বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩৮ অপরাহ্ন
এমবিবিএস, এমপিএইচ (কমিউনিটি মেডিসিন)
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
দৈনন্দিন জীবনে অনেক কারণেই আমাদের মধ্যে মানসিক অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে। চাকরি, ব্যবসা, সন্তানদের লেখাপড়া, সংসার চালানো, বাবা-মায়ের শারীরিক অবস্থা, নিজের স্বাস্থ্য, … দুশ্চিন্তার যে কত কারণে হতে পারে তার তালিকা হয়ত শেষ হবে না। তবে এসবই জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
অনেক সময় ব্যক্তি অল্প সময়ের জন্য অস্বস্তিতে ভোগে, আবার তা থেকে বেরিয়ে আসে। কিন্তু এই অস্থিরতা যখন স্বাভাবিক মাত্রাকে অতিক্রম করে স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে, তখন তা থেকে বেরিয়ে আসা জরুরি হয়ে পড়ে। তাই আপনাদের জন্য আজকে মানসিক অস্থিরতা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু প্রয়োজনীয় টিপস শেয়ার করছি:
১. অস্থিরতা দেখা দিলে প্রথমে ব্রিদিং রিলাক্সেশন করুন। নাক দিয়ে ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিন। বুক ভরে ভেতরের সব খালি জায়গা বাতাসে ভরে ফেলুন। দমটা অল্পক্ষণ আটকে রাখুন। তারপর মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। এভাবে পরপর তিনবার করুন।
২. অনেক সময় যে কারণে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, সেই বিষয়টি কারো সঙ্গে শেয়ার করলে অস্থিরতা কমে যায়। তাই যাকে আপনি বিশ্বস্ত মনে করেন এবং যার সঙ্গে শেয়ার করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তার সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করুন। তার পরামর্শ শোনোন।
৩. অস্থিরতার পেছনে যে কারণগুলো কাজ করে, সব সময় তা দূর করা সম্ভব নাও হতে পারে। তাই পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার দক্ষতা অর্জন করে ক্ষতিকর প্রভাবগুলো কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন।
৪. সারাদিনে নিজের জন্য কিছু সময় বরাদ্দ রাখুন। এই সময় নিজের ভালোলাগার কাজটি করুন। যেমন: চোখ বন্ধ করে পছন্দের গানটি শুনুন, প্রিয় কবিতাটি পড়ুন। হালকা ব্যায়াম করুন, নিয়মিত হাঁটুন। নেশাজাতীয় দ্রব্য এড়িয়ে চলুন।
৫. ভবিষ্যৎ নিয়ে অহেতুক দুশ্চিন্তা না করে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করুন এবং সেই অনুযায়ী অগ্রসর হন। এক্ষেত্রে নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে ভালো ফল পাবেন। পবিত্র কোরআনে সূরা আত-ত্বালাক্বের ৩ নাম্বার আয়াতে এসেছে, “এবং তিনি তাকে এমন উৎস থেকে রিযক দিবেন যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। আর যে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তাঁর উদ্দেশ্য পূর্ণ করবেনই। নিশ্চয় আল্লাহ প্রত্যেক জিনিসের জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন।“