নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বানিজ্যিক কেন্দ্র পেকুয়া বাজারের যানজট যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। যানজট মানুষের কাছে খুব পরিচিত শব্দ। সবসময় আমরা এ যানজটের সম্মুখীন হচ্ছি। বর্তমানে পেকুয়াবাসীর প্রধান সমস্যা এ যানজট। সারাদিন লেগে থাকে যানজট।দিন যত যাচ্ছে, যানজট যেন তত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
যানজটের কারণে বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষের কর্মঘণ্টার অপচয় হচ্ছে।যানজটের কারণে বিভিন্ন ইউনিয়নের রোগী বাহী পরিবহন সময়মতো হাসপাতাল/ক্লিনিকে পৌঁছাতে পারেনা। বেড়েই চলছে অসহনীয় দুর্ভোগ।
স্কুল-কলেজে সময়মতো যেতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষার সময় যানজটের কারণে পরীক্ষার হলে ঢুকতে দেরি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। গুরুত্বপূর্ণ এই বানৌজা শেখ হাসিনা সড়কে যানজট থেকে কখন মুক্তি পাবে পেকুয়া বাসী সাধারণ জনগণের প্রশ্ন ।এই বানৌজা শেখ হাসিনা সড়ক দিয়ে বাংলাদেশের একমাত্র সাবমেরিন বানৌজা শেখ হাসিনা সাবমেরিন ঘাঁটির মালামাল যায়।কুতুবদিয়ার মানুষের একমাত্র প্রথম যাতায়াতের অন্যতম এই বানৌজা শেখ হাসিনা সড়ক। যানজটের কারণে দুর্ভোগে কুতুবদিয়াবাসী।
পথচারীরা জানান,বানৌজা শেখ হাসিনা সড়কটি ৪ লেনের হওয়ার স্বত্বেও পেকুয়া বাজারের যানজট নিত্যদিনের সঙ্গী।যানজট হওয়ার মূল কারণ হলো বাজার
ইজারাদাররা রাস্তার দুপাশে ফুটপাত দখল করে দোকান বসিয়ে দিছে,ইজিবাইক(টমটম),সিএনজি গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি, হিজিবিজি গাড়ি পার্কিং যানজটের অন্যতম কারণ।
বাজার ব্যবসায়ীরা জানান আমরা অনেক টাকা সালামি ও ভাড়া দিয়ে দোকান নিয়েছি,কিন্তু এই যানজট সবসময় থাকার কারণে দূরদূরান্ত থেকে আসা ক্রেতাও বিক্রেতার সংখ্যা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।উপজেলা প্রশাসন কিছু দিন আগে ফুটপাত দখল মুক্ত করছিল,কিন্তু এখন আবার দখলে নিছে প্রভাবশালীরা।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওমর হায়দার বলেন, পেকুয়া হলো ছোট একটি উপজেলা। এখানে ইজিবাইক(টমটম),সিএনজি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি তাই যানজট সবসময় লেগেই থাকে। আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি কীভাবে এই যানজট নিরসন করা যায়।
Related