বার্তাপরিবেশক।।
ঝিলংজার বৃহত্তর হাজিপাড়া, পাওয়ার হাউজ ও সদর উপজেলার কম্পাউন্ডের আশ-পাশ এলাকায় সংঘবদ্ধ চোরের উপদ্রব আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন কোন রাত নেই যেখানে চুরি সংঘটিত হচ্ছে না। ফলে শহরের প্রবেশদ্বার খ্যাত এসব এলাকার বৃহত্তর চোরের আতংকে দিনাতিপাত করছে।
অভিযোগ ও প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, বিগত এক সপ্তাহ আগে উত্তর হাজিপাড়ার মাওলানা নাছির উদ্দিনের বাড়িতে দুধুর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। চোরের দল তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে নগদ ৩০ হাজার টাকাও অন্যান্য মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এসময় মাওলানা নাছির গ্রামের মসজিদে তারাবীহ’র নামাজে ছিলেন। আর তাঁর স্ত্রী ও সন্তানরা স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন।
এর মাস খানেক আগে চোরের দল সদর উপজেলা বাজারে ফোরকান সওদাগরের দোকানে হানা দিয়ে ক্যাশে রক্ষিত ৭০ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। এছাড়া ৬ এপ্রিল রাতে পাওয়ার হাউজ পিডিবি কম্পাউন্ডে চোরের দল হানা দেয়। পরবর্তীতে বিষয়টি আচঁ করতে পেরে নাইট গার্ডরা তিন চোরকে ধাওয়া দেয়।
শুধু তাই নয়-বেপরোয়া চোরের দল কলেজ গেইট থেকে বিডিআর ক্যাম্প পর্যন্ত দৃষ্টিনন্দন মহা-সড়কের দু’পাশের লাইটিং তারের অধিকাংশই চুরি করে নিয়ে যায়। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় দূই চোরকে চিহ্নিত করে উত্তেজিত জনতা আটক করে স্থানীয় মেম্বারের জিম্মায় দিলেও তিনি রহস্যজনক কারণে ছেড়ে দেন।
অভিযোগ রয়েছে- উত্তর হাজিপাড়ার তাহের ও দক্ষিণ হাজিপাড়ার ইলিয়াস নামের দু’ যুবক সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে পশ্চিম হাজিপাড়ার বাবু, আব্বাস, ফয়সালের সমন্বয়ে গড়ে উঠা ১০/১২ সদস্যের একদল ইয়াবা আসক্ত কিশোর গ্যাং নিত্যদিনের ইয়াবার টাকা যোগাড় করতে
বেপরোয়া চুরি কান্ডে মেতেছে। অস্ত্রধারী সংঘবদ্ধ এই চোরের দলকে আটক করা না গেলে ঈদ পরবর্তী পর্যটন মৌসুমে ঘটতে পারে ন্যাক্কারজনক ছিনতাইয়ের ঘটনা। চক্রটির অধিকাংশ সদস্য ইয়াবা ও চুরির মামলায় জেলে গেলেও জামিনে বেরিয়ে এসে ফের চুরি, ছিনতাই করেই যাচ্ছে।
সূত্র জানায়, স্থানীয় যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দু’নেতার শেল্টারে থাকায় ডেম কেয়ার ভাব নিয়ে তারা অব্যাহত ভাবে অপকর্ম গুলো করেই যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে ঝিলংজার সচেতন মহল তদন্ত সাপেক্ষে চোরের দলের প্রত্যেক সদস্যকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানিয়েছেন।
Related