বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৫৫ অপরাহ্ন
হেলাল উদ্দিন টেকনাফ :: কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন জেটিঘাটের সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জমি অবৈধভাবে দখল করে পর্যটক উঠা-নামায় বাধাগ্রস্ত করে গড়ে তোলা হয়েছে দোকান পাট। এসব ২৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে চারটার পর্যন্ত সেন্টমার্টিন জেটিঘাট এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়েছে।
অভিযানের নেতৃত্ব ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এরফানুল হক চৌধুরী।এসময় ৩০জন স্বেচ্ছাসেবক উচ্ছেদ অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে জেটিঘাট এলাকার সরকারি খাস খতিয়ান ভুক্ত জমি অবৈধভাবে দখলে নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছিল টিনশেড ও গোলপাতার একাধিক স্থাপনা।
এসব স্থাপনা ফলে সেন্ট মার্টিনে বেড়াতে আসা পর্যটকদের জাহাজে উঠানামার সময় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। পর্যটকদের ভোগান্তি কমাতে জেটিঘাটের আশেপাশে এলাকা থেকে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, সেন্টমার্টিনে বেড়াতে আসা পর্যটকেরা কোনো ধরনের বাধা-বিপত্তি ছাড়াই বিচরণ করার জন্য বৃহস্পতিবার সকাল জেটিঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছিল।
এসব স্থাপনা স্ব উদ্যোগে সরিয়ে ফেলার জন্য একাধিকবার বলা হলেও সরিয়ে না নেওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, জেটিঘাট এলাকায় সড়কের প্রশস্তকরণ ও সৈকতের পর্যটকদের চলাচলে সুবিধার্থে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ অভিযান চলমান রয়েছে। মনিটরিং করা হচ্ছে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। উচ্ছেদ করা এসব জায়গায় পুনরায় কেউ স্থাপনা তৈরীর চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি আইনাগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নুর আহমদ বলেন, তার একটি বৈঠক খানাসহ আরও কয়েকজন মানুষ বালুচরগুলোর দোকানপাট বসিয়ে কিছু লোকজন সংসার চালাতেন। বিনা নোটিশে হঠাৎ করে এভাবে দোকানপাট গুলো ভেঙ্গে দেওয়াই স্থানীয় লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
তবে ওই বালুচর এলাকার কোন সরকারি খাস জমি নয়। বালুচরে আরও দুইশতাধিক দোকানপাট থাকলেও সেগুলো কেন উচ্ছেদ করা হয়নি। ওইসব দোকানপাটের বৈধ কোন ধরনের কাগজপত্র নেই বলে ইউপি চেয়ারম্যান নিজে দাবি করেছেন। আমি এ ব্যাপারে আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে ।