রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:২২ অপরাহ্ন
কক্সবাজার শহরে সোনার ওজনে কারচুপির অভিযোগে অভিযান চালিয়ে স্বনামধন্য তিন জুয়েলারি ব্যবসায়ীকে মোট ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
(৭ আগস্ট) বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজার শহর ও পৌর এলাকায় হঠাৎ এ অভিযান পরিচালনা করেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা বেগম।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের তথ্য অনুযায়ী, কউক এর ঝটিকা অভিযানে শহরের স্বনামধন্য জিপি ধর এন্ড সন্স,গিণি ম্যানশন ও প্রদীপ জুয়েলার্স এর দোকানে সোনা পরিমাপের যন্ত্রে ওজন বিভ্রাট ধরা পড়ে।
অভিযুক্ত স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বছরের পর বছর একই যন্ত্র ব্যবহার করলেও তা বিএসটিআই কর্তৃক সনদপ্রাপ্ত নয়। যন্ত্রগুলোর কোনোটিতেই বিএসটিআই স্টিকার পাওয়া যায়নি।
সাধারণ গ্রাহকদের অভিযোগ, শহরের বেশিরভাগ স্বর্ণের দোকানে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী গ্রামে সোনা না মেপে সনাতন পদ্ধতিতে ওজন করা হয়। এছাড়া অনেক দোকানে মূল্য তালিকা বা ক্যাশ মেমোর ব্যবস্থা রাখা হয় না। তাদের অভিযোগ এসব দোকালগুলো নানা কৌশলে স্বর্ণের ওজনে কারচুপি করে সাধারণ গ্রাহকদের ঠকিয়ে কোটি কোটি টাকা লুটে নিচ্ছে। যা গুরুতর অপরাধ। অভিযুক্তদের লাইসেন্স বাতিলেরও দাবী জানান তারা।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা বেগম কক্সবাংলাকে বলেন, অভিযানে গিয়ে দেখা যায়, জিপি ধর এন্ড সন্স,গিণি ম্যানশন ও প্রদীপ জুয়েলার্স এর ব্যবসায়ীরা সোনা পরিমাপের যন্ত্র কখনোই চেক করেন না। একই যন্ত্র দিয়ে তারা ২৫-৩০ বছর ধরে সোনা ওজন করে বেচাকেনা করছেন। ওজন পরিমাপের যন্ত্রে সোনা পরিমাপে ভিন্নতা পাওয়া গেছে। এইসব অনিয়মের কারণে জিপি ধর এন্ড সন্স,গিণি ম্যানশন ও প্রদীপ জুয়েলার্স ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনসহ বিভিন্ন আইনের আওতায় প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, একইদিন কক্সবাজার শহর ও পৌর এলাকায় কামিনী মোহন এন্ড ব্রাদার্স লি: ভোলা বাবুর পেট্রোল পাম্প, বাস টার্মিনাল ও লিংক রোডের ক্যাপ্টেন কক্স,হাজী আশরাফ আলী এবং ফয়েজ এন্ড ব্রাদার্স সহ ৪টি ফিলিং স্টেশনে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ওই ৪ প্রতিষ্ঠানের ওজনের পরিমাপ এবং মিটার রিডিং সঠিক থাকায় তাদের কোন জরিমানা করা হয়নি।
অভিযানে কউক এর উর্ধতন কর্মকর্তাসহ থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।