জানা গেছে, এর আগে মংডু থেকে ১২ কিলোমিটার উত্তরে কি কান পাইন ক্যাম্প আক্রমণ করেছিল আরাকান আর্মি। সেটা প্রতিহত করেছিল জান্তা পুলিশ ও সেনারা।
আরাকান আর্মির (এএ) এক সূত্র জানিয়েছে, ঘাঁটি পতনের আগে জান্তা তাদের কমান্ডারদের হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নিয়েছিল।
এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, জান্তা এখনো শহরে অন্যান্য ফাঁড়ি ধরে রেখেছে।
এদিকে রাখাইন মিডিয়া জানিয়েছে, ঘাঁটি দখলের সময় প্রায় ৫০ জন জান্তা সেনা আরাকান আর্মির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।
ইরাবতিরর খবরে বলা হয়েছে, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন ও পুলিশ সদর দফতরকে পাহারা দিচ্ছে। তবে ইরাবতি রিপোর্টগুলো যাচাই করতে পারেনি।
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুক্র ও শনিবার মংডু, বুথিডাং এবং পাউকতাউ শহরে বারবার বিমান ও কামান হামলার কারণে কিছু জান্তা সেনা বাংলাদেশে পালিয়েছে।
একজন সামরিক বিশ্লেষক বলেছেন, আরাকান আর্মি বুথিডাং, মংডু এবং অ্যানের জান্তা ঘাঁটিতে আক্রমণ করছে। আমরা শুনেছি যে তারা (এএ) সিত্তওয়ে এবং কিয়াউকফিউতে বড় আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আরাকান আর্মি উত্তর রাখাইন রাজ্যের অন্যতম প্রধান অবশিষ্ট ঘাঁটি বুথিডাং টাউনশিপে মিলিটারি অপারেশন কমান্ড ১৫ সদর দফতরে হামলা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, আরাকান আর্মি (এএ) রাখাইন রাজ্যভিত্তিক একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং ইউনাইটেড লীগ অফ আরাকানের (ইউএলএ) সামরিক শাখা। আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের দাবি তুলে প্রায় এক যুগ আগে এর সাংগঠনিক উদ্যোগ শুরু হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে থেকে শুরু করে এখন পযর্ন্ত, আরাকান আর্মি দক্ষিণ চিন রাজ্যের নয়টি রাখাইন শহর এবং পালেতওয়া টাউনশিপ দখল করেছে।
Leave a Reply