বিশেষ প্রতিবেদক :: মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির আরও ৫ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নাফ নদীর সাবরাং পয়েন্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন
জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে ইউএনও আদনান চৌধুরী বলেন, ‘সকাল ১১টার দিকে সাবরাং ইউনিয়নের খুরেরমুখ পয়েন্ট দিয়ে নাফ নদীতে ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকায় বিজিপির ৫ সদস্য বাংলাদেশের ভেতরে আসেন। এসময় তাদের হাতে ভারি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ ছিল।’
নাফ নদীর কিনারায় পৌঁছালে তাদের বিজিবির সদস্যরা ঘিরে ফেলে। এ সময় বিজিপি সদস্যরা অস্ত্র জমা দিয়ে বিজিবির কাছে আত্মসমর্পণ করে আশ্রয় প্রার্থনা করেন বলে জানান ইউএনও।
সাবরাং ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রেজাউল করিম রেজু বলেন, ‘পাঁচ বিজিপি সদস্যকে নিরস্ত্রীকরণের পর বিজিবির হেফাজতে নেওয়া হয়।
বিকেল ৫টার দিকে তাদের গাড়িতে করে ২০ কিলোমিটার দূরে হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
তবে এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গত রোববার টেকনাফে নাফ নদীর শাহপরীর দ্বীপ পয়েন্ট দিয়ে তিনটি কাঠের ট্রলারে বিজিপির ৮৮ জন সদস্য পালিয়ে এসেছিল। তাদেরও হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে।
এর আগে, দুই দফায় পালিয়ে আসা মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনাবাহিনীর ৬১৮ সদস্যকে ফেরত পাঠানো হয়। ২৫ এপ্রিল বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ২৮৮ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ও সেনাসদস্যকে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।
আগে পালিয়ে আসা ৩৩০ বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।
Leave a Reply