কক্সবাজার ৭১ ডেস্ক:
কক্সবাজারের চকরিয়া হারবাং মধ্যম পহরচাঁদা এতিমখার অনুদানের ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা পেতে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন ও অফিস সহকারি-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মমতাজ বেগমকে দিতে হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। শুধু এতিমখার নয়, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও শিক্ষা উপবৃত্তি বই পেতে প্রতিজন উপকারভোগীর কাছ থেকে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতিগ্রস্ত দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়ে জেলা সমাজসেবা উপ-পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন হারবাং মধ্যম পহরচাঁদা এতিমখানার সভাপতি রফিকুল ইসলাম।
যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন ও অফিস সহকারি-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মমতাজ বেগম।
রফিকুল ইসলাম বলেন, গেল বছর চকরিয়ায় ভিক্ষুকদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হবে এ জন্য আমাদের কাছ থেকে অফিস খরচ হিসেবে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। অথচ এর কিছুদিন পূর্বেও আমার কাছ থেকে ৫ হাজার আদায় করা হয়েছে। একই বছর ডিসেম্বরের শেষের দিকে জুলাই হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসের ১ লাখ ৯২ হাজার টাকার বিল দাখিল করলে আমাকে বিল দিবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেন মমতাজ বেগম ও আমজাদ। বিল পেতে তাদের সাথে কয়েক দফা বৈঠক করি। এক পর্যায়ে ৮০ হাজার টাকায় সমযোতা হলে আমাকে চেক দেয়। সর্বশেষ চলতি বছরের ৮ এপ্রিল দুপুরে সমাজসেবা অফিসে গিয়ে অফিস কক্ষে মমতাজ বেগমকে ৪০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দিই। বাকি ৪০ হাজার টাকা ২য় কিস্তির বিল উত্তোলনের পর দিবো বলে কোন রকম ম্যানেজ করি।
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কথা বলে আমাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন এই দুইজন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের ক্ষতির ভয়ে মুখ খোলে প্রতিবাদ করেননি কেউ। এছাড়াও বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও শিক্ষা উপবৃত্তি ভাতা বই নিতে গেলেও প্রতিজন উপকারভোগীর কাছ থেকে ২/৩ হাজার টাকা ঘুষ আদায় করতেন মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন ও মমতাজ বেগমকে।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত চকরিয়া উপজেলা সমাজসেবা অফিস সহকারি-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মমতাজ বেগম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করছে। টাকাগুলো আমার স্বামী বিদেশ থেকে পাঠিয়েছে।
অভিযুক্ত চকরিয়া উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন টাকা নেয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না। এব্যাপারে মমতাজ বেগমের সাথে তার কোন কথা হয়নি।
জানতে চাইলে জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপ-পরিচালক হাসান মাসুদকে একাধিকবার ফোন করা হয়। তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। পরে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও উত্তর পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply