বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১৫ অপরাহ্ন
হারুনর রশিদ:
কক্সবাজার পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ড গাড়ীর মাঠের ১নং গলিতে খাস খতিয়ান ভুক্ত জমিতে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কোন অনুমোদন না নিয়ে পাশাপাশি গড়ে উঠছে বহুতল দুটি ভবন। খোজ নিয়ে জানাগেছে পৌর শহরের কলাতলি , লাইট হাউস, লিং রোড়, বৈদ্য ঘোনা, বাস থার্মিনাল , পূর্ব ঘোনার পাড়া, নুনিয়ারছড়া, বিজিবি ক্যাম্পের পশ্চিমপাশে, মোহাজেরপাড়া, উত্তর রুমালিয়ারছড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ভূমি দস্যুরা ১নং খাস খতিয়ান ভুক্ত জমি এবং পাহাড় কেটে অবৈধ ভাবে স্থাপনা নির্মানের হিড়িক পড়েছে। এছাড়া ও শহরের গাড়ির মাঠের দু’পাশের জায়গা দখল করে অবৈধ ভাবে ভাঙ্গারি/ স্ক্রাবের দোকা বসিয়ে জন চলাচলে বাঁধা বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। যাহা দেখার কেউ নেই।
শহরের পূর্বঘোনাপাড়া এলাকার শুটকি/শুকনা মাছ বিক্রেতা আলমগীর নামের এক ব্যক্তি পাহাড় কেটে অবৈধ ভাবে বহুতল ভবণ নির্মান করেছে । কোন দালিলিক কাগজপত্র ছাড়া অবৈধ ভাবে দখল করে আছে সরকারী জমিতে।
পৌরসভার গোলদীর্ঘিরপাড় এলাকায় রাস্তার পাশে ইট,বালি রেখে দেদারছে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে শামশুল আলম নামের অপর এক ব্যক্তি। প্রশাসন যেন এসব অবৈধ ব্যবসায়িদের কাছে অসহায়। না হয় জনচলাচলের রাস্তার উপর কি ভাবে এসব ইট,বালির ব্যবসা করছে সে।
কক্সবাজার জেলা শহরের সুশীল সমাজের নেতা-কামাল উদ্দিন রহমান পিয়ারুর সাথে কথা হলে তিনি জানান-সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, পৌরসভা কঠুর ভাবে নজর দিলে শহরের অব্যবস্থাপনা র্নিমুল করা সম্ভব।
কক্সবাজার জেলার বীর মুক্তি যোদ্ধা সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ আলী জানান- প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি কক্সবাজার। কক্সবাজার পৌরসভার নতুন মেয়র মাহবুবুর রহমান দায়িত্ব ভারগ্রহণ করেছেন। আশা করি অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে পৌরসভার বিভিন্ন সমস্যাধী সমাধানের জন্য তিনি কাজ শুরু করবেন।
অনেকেই খাস খতিয়ানের জমিতে গড়ে তুলেছে বহুতল ভবন। ওইসব ভবণ বেছা বিক্রি করে আবার বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখিন ও হচ্ছে তারা। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে নোটারির মাধ্যমে ওই সব বহুতল ভবণ বেছা বিক্রির কারনে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
শহরের লাইট হাউজ পাড়ার বাসিন্দা ভেন চালক আবুল বশর জানান- আমরা আর এস/ বিএস খতিয়ান ঠিক আছে এমন কাগজপত্র জমা দিয়েও একটি বিদ্যুৎ মিটার পেতে হিমশিম খেতে হয়। কিন্তু অবৈধ ভাবে খাস জমিতে তৈরি হওয়া বহুতল ভবণে বিদ্যুৎ বিভাগ কি ভাবে বিদ্যুৎ এর সংযোগ/মিটার দেয় তা তাদের বোধগম্য নয় বলে জানান তিনি ।
সচেতন মহলের অভিমত বিদ্যুৎ বিভাগ যদি খাস জমিতে নির্মিত বহুতল ভবন গুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে কাগজপত্র যাচাইবাচাই করতো তা হলে অনেক অবৈধ স্থাপনা বিদ্যুৎ বিহীন থাকতো।
কক্সবাজার শহরের আদর্শ গ্রামে পাহাড় কেটে অবৈধ ভাবে বহুতল ভবণ নির্মান করছে অবৈধ দখলদাররা এবং পাহাড় কেটে তারা প্রকল্প বানিয়ে পলট বিক্রিও করছে অবৈধ দখলদাররা। স্থানীয় একদল সাংবাদিক সরেজমিনে গেলে টনক নড়ে অবৈধ দখলদারদের। সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অনুমোদন না নেওয়ার কারনে প্রতি বছর সরকার ব্যাপক হারে রাজস্ব হারাচ্ছে। দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ,পাহাড় ঝর্ণা আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলা ভ’মি কক্সবাজারের সম্ভাবনা যেমন, সমস্যাও রয়েছে অনেক। আর এই সমস্যাগুলি চিহ্নিত করে পদক্ষেপ গ্রহণ করলে পরিছন্ন কক্সবাজার পৌরসভায় রূপান্ত হবে বলে সচেতন মহলের অভিমত।
শহরের গাড়ীর মাঠ এলাকার বাসিন্দা আবু বক্কর ছিদ্দিক হতাশ হয়ে এ প্রতিবেদককে জানায় যে, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন যদি কঠুর প্রদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আগামী দু এক বছরের মধ্যে অবৈধ স্থাপনার কারনে নালা দখল হয়ে পানি নিষ্কাশনে ব্যঘাত ঘটবে, রাস্তার দু’পাশে ফুটপাত দখল হয়ে জন চলাচলের ব্যাপক সমস্যা দেখা দিবে। তাই অতিদ্রুত সময়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের মির্ম্মিত্তে জোর আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
যে ভাবে পাহাড় কেটে বাড়ীঘর তৈরি করছে অবৈধ দখলদাররা। একারনে এ অঞ্চলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সবুজ অরণ্য আর থাকবে না। কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকার সবুজ বনাঞ্চল ছাবাড় করে গড়েউঠছে বহুতল ভবন। এসব পাহাড় খেকুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনে কাছে জোরদাবী জানান পরিবেশ বাদী সংগঠনগুলি।