বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৭ অপরাহ্ন
কক্সবাজার ৭১ অনলাইন ডেস্ক:
প্রসূতি মায়ের অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান বন্ধে সরকারের বিদ্যমান নীতিমালা আইনের অংশ। এখন থেকে নীতিমালা অনুযায়ীই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে জনসচেতনতা তৈরি করতে নীতিমালাগুলো আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রচারের ব্যবস্থা করতে বলেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এ রায়ের ফলে সিজার বন্ধে বিদ্যমান নীতিমালাটি আইন হিসেবে পরিণত হয়েছে বলে জানান রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম।
তিনি বলেন, স্বাভাবিক প্রসবের ব্যাপক প্রচারণা এবং অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধ করার লক্ষ্যে গাইডলাইনগুলো আগামী ছয় মাসের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত নীতিমালাকে আইনের অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তাই এই নীতিমালা মানতে এখন সবাই বাধ্য। নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে হাইকোর্টের আরও একটি রায়।
উচ্চ আদালতের এ রায় দেশে অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধে সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
এর আগে, গত বুধবার (১১ অক্টোবর) প্রয়োজন ছাড়া প্রসূতির সিজার কার্যক্রম বন্ধে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়।
২০১৯ সালের ৩০ জুন প্রয়োজন ছাড়া প্রসূতির সিজার কার্যক্রম রোধে নীতিমালা তৈরি করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি ক্লিনিকে অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান প্রতিরোধে কার্যকর তদারকি করতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।