বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩১ অপরাহ্ন
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার কোন তোয়াক্কা নেই
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজার দক্ষিন বন বিভাগের জমিতে রেস্তোঁরার নামে মাদক ব্যবসা চলছে। কক্সবাজার হিমছড়ি সালসা বীচ পয়েন্টের মেরিন ড্রাইভ সড়কের পূর্বে পশ্চিমে বাহারি রঙের সাইনবোর্ড ও ঝিলমিল লাইটিং দিয়ে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি রেস্তোঁরা। অভিযোগ রয়েছে, সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল কে ম্যানেজ করে রিয়ান রে¯েুÍাঁরা এন্ড বিরানী হাউস সহ বেশ কয়েকটি খাবার হোটেল গড়ে উঠেছে। যাদের বেশির ভাগই সরকারী বৈধ কাগজ পত্র নেই। নেই পরিবেশের ছাড়পত্র।এ সব হোটেল রেস্তোঁরায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ও মানছেনা। নির্দেশনায় প্রথমে বলা হয়েছে, পরিবেশ ও প্রদর্শন। অর্থাৎ রান্নাঘর হতে হবে স্বচ্ছ কাচ দ্বারা বেষ্টিত। কিংবা সাময়িকভাবে সিসি ক্যামেরা ও বড় মনিটর স্থাপন। ভেজালমুক্ত, গুণগত মানে উন্নত ও সঠিক পরিমাণ খাদ্য পরিবেশন। এখানে কেউ যেন পচা, বাসি কোনো খাবার পরিবেশন না করে। শুধু তাই নয়, আগের দিনের জমা রাখা তেল দিয়ে যেন কোনো ধরনের রান্না করা না হয়। হোটেল বা রে¯েুÍাঁরায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা।
নির্দেশনায় আরও যে বিষয়গুলো গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তা হলো ’ভোক্তার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, ডাইনিং ও রান্নাঘর এলাকার পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা। বর্জ্য সংরক্ষণের স্থান বা পাত্র ঢাকনা দিয়ে আবদ্ধ রাখা। খাদ্য স্থাপনার জন্য বেশকিছু নির্দেশনা রয়েছে। এর মধ্যে রান্নাঘরে স্টেইনলিস স্টিলের তৈজসপত্র ও আসবাবপত্র ব্যবহার করা। ভোজ্যতেল ব্যবহার ও দূষিত বা পোড়া তেল পরিহার করা। ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ ও লেবেলবিহীন পণ্য পরিহার করা। খাদ্য কর্মীদের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নির্দেশনা রয়েছে। তাদের অ্যাপ্রন, টুপি, গ্লাভস, জুতা প্রতিদিন পরিষ্কার রাখা। এমনকি তাদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যর ব্যাপারেও বলা হয়েছে। এ ছাড়া খাদ্য মজুদ, সংরক্ষণ ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কেও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব হোটেল বা রেস্তোঁরায় সুষম খাবার পরিবেশনের কোনো বালাই নেই। এক কথায় সরকারি নিয়ম নীতির কোন তোয়াক্কা নেই মালিক পক্ষের। কক্সবাজারে বেড়াতে অসা রংপুর সিটি এলাকার নজরুল নামক এক ব্যবসায়ী জানায়, এসব রেস্তোঁরায় কিছু যুবক মদ বিয়ার খেতে দেখেছি। যা খুবই দুঃখজনক। আর দাম ও মান ঠিক নেই। স্থানিয়দের মতে, হিমছড়ি সালসা বীচ পয়েন্টের মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশে ব্লক বীচ এলাকায় কয়েকটি রেষ্টুরেন্ট কে মিনি বার হিসাবে গড়ে তুলেছে অসাধু রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা। হোটেলের আড়ালে যেন মদ,বিয়ার,ইয়াবা সেবনের নিরাপদ আশ্্রয়স্থল! পাশে রয়েছে কয়েকটি আবাসিক হোটেল। যেখানে সর্বদা মদ,জোয়া ও ইয়াবার আসর চলে নিয়মিত। পতিতা খদ্দের তো থাকছেই। সম্প্রতি ক্সবাজারে বেড়াতে এসে বন্ধুদের সাথে আসর বসিয়ে মাত্রাতিরিক্ত ইয়াবা সেবন করে মারা গেছে ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা তরুণী স্বর্ণা রশিদ (২২)। গত শুক্রবার কলাতলীর হোটেল জামানেই তারা আসর বসিয়ে ইয়াবা সেবন করেছিলেন। তরুণীর এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় হোটেল ও কটেজে ইয়াবা আসর বসানো নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কিছু টা তৎপর দেখা গেলে ও বর্তমানে অনেকটা নিরব দর্শকের ভূমিকায়। ফলে চলতি টুরিষ্ট মৌসুমে আবারো শুরু হয়েছে মাদক ও ইয়াবার আসর। এদিকে মেরিন ড্রাইভ সড়কের মত ব্যস্ততম সড়কের পাশে এ সব রেস্তোঁরা বসানোর ফলে সড়কে যানজট সৃষ্টির পাশাপাশি ভোক্তারা ও নিয়মিত টকছেন। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চট্রগ্রামের পরিবেশ অধিদপ্তরের শীর্ষ এক কর্মকর্তা দৈনিক কক্সবাজার ৭১ কে জানায়,আমার মনে হয়না এসব হোটেলে ছাড়পত্র আছে! কক্সবাজার দক্ষিন বন বিভাগের ডিএফও সরওয়ার আলম জানায়,বনের জায়গা না খাস জমি তা আমি খুজ নিয়ে জানাবো। এ ব্যাপারে রিয়ান রে¯েুÍাঁরা এন্ড বিরানী হাউস এর মালিক নুর মোহাম্মদ রাসেল জানান,পরিবেশের ছাড়পত্র সহ বৈধ সকল কাগজপত্র আমাদের রয়েছে। তিনি তার হোটেলে অবৈধ কিছু হয়না বলে ও জানান।#