বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩৪ অপরাহ্ন
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের কালিকাপুর ইউনিয়ন এর ছপুরা গ্রামের মোহাম্মদ হারুনের স্ত্রী মোসাম্মৎ হুলজাহান বেগম। দীর্ঘদিন এর দাম্পত্য জীবনে এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করে আসছিল। বিগত সাত বছর আগে হঠাৎ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেছে আর ফিরেনি, পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে দুএক বছর পর মৃত ভেবে জেয়াফত দোয়া মাহফিল পর্যন্ত করে। কারো কোন খোঁজ খবর নেই। মানসিক রোগীদের তহবিল – মারোত দীর্ঘদিন যাবৎ মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরেদের নিয়ে কাজ করে নিজস্ব তহবিলের মাধ্যমে। মানসিক রোগীদের মাঝে নিয়মিত খাবার, কাপড়, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। টেকনাফ, শাহপরীদ্বিপ, হ্নীলা, রামু সহ বিভিন্ন ইউনিটে প্রার দুইশতাধিকেরও বেশি মানসিক রোগীদের একবেলা খাবার বিতরণ করে আসছিল। এরই মধ্যে কয়েক বছর যাবৎ হুলজাহান টেকনাফে অবস্থানরত আছে। নিয়মিত মারোতের খাবার নিয়ে খায়, কয়েকদিন আগে শীতবস্ত্র বিতরণের সময় হঠাৎ করে মারোতের উপদেষ্টা সাইফুল হাকিম এর নজরে আসে, এবং আদর দিয়ে তার পরিচয় জানতে চাইলে প্রথমে সামান্য এলোমেলো বললেও পরবর্তীতে নোয়াখালী কুমিল্লা এলাকার বিভিন্ন লোকজন এর সাথে যোগাযোগ করে ঠিকানা নিশ্চিত হলে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হয়। পরিবারের লোকজন সেই মানসিক রোগীকে ফিরিয়ে নিতে চাইলে টেকনাফ এর মানবিক সংগঠন মারোতের নের্তৃবৃন্দ যথাযথ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে হুলজাহানের ছেলে আইডি কার্ডসহ মারোত নের্তৃবৃন্দ এর সাথে যোগাযোগ করে। মারোতের উপদেষ্টা সাইফুল হাকিম মা ছেলের সামনাসামনি করেন, এবং পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য ইন্টারভিউ নেন মারোত সভাপতি আবু সুফিয়ান। , উভয়ই উভয়ের সাথে মিলিত হয়ে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্ট হয়। এর পর মারোতের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক অনারম্বর অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে একমাত্র ছেলে মোহাম্মদ আলী তার মাকে গ্রহণ করেন। এসময় মারোতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক সন্তোষ কুমার শীল, উপদেষ্টা সাইফুল হাকিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মিরাস উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক আজিম উদ্দিন সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।এটা মারোতের ৩৭তম হস্তান্তর। এর আগে আরও ৩৬জন মানসিক রোগীদের নিজ নিজ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।