জালে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট জাতের মাছ ধরা পড়ছে। উপকূল থেকে ১০ নটিক্যাল সাগরে টানা জাল ফেলে এবং টানা জালের উভয় মাথায় ৩০ জন জেলে মাছ আহরণের জাল সমস্বরে হেইয়া দিয়ে ধীরে ধীরে জাল উপকূলের দিকে নিয়ে আসার পর মাছের লাফালাফি শুরু হয়।এ,দৃশ্য দেখার জন্য উৎসুক জনতার ভীড় জমায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেশীরভাগ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে বিভিন্ন প্রজাতির হিচছড়ি, চুরি সহ ছোট জাতের মাছ। ২১ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় টেকনাফ উপজেলা সাগর উপকূলীয় বাহারছড়া ইউনিয়নের শিলখালীর জেলে দিদারের টানা জালে ধরা পড়ছে চুরি মাছ।আহরণকৃত মাছ জেলেরা সাগর তীরে নিয়ে আসার পর জনতা ভীড় জমায়। আহরণকৃত মাছ তাৎক্ষণিকভাবে ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়ে যায়। এদিকে নাফ নদীর উপকূলের জেলে পরিবারের এখন দুর্দিন চলছে। পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন নিপীড়ন এবং বসতবাড়ি পোড়ানোর ফলে ঝাঁকে ঝাঁকে রোহিঙ্গাদেরবন আগমন ঘটে এবং সেই সাথে মাদকও। রোহিঙ্গা ও মাদক পাচার ঠেকাতে শেষ পর্যন্ত নাফ নদীতে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়। আজ ৬ বছর অতিক্রান্ত হতে চলেছে নাফ নদীতে জেলেরা মাছ আহরণ করতে পাচেছনা। যার কারণে জেলে পরিবারের এখন দুদিঁন চলছে। দীর্ঘদিন নাফ নদীতে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ সংক্রান্ত বিষয়ে উপজেলা মাসিক আইন শৃংখলা কমিটির সভায় একাধিক আলোচনা এবং জেলেরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সারকলিপি প্রদান করার পরও জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি এখনো সুরাহা হয়নি।
Related