রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক।।
দুই দফা পিছিয়ে ৫ ডিসেম্বরে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে এই তারিখ নির্ধারণ করা হয়। একই সাথে অসম্পন্ন থাকা মহেশখালী, কুতুবদিয়া, কক্সবাজার সদর ও ঈদগাঁও উপজেলার সম্মেলনের তারিখও ঘোষণা করা হয়েছে। তারিখ নির্ধারণের পর দলের নেতাকর্মীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে দলের সম্ভাব্য সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগ্য মাধ্যমে প্রচারণা শুরু করেছেন।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে যথাসময়ে সম্মেলন হবে বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সম্মেলনকে সামনে রেখে চারটি উপজেলা ছাড়া বাকি সব উপজেলার সম্মেলন ইতিমধ্যে শেষ করা হয়েছে। বাকি চারটির মধ্যে ১৬ নভেম্বর মহেশখালী, ১৭ নভেম্বর কুুতুবদিয়া উপজেলা, ১৮ নভেম্বর ঈদগাঁও এবং ১৯ নভেম্বর কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এরপরই আমরা কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের প্রস্তুতি নিব।
এবার সম্মেলনে সভাপতি পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ, সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক মুকুল।
সাধারণ সম্পাদক যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাঁরা হলেন, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, জেলা আওয়ামী লীগের দুই যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রণজিত দাশ ও মহেশখালী কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা আওয়ামী লীগের দুই সাংগঠনিক সম্পাদক মাশেদুল হক রাশেদ ও নাজনীন সরওয়ার কাবেরি, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম।
দলের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনেক গুরুত্ব বহণ করে। বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াতের নৌরাজ্য মোকাবেলা করতে তরুন আদর্শবাদ নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন তারা।
আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা বলেন, দলের জন্য অতীতেও কাজ করেছি এখনো কাজ করছি। আমার চাওয়া কিছুই নেই। নেত্রী যা দিবে তাতেই আমি সন্তুষ্ঠ। আমার মনে হয় নেত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নিলে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমে আসবে। আমরা প্রতিযোগিতা করি, আর না পাওয়ার বেদনায় দলাদলি শুরু করি। পেশি শক্তি প্রদর্শণ করি। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও সহ-সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দলের নেতা-কর্মীরা এখন উজ্জীবিত। সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণের পর দলে প্রাণ নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা দেখা দিয়েছেন। দলের নেতৃত্ব পেলে অতীতের মতো দলকে সুসংগঠিত গতিশীল করতে ভূমিকা রাখবো।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট রণজিত দাশ বলেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে আমরা দীর্ঘদিন কাজ করেছি। বিএনপি জামায়ারেত নৌরাজ্য ঠেকাতে দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে সব সময় মাঠে ছিলাম, আছি, থাকব।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফাকে সভাপতি এবং মুজিবুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর সভাপতি সিরাজুল মোস্তফাকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক করে সহ-সভাপতি ফরিদুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়।