উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়ন অনলাইন ক্যাসিনো সম্রাট রোহিঙ্গা আব্দুল্লাহ একাধিক উপ-এজেন্ট’র মাধ্যমে জুয়ার টাকা লেনদেন করেন।
এই অনলাইন জুয়ার প্রভাবে টাকা যোগাড় করতে গিয়ে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে স্থানীয় ছাত্র, যুবক ও রোহিঙ্গারা। আবার অনেকেই জুয়ার টাকা যোগাড় করতে গিয়ে জড়িয়ে পড়ছে অপহরণ ও খুনের ঘটনায়। এই অনলাইন জুয়ার মাস্টার এজেন্ট রোহিঙ্গা আব্দুল্লাহকে গ্রেফতারের দাবি জানান কুতুপালং ক্যাম্পে বসবাসরত একাধিক রোহিঙ্গা।
অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ছিলেন এমন কয়েকজন বলেন, অনলাইন জুয়ার মাস্টার এজেন্ট রোহিঙ্গা আব্দুল্লাহর কাছ থেকে টাকা দিয়ে আইডি রিচার্জ করি। তার হোয়াটসআপ-এ টাকা বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে পাঠালে তিনি টাকা লোড করে দেন। আর টাকা পেলে তার এজেন্ট উইড্রো করলে তিনি আমাদের বিকাশ কিংবা নগদে ভরে দেন।
স্থানীয় এক কলেজ পড়ুয়া নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রোহিঙ্গা আব্দুল্লাহ এখন ক্যাসিনো সম্রাট হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছে। অনলাইন জুয়াড়ি রোহিঙ্গা আব্দুল্লাহকে গ্রেফতার করতে র্যাব ও থানা পুলিশের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
কুতুপালং বাজারের ব্যবসায়ী রুবেল বলেন, অনলাইন জুয়ার এজেন্টরা নিরীহ মানুষকে লোভ লালসায় ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওয়ায় এনে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে।
রোহিঙ্গা আবদুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বার বার কল কেটে দেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন বলেন, সর্বত্র বাড়ছে অনলাইন জুয়ায় আসক্তি হওয়া ব্যক্তিদের সংখ্যা এবং নিঃস্ব হচ্ছে অনেক পরিবার। এসব অনলাইন জোয়ার এজেন্ডদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
Leave a Reply