সকালের নাশতা বা দুপুরের খাবারে অনেকেই ডিম খেয়ে থাকেন। এ ছাড়া দ্রুত রান্নার জন্যও ডিম উপযোগী। সে জন্য বেশিরভাগ বাড়িতে ফ্রিজে মজুত থাকে এই খাবারের। যাতে চট করে বের করে পছন্দমতো সিদ্ধ, পোচ, ভাজা যেকোনো একটা বানিয়ে নেওয়া যায়।
তবে ফ্রিজ থেকে বের করেই কি ঠাণ্ডা ডিম সরাসরি সিদ্ধ করতে বসিয়ে দেন? এর থেকে কী হতে পারে, কেনই বা ডিমকে আগে ঘরের তাপমাত্রায় আনা জরুরি। চলুন, জেনে নেওয়া যাক—
পানিতে ডিম দিয়ে সিদ্ধ করতে দিলেন। কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল ডিমের খোসা ফেটে ভেতর থেকে কুসুম ও সাদা অংশের কিছুটা বের হয়ে আসছে। অথচ ডিমটি খুব সাবধানেই সিদ্ধ করার জন্য পাত্রে দিয়েছিলেন।
অনেক সময় ফ্রিজে থাকা খুব ঠাণ্ডা ডিম সরাসরি গরম করতে দিলে এমন হয়। হঠাৎ ঠাণ্ডা ও গরমের তারতম্যে এমনটা হতে পারে।অতিরিক্ত ঠাণ্ডা ডিম সিদ্ধ হতেও বেশি সময় লাগে। গ্যাস বা জ্বালানি খরচও বেড়ে যায়।
এ ছাড়া সময়েরও অপচয় হয়। বিশেষত, তাড়াহুড়ার সময় এই পন্থা অনুপযুক্ত।ফ্রিজের তাপমাত্রা যদি খুব কম থাকে তাহলে কুসুমের অংশও জমে যেতে পারে। বিশেষত শীতকালে এমনটা হয়। এ রকম ডিম যেমন হঠাৎ করে সিদ্ধ হয় না, তেমনই কোনো অংশ নরম রয়ে যেতে পারে।
বিশেষত কুসুম পুরোপুরি সিদ্ধ করতে চাইলে ডিম ফ্রিজ থেকে অন্তত আধ ঘণ্টা আগে বের করে রাখা দরকার।ফ্রিজের ঠাণ্ডা ডিম সিদ্ধ করতে খোসা ছাড়ানোর সময়ও সমস্যা হতে পারে। পানিতে একটু লবণ বা ভিনেগার দিয়ে ডিম সিদ্ধ করলেও খোসা ছাড়ানো সহজ হয়।
কিভাবে ডিম দ্রুত ঘরের তাপমাত্রায় আনবেন
অনেক সময় দেখা যায় সকালে তাড়াহুড়ায় ডিম রান্না করতে হবে। কিন্তু ফ্রিজ থেকে বের করা হয়নি বা হাতে খুব একটা সময় নেই। এমন সময় হালকা গরম পানিতে ডিমটি পাঁচ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে পারেন। এতেই ডিমের অতিরিক্ত ঠাণ্ডাভাব কেটে যাবে। তারপর সেটি সিদ্ধ বা পোচ করতে পারেন।
সূত্র : আনন্দবাজার ডট কম