রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন
আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় IMEI পরিবর্তন করে দুষ্কৃতকারী এবং রোহিঙ্গাদের নিকট মোবাইল বিক্রয়ের সংঘবদ্ধ চক্রের প্রধানসহ পাঁচজন র্যাব-১৫ এর হাতে গ্রেফতার; চোরাই মোবাইল, IMEI পরিবর্তনের ডিভাইস ও ল্যাপটপ উদ্ধার।
র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সূত্রে জানতে পারে, চকরিয়ায় দীর্ঘদিন যাবত সক্রিয় মোবাইল চোর সিন্ডিকেট এবং IMEI পরিবর্তনকারী চক্র IMEI পরিবর্তন করে অপরাধ ও অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংগঠন বা চক্রের সদস্যদের ও রোহিঙ্গাদের নিকট মোবাইল ফোন বিক্রয় করে আসছে। উক্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বর্ণিত বিষয়ে সত্যতা যাচাই-বাছাই করে ০৭ জুন র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর একটি চৌকস আভিযানিক দল কক্সবাজারের চকরিয়া থানাধীন পৌরশহরের চকরিয়া শপিং কমপ্লেক্স এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। একপর্যায়ে উক্ত শপিং কমপ্লেক্স এর নিচ তলায় সেল কেয়ার নামক মোবাইল সার্ভিসিং দোকানে র্যাবের অভিযানের বিষয়টি বুঝতে পেরে একজন ব্যক্তি কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে মিজবা উদ্দীন নামে একজন চোরাই মোবাইল বিক্রেতাকে র্যাব গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত চোরাই মোবাইল বিক্রেতার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রংধনু সেল কেয়ার ও সফটওয়্যার ভিলেজ নামক মোবাইল দোকানে অভিযান পরিচালনা করে সর্বমোট ৫৫টি চোরাই মোবাইল, IMEI পরিবর্তনের ১১টি ডিভাইস, ০৪টি ল্যাপটপ, ০১টি মনিটর, ০১টি পিসি ও অবৈধ মোবাইল বিক্রির নগদ ২৬ হাজার ৫শ টাকা উদ্ধার এবং IMEI পরিবর্তন করে বিভিন্ন অপরাধী এবং রোহিঙ্গাদের নিকট বিক্রয় সিন্ডিকেটের প্রধান দলনেতা মোর্শেদসহ চক্রের ০৫ সদস্যকে র্যাবের আভিযানিক দল গ্রেফতার করে।
ধৃত ব্যক্তিরা হলেন- পেকুয়ার হাজিরঘোনা এলাকার আলমগীরের ছেলে মো, মোর্শেদ, চকরিয়ার বিএমচর এলাকার মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে নিজবাহ উদ্দিন, চকরিয়ার পহরচাদা এলাকার মৃত আব্দুল হামিদ এর ছেলে আমিনুল ইসলাম, আব্দুল হামিদ এর ছেলে মনিরুল ইসলাম এবং চকরিয়ার ফুলতলা এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে শহীদুল ইসলাম বলে জানা গেছে।
ধৃত ব্যক্তিরা জানায়, তারা পরস্পরের যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ এই অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত এবং বিভিন্ন মাধ্যম হতে চোরাইকৃত মোবাইল সেট কম দামে ক্রয় করে IMEI পরিবর্তনের পর পুনরায় তা বিভিন্ন অপরাধী, সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত সংগঠন বা চক্রের সদস্যসহ রোহিঙ্গাদের নিকট বিক্রয় করে থাকে। উপরোল্লিখিত চোরাই মোবাইল ও অন্যান্য আলামতসহ র্যাব-১৫ এর আভিযানিক দলের কাছে ধৃত হয়।
উদ্ধারকৃত আলামতসহ ধৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।