বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০৬ পূর্বাহ্ন
হত ওই গৃহবধূর প্রতিবেশী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ২০ জানুয়ারি বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর কলেজপাড়া এলাকার আবদুল খালেকের মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের সঙ্গে মনোয়ার হোসেনের বিয়ে হয়। স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই এটা দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর থেকে মনোয়ার তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে ঘাষিপাড়া এলাকায় (জেলা কারাগারের পেছনে) একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শেখ জিন্নাহ আল মামুন বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে মনোয়ার হোসেন থানায় এসে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে স্ত্রীকে হত্যার কথা জানান। পরে পুলিশ মনোয়ার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে মনোয়ার বলেন, এক মাস আগেই তাঁদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর থেকে তাঁর স্ত্রী সুমাইয়া একাধিকবার সাবেক স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে একাধিকবার বাগ্বিতণ্ডা হয়েছিল। সর্বশেষ শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে দুজনের কথা-কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে মনোয়ার ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর স্ত্রীর শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন। এরপর লাশ ওয়ার্ডরোবে লুকিয়ে রেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পরে রাতে তিনি থানায় আত্মসমর্পণ করেন।মনোয়ারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রাতেই পুলিশ ওই বাড়ি থেকে সুমাইয়ার লাশ উদ্ধার করে। লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শেখ জিন্নাহ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় নিহত সুমাইয়ার ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার মনোয়ার হোসেনকে আজ শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। তবে এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে আর কোনো কারণ আছে কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।