বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩৮ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজার লাইট হাউজস্থ কটেজ জোনে পতিতা ব্যবসা ও নারী পাচারের অভিযোগে সম্প্রতি একটি মামলা হয় কক্সবাজার সদর থানায়। কক্সবাজার ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি কটেজের রুম থেকে পতিতা ও খদ্দর আটক করেন। ওই ঘটনায় মানব পাচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার অন্যতম আসামী আব্দু রহিম ও জব্বার। কটেজ জোনে শীর্ষ পতিতা ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত আব্দু রহিম ও জব্বার। মামলার আসামী হওয়ার পরও তারা এসব অপর্কম চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশের খাতায় তারা পলাতক হলেও প্রকাশ্যে কটেজ জোনে অবস্থান করে চালিয়ে যাচ্ছে পতিতা ব্যবসা। তাদের বিচরণ এখন ওপেন।
জানা যায়, কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বিপরীত পাশে লাইট হাউজস্থ কটেজ জোনে ‘নিউ ঢাকার বাড়ি’ নামে একটি কটেজ ভাড়া নেন আব্দু রহিম ও জব্বার। ওই কটেজে দীর্ঘদিন ধরে পতিতা মজুদ রেখে চালিয়ে যাচ্ছে জমজমাট যৌন ব্যবসা। এমন অভিযোগে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়েছিল সেখানে। অভিযানে পতিতা ব্যবসায়ী আব্দু রহিম ও জব্বারের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়ের করা হলেও থেমে থাকেনি তাদের এসব অবৈধ ব্যবসা। অভিযানের পর নিউ মামলা মাথায় নিয়ে কটেজ
ঢাকার বাড়ি কটেজে বাড়িয়ে দিয়েছে যৌন ব্যবসা।
একটি সূত্রে জানা গেছে- নিউ ঢাকার বাড়ি কটেজে মোট ৫টি রুম রয়েছে। প্রতিমাসে মালিকপক্ষকে ৫০ হাজার টাকা ভাড়া দেন আব্দু রহিম। মূলত এই কটেজটি পতিতা মজুদের ডেরা হিসেবে কটেজ জোনে পরিচিত। প্রতিটি রুমে জমজমাট থাকে পতিতা ও খদ্দর। মামলা মাথায় নিয়ে কটেজে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ কর্মকান্ড। ওই কটেজ থেকে পতিতা ব্যবসায়ের আয় দিয়ে সী-প্লাওয়ার নামে আরেকটি কটেজ ভাড়া নেন আব্দু রহিম। সেখানেও পতিতা মজুদের ডেরা বানিয়েছে রহিম। কটেজ জোনে নির্দিষ্ট দালাল রেখেই রহিমের পতিতা ব্যবসা চলছে জমজমাটভাবে। রহিম ও জব্বারের দালাল হিসেবে রয়েছে সিরাজ ও জাহাঙ্গীর। কটেজের গেইটে তালা লাগিয়ে ভিতরে চলছে এই অবৈধ কারবার। এমনকি চাহিদা ভিত্তিক নিউ ঢাকার বাড়ি কটেজ থেকে অন্য জায়গায়ও যৌনকর্মী সরবরাহ দেন আব্দু রহিম। চিহ্নিত কয়েকজন ব্যক্তিকে নিয়মিত চাঁদা দিয়ে পতিতা ব্যবসায়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে আব্দু রহিম ও জব্বার। এরিমধ্যে জব্বার কলাতলীর মোড়স্থ সী-উত্তরার পাশে একটি রির্সোটে চালিয়ে যাচ্ছে পতিতা ব্যবসা।
এবিষয়ে জব্বার বলেন- আমি গত বছর নিউ ঢাকার বাড়ি কটেজ ভাড়া নিয়েছিলাম। এখন আমি ওখানে নেই। এখন নিউ ঢাকার বাড়ি ভাড়া নিয়েছে আব্দু রহিম। আমি এক বছর ধরে কটেজ জোনে যায়নি। কলাতলী মোড়স্থ সী-উত্তরার পাশে একটি রির্সোট চালাচ্ছি। ওখানে এসব অবৈধ কর্মকান্ড নেই।
আব্দু রহিম বলেন- মূলত নিউ ঢাকার বাড়ি কটেজটি ভাড়া নিয়েছে জব্বার। ভাড়ার মেয়াদ রয়েছে আর মাত্র ১০ দিন। পারিবারিক সমস্যার কারণে জব্বার নিউ ঢাকার বাড়ি দেখাশুনা করতে পারছে না; তাই আমি দেখাশুনা করছি। কটেজে অবৈধ কর্মকান্ডের বিষয়ে তিনি এড়িয়ে যান। এছাড়া সী-প্লাওয়ার কটেজটি তিনি ভাড়া নিয়েছে বলে জানান। এক পর্যায়ে তিনি তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
অন্যদিকে ‘ঢাকার বাড়ি-২’ কটেজ পরিচালনা করেন আরেক পতিতা ব্যবসায়ী আলোচিত আব্বাস। আব্বাস কটেজ জোনের আলোচিত নাম। তাকে পতিতাদের কিং হিসেবেও চেনেন অনেকেই। দীর্ঘদিন ধরে নিজ কটেজে পতিতাদের ডেরা বানিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে আব্বাস। পতিতা ব্যবসা জমজমাট হওয়ায় ব্যবসার পরিধি দিন দিন বাড়িয়ে দেন তিনি। প্রশাসনের অভিযান ভাটা পড়ায় তারা দিন দিন অপরাধের পরিমাণ বাড়িয়েছে।সূত্রঃ ভয়েসওয়ার্ড