রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার শহর থেকে ৪৪ কিলোমিটার দুরে উখিয়ার পালংখালিতে হাজার হাজার ফলজ গাছ সাবাড় ও বিশাল আকারের পাহাড় কেটে আশ্রয়ণ প্রকল্প তৈরিতে গৃহহীন হয়ে পড়েছে অসংখ্য মানুষ। গেল ইউপি নির্বাচনে স্থানীয় চেয়ারম্যানের পক্ষে না থাকায় প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উপজেলা প্রশাসনকে দিয়ে দিবা-রাত্রি এ অন্যায় কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন অসংখ্য ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীর। বহু মানুষকে উচ্ছেদ করে পাহাড় কেটে কিছু মানুষের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প তৈরি এটা সরকারের ভাবমূর্তি চরম ভাবে ক্ষুন্ন করছেন বলে দাবি সচেতন মহলের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উখিয়া উপজেলার পালংখালীর ধামন খালীতে প্রকাশ্যে দিবারাত্রি চলেছে পাহাড় কাটার কাজ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান অসংখ্য স্কেভেটর দিয়ে ক্ষমতা ও গায়ের জোরে বিশাল বিশাল পাহাড় কেটে পরিবেশ বিপর্যয়ের ধংসাত্বক কাজটি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চালিয়ে যাচ্ছে পালংখালীর বর্তমান চেয়ারম্যান এম গফুর চৌধুরী। মোঠুফোনে এলাকার সচেতন মহলের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে একদল সাংবাদিক ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ক্যামরা দেখে পাহাড় কাটার চলমান স্কেভেটর ফেলেই চালকসহ রোহিঙ্গা শ্রমিকরা দ্রুত শটকে পড়ে। সাংবাদিক আগমনের খবরে ততক্ষণে অসংখ্য ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীরা ছুটে এসে তাদের ভিটে বাড়ি ফিরে পেতে দাবি জানিয়ে তাত্ক্ষণিক মানববন্ধন করে। এদের অনেকের দাবি ৬০/৭০ বছর ধরে তারা ঐ স্থানের বসতঘর গড়ে তোলে ও পাশে অবশিষ্ট পাহাড়ের জমিতে নানান ফলজ গাছের আবাদ করেছিল তারা। যাহার আয় দিয়ে এসব পরিবারের অনেকটা জীবিকা নির্বাহ করা হতো। কিন্তু তারা কখনো ভাবতেই পারেনি যে, গেল ইউপি নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান গফুর চৌধুরীর বিরুদ্ধে করলে বসতবাড়িসহ সহায় সম্পদ হারিয়ে এমন কঠিন পরিনতি ভোগ করতে হবে তা আগে জানতেন না। ভোক্তভোগীরা বলেন সুচতুর চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে ব্যবহার করে অভিনব কৌশলে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্প তৈরি করতে তাদেও যুগযুগ ধওে অবস্থানের জমিকে খাস জমি উল্লেখ করে একদিকে তার প্রতিপক্ষকে উচ্ছেদ করেছে, আর অন্যদিকে উচ্ছেদকৃত স্থানের পাহাড় কেটে নিয়ে নিজের ডোবা থাইনখালী বাজাওে নিজের জমি ভরাট করে বাজার তৈরি করছে। ক্ষতিগ্রস্থদের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান তিনি পাহাড় কাটছেন না, ইউএনও স্যার মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্প তৈরি করছেন। আশ্রয়ণ প্রকল্প তৈরিতে পাহাড় কাটার তীর ইউএনও”র দিকে টেলে দিলেও এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ এর অফিসে গেলে এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
কক্সবাজার নাগরিক সোসাইটির সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিন বলেন পাহাড় কেটে যে আশ্রয়ণ প্রকল্প তৈরি করতে হবে এটা সরকার প্রধান কখনো চায়নি। কিছু অসাধু লোকজন রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে এ জঘন্য কাজ করছেন। এ বিষয়ে তদন্ত কওে অভিযুক্তদেও বিরুদ্ধে ।আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
এদিকে পাহাড় কাটার বিষয়ে কক্সবাজারস্থ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক শেখ মোঃ নাজমুল হুদার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন পাহাড় কাটার কাজে যিনিই জড়িত থাকুক না কেন তাকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানায়। দেশে গৃহহীন মানুষের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প তৈরি এটা সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ। কিন্তু যারা নিয়ম বহির্ভূত কাজের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত এ গ্রকল্পের দুর্নাম হয় এমন কাজ করবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া উচিত বলে মনে করেন স্থানীরা।
ডিসি৭১/৯-এমইউনয়ন