বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
স্ত্রী-সন্তানসহ বেসিক ব্যাংকের বাচ্চুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা খাগড়াছড়িতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটক চিকিৎসককে মারধর, দ্বিতীয় দিনের মতো কক্সবাজার সদর হাসপাতালে কর্মবিরতি মাদক কারবারির ভবন জব্দ করল দুদক ঢাকাসহ চার বিভাগে অতিভারী বর্ষণ, চট্টগ্রামে ভূমিধসের শঙ্কা ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপি ফজলে করিম চৌধুরী আটক ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবীতে কক্সবাজার সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের স্মারকলিপি প্রদান উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত দুই কক্সবাজারে চিকিৎসককে মারধর: সরকারিতে সেবা বন্ধ হলেও চালু আছে বেসরকারি হাসপাতালে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটি বাতিল

রোহিঙ্গা খায়রুল এখন ডেন্টাল চিকিৎসক পেয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্রও

জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী সচেতন মহলের

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এত কঠোর নিরাপত্তা ও নির্দেশনার পরও রোহিঙ্গাদের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পৌঁছে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম অঞ্চল ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিদ্যমান ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এখন নিবন্ধিত রোহিঙ্গারাও ভোটার হয়ে যাচ্ছেন। সারাদেশে ইসির সতর্কতাও কাজে আসেনি। কীভাবে এটা হচ্ছে সেটা নিয়ে উদ্বিগ্ন জেলার সংশ্লিষ্টরা।
সচেতন মহলের দাবী, রাষ্ট্র বা পরিচয়হীন রোহিঙ্গারা এনআইডি নেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেই। কিন্তু তাদের কারা, কেন, কীভাবে এটা সরবরাহ করছে সেটা খুঁজে বের করতে হবে। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে দফায় দফায় তদন্ত করা হলে থেমে নেই দেশদ্রোহিতা কাজে লিপ্ত সিন্ডিকেট কয়েকজন জনপ্রতি। রোহিঙ্গাদের ভোটার করার জন্য জন্মসনদ ইস্যুকারী, মা-বাবা পরিচয়ধারী এবং নাগরিক সনদ প্রদানকারীদেরকেই দুষছে ইসি। বলছে, জনপ্রতিনিধিদের কারণেই রোহিঙ্গারা এনআইডি পেয়ে যাচ্ছে। আর তা দিয়ে ভোটার হওয়ার চেষ্টা করছে তারা। জানা গেছে, জনপ্রতিনিধি ও ইসির একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী যোগসাজশ করে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের ভোটার বানাচ্ছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও ইসির প্রতিবেদনেও এ তথ্য উঠে আসে,স¤প্রতি সময়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের প্রবেশ করে রোহিঙ্গা খায়রুল বসর ও তার মা-বাবাসহ সপরিবারে, বিভিন্ন তথ্য সূত্র আরো জানা যায় খাইরুল বিভন্ন কৌশলে শহরে সমিতির পাড়া এলাকায় চলে আসলেও মা- বাবা রয়ে যায় লেদা  ৪নংক্যাম্প বিবøকে তার মা-বাবা,তবে কৌশলী খাইরুল বসর তার জাতীয় পরিচয় পত্রে বাবা মৃত বলে উল্লেখ করেন মিথ্যা আশ্রয় নিয়ে ইয়াবা হুন্ডিসহ নানান অপরাধ জড়িত, টেকনাফ, হোয়াইয়াক্যং উখিয়াসহ নামে বেনামে রয়েছে তার কয়েকটি ডেন্টাল চেম্বার।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে আসে কক্সবাজার টেকনাফ হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়ন পরিষদ ততক্ষণিক দায়িত্বে থাকা ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা মাওলানা নুর মোহাম্মদ আলেয়ারী রোহিঙ্গা খাইরুল বশরকে ভোটার হতে জন্মসনদ দিয়ে সহযোগিতা করেন এবং ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বসরে জন্মসনদে চেয়ারম্যান মাওলানা নুর মোহাম্মদ আনোয়ারী একটি সাক্ষরিত কপি ও পাওয়া ২০১৪সালে ২৬শে  জানুয়ারী সনদ ইস্যুর তারিখে এমন ন্যাক্কারজন ঘটনার লিপ্ত হয় যাহা দেশদ্রোহীতার সামিল বলে মন্তব্য করেন সচেতন মহল, এমন ঘটনান লিপ্ত হয় কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর রফিকুল ইসলামও ৫/১১/২০১৪ইং রোহিঙ্গা খাইরুলকে দেওয়া হয় তার সাক্ষরিত চারিত্রিক সনদ,
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার পৌরসভার সাকেক কাউন্সিলর আবু জাফর সিদ্দিকী দৈনিক কক্সবাজার একাত্তরকে  বলেন,ভোটার হতে রোহিঙ্গাদের স্থানীয়ভাবে কেউ না কেউ সহযোগিতা করছে যাচ্ছে। বিশেষ করে ভোটার হওয়ার আগে রোহিঙ্গারা কীভাবে অনলাইনে জন্মসনদ এবং চেয়ারম্যান-কাউন্সিলর থেকে নাগরিক সনদ পাচ্ছেন তার তদন্ত জরুরি।জেলায় বিভিন্ন অঞ্চলে   রোহিঙ্গা নিজের বাবা-মাও বানিয়ে ভোটার হতে সহযোগিতা করেছেন স্থানীয় কিছু লোকজন। ঘটনাটি ইসি  কমিশন সিরিয়াসলি নিলেও তার  কার্যক্রম নেই বলে চলে,জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার নেওয়ার দাবী সংশ্লিষ্টদের।
রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয় পত্র বানিয়ে দেয়ার কাজে সহযোগিতারকারী ও জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠুর পদক্ষেপ না নেওয়া বার দেশদ্রোহী কাজে লিপ্ত হচ্ছে এমনটা অভিযোগ স্থানীয়দের, রোহিঙ্গা খাইরুল বসর কিভাবে জাতীয় পরিচয় পেয়েছে সেই বিষয়ে কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিসারের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটির করার দাবী জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে,টেকনাফ হোয়াইক্যং উপজেলার  ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিভিন্ন জালিয়াতির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয় পত্র বানিয়ে দেন যা খাইরুল বসরের জন্ম নিবন্ধ নং(১৯৮১২২১৯০৭৯০৫৯০৬৫) এবং এসব জালিয়াতি চক্রের রয়েছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট।
এদের মধ্যে কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম ও অন্যতম। তিনি দেশের প্রচলিত আইন না মেনে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অনেক রোহিঙ্গাকে নিজের পরিচয়ে ভূয়া কাগজপত্র সৃজন করে নিজে শনাক্তকারী হিসেবে জাতীয় পরিচয় পত্র ইস্যু করার কাজে সহযোগিতা করেছেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে।
সরেজমিন হোয়াইক্যং এলাকা ঘুরে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় তথ্য সংগ্রহকারীদের উপর দলীয় প্রভাব বিস্তার করে সীমান্তে অবস্থান করা বেশ কিছু রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশী হিসেবে জাতীয় পরিচয় পত্র করিয়ে দেয়ার জন্য অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়।
আনোয়ার ও রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অহরহ  রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশী নাগরিকত্ব করার কাজে সংশ্লিষ্টতার সত্যতা মিলেছে তার মধ্যে খাইরুল বসরসহ রয়েছে আরো অনেক রোহিঙ্গার নাম।
তাদের হাত ধরে রোহিঙ্গারা সহজে ভোটার হয়ে গেছে। এভাবে যদি রোহিঙ্গারা ভোটার হতে থাকে, তাহলে একদিন পুরো এলাকা রোহিঙ্গাদের দখলে যাবে বলে মন্তব্য করছেন স্থানীয় প্রবীণ মুরুব্বি সমাজ।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ও পৌর কাউন্সিল রফিকুল ইসলামের ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও ফোনে সংযোগ পাওয়া যায় নি তাই তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বিস্তারিত পরবর্তী প্রতিবেদনে জানতে চোঁখ রাখুন দৈনিক। কক্সবাজার একাত্তর পত্রিকায়।