বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৫৬ অপরাহ্ন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পলাতক আসামি তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানের জীবনযাপন নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। তারেক রহমান লন্ডনে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে তার স্ত্রী-কন্যারাও দেশ ছাড়েন। শৈশব দেশে কাটালেও লন্ডনে বড় হয়েছেন তারেক কন্যা জাইমা রহমান। বিএনপির অনেক নেতাকর্মী জাইমাকে ভবিষ্যৎ নেতা হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। তবে বিএনপির নেতৃত্বে আসার আগেই ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি করেছেন জাইমা রহমান। বাবা তারেক রহমানের মতই জাইমার যৌন জীবন নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গেছে, লন্ডনে বাবা মায়ের সাথেই বড় হন জাইমা রহমান। তার বাবা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হওয়ায় প্রতিদিনই তাদের বাসায় নানা ধরনের মানুষ আসতো। নানা বয়সের নারী, পুরুষ আসতেন। প্রথম দিকে জাইমার মনে হত রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনার জন্য সবাই আসেন। কিন্তু জাইমা তার কৈশোরের একটা পর্যায়ে দেখতে থাকেন, মা জোবাইদা রহমান বাইরে গেলেই আলাপের ছলে তারেক রহমানের রুমে কিছু নারী এসে দরজা বন্ধ করে দিতেন। প্রথম দিকে তেমন নজর না দিলেও একটা পর্যায়ে বাবা-মাকে এসব নিয়ে ঝগড়া করতে দেখেন জাইমা। পরে বিভিন্ন সময় তারেক রহমানের সাথে বিএনপির কয়েকজন নেত্রী ও মডেলকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন জাইমা। এসব নোংরামি তার শিশুমনে প্রভাব ফেলে। পরে যখন কৈশোরের শেষ দিকে যৌবনে পদার্পণ করতে থাকেন তখন বাবার চরিত্র তার ওপর প্রভাব ফেলে। বাবার মতই বহুগামিতায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েন জাইমা। এক বয়ফ্রেন্ডকে কয়েকদিনের বেশি ভালো লাগতো না তার, ফলে কিছুদিন পরপরই নতুন নতুন বয়ফ্রেন্ডের সাথে বিছানায় যাওয়া শুরু করেন। এভাবেই নাইট কালচারে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন জাইমা রহমান।
সমাজবিজ্ঞানীরা বলে থাকেন, শিশুরা অনুকরণ প্রিয়। বাবা-মায়ের আচার আচরণ তাদের জীবনে প্রভাব ফেলে। শিশুরা তাদের বাবা-মাকে দেখে দেখে বড় হতে থাকে, সাথে সাথে তার বাবা-মায়ের চারিত্রিক গুণ কিংবা দোষ নিজের অজান্তেই লালন করা শুরু করে। জাইমা রহমানের ক্ষেত্রেও তেমনটিই ঘটেছে বলে জানিয়েছেন লন্ডন বিএনপির একাধিক নেতা।
লন্ডনে বাঙালি কমিউনিটির এক নেতা জানান, জাইমা বাংলাদেশে বড় হননি। লন্ডনে বড় হয়েছেন। ফলে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির চর্চা করা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু তিনি যেহেতু বাংলাদেশের রাজনীতিবিদের মেয়ে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশে রাজনীতি করবেন বলে শোনা যায়, সেজন্য এসব বিষয়ে তার সাবধান হওয়া উচিত ছিল। কারণ বাংলাদেশে পাশ্চাত্য সংস্কৃতিকে নোংরামি হিসেবে দেখা হয়। ফলে জাইমার নিশি কাহিনী তার রাজনীতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।