৭১ অনলাইন ডেস্ক:
বিশ্বকাপ মানেই নতুন কোনো চমক আর রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলা। কাতারেও তার ব্যক্তিক্রম হলো না। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই রেকর্ডের পসরা সাজিয়ে ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলেন ইকুয়েডরের স্ট্রাইকার ও অধিনায়ক ইনার ভ্যালেন্সিয়া। তিনি এমন কীর্তি গড়েছেন যা বিশ্বকাপের ইতিহাসের গত ৮৮ বছরেও কেউ গড়তে পারেনি।
বিশ্বকাপ ইতিহাসে কেবলমাত্র ২য় ফুটবলার হিসেবে উদ্বোধনী ম্যাচে জোড়া গোল করলেন ভ্যালেন্সিয়া। এমন কীর্তি সবশেষ দেখা গিয়েছিল নব্বই শতকের একদম শুরুতে। ১৯৩৪ সালে ইতালিতে আয়োজিত দ্বিতীয় বিশ্বকাপে উদ্বোধনী ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ৭-১ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল ইতালি।
সেই ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন এঞ্জেলো শিয়াভিও। এরপর মাঝে প্রায় নয় দশক কেটে গেলো বিশ্বকাপের শুরু ম্যাচেই জোড়া গোল করতে পারেননি আর কোনো ফুটবলার। কাতার বিশ্বকাপে যেন সেই ইতিহাসেরই আবার পুনরাবৃত্তি করলেন ভ্যালেন্সিয়া। কাতারের বিপক্ষে জোড়া গোল করে দলকে জয়ও এনে দেন তিনি।
তবে একদিক দিয়ে ভ্যালেন্সিয়া শিয়াভিও থেকে পিছিয়ে আছেন। সেবার দলের সাত গোলের জয়ে শিয়াভিও একাই করেছিলেন তিন গোল অর্থাৎ হ্যাটট্রিক। বিশ্বকাপের ইতিহাসে উদ্বোধনী ম্যাচেই হ্যাটট্রিকের রেকর্ডটা এখনো তার দখলে। আর একটা গোল করলেই ভ্যালেন্সিয়ার সামনে সুযোগ ছিল তাকে ছুঁয়ে ফেলার।
ইকুয়েডরের বিশ্বকাপে আসার পেছনে ভ্যালেন্সিয়ার অবদান কম নয়। বাছাইপর্বে দলের সেরা পারফরমার ছিলেন তিনি। ইকুয়েডরের হয়ে বিশ্বকাপে ৫টি গোল করেছেন তিনি। যা তাকে পাইয়ে দিয়েছে বিশ্বকাপে ইকুয়েডরের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার খ্যাতি। বিশ্বকাপে ইকুয়েডরের হয়ে শেষ ৫টি গোলই এসেছে তার পা থেকে।
কোনো দলের হয়ে টানা গোল করার দিক দিয়ে অবশ্য পিছিয়ে আছেন ভ্যালেন্সিয়া। তিনি আছেন দ্বিতীয় স্থানে। তার আগে তালিকায় প্রথম স্থানে যৌথভাবে আছেন তিনজন। টানা ৬টি গোল করে রেকর্ডটি নিজেদের দখলে রেখেছেন পর্তুগিজ কিংবদন্তি ইউসেবিও, ইতালির তারকা পাওলো রসি ও রাশিয়াণ ফুটবলার ওলেগ সালেংকো।
উল্লেখ্য, বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে ইকুয়েডর। রোববার আল-খোরের আল বাইত স্টেডিয়ামে ফিফা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক কাতারকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে ইকুয়েডর। ম্যাচের প্রথম আধা ঘণ্টার মধ্যেই দুটি গোল আদায় করে নেয় তারা। দুটি গোলই করেন ইনার ভ্যালেন্সিয়া।
Leave a Reply