মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০২:০৭ অপরাহ্ন
নরসিংদীর পলাশে ছাত্রদল-বিএনপির সংঘর্ষে আহত ছাত্রদল কর্মী ইসমাইল হোসেন (২৬) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার ছয় দিন পর শনিবার (২১ জুন) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত ইসমাইল হোসেন পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার খানেপুর গ্রামের আব্দুর রহিম ভূঁইয়ার ছেলে।
নিহতের বাবা আব্দুর রহিম ভূঁইয়া বলেন, শনিবার দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। আজই (গতকাল) জানাজা শেষে গ্রামের বাড়িতে তার দাফন করা হবে। আমার ছেলের হত্যার বিচার ও জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।
পলাশ থানার ওসি মো. মনির হোসেন বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, গুলিবিদ্ধ ইসমাইল হোসেন মারা গেছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে এখনও জানায়নি। বিষয়টি জানানোর পর পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
গত ১৫ জুন সন্ধ্যায় পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার বিএডিসির মোড়ে পলাশ উপজেলা ছাত্রদল ও জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের শোডাউনকে কেন্দ্র করে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।
এ ছাড়া ছাত্রদল কর্মী ইসমাইল ও পথচারী সোহেল মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। পরে আহত ইসমাইলকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ইসমাইল হাসপাতালে ভর্তির ৬ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় রবিবার রাতেই ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সিয়াম মিয়া বাদী হয়ে জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর কবির জুয়েলকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয় ৪০-৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। পরে জুয়েলের পক্ষ থেকে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বিএনপি নেতা জুয়েলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।