১০ ও ১১ মে দুই দিনব্যাপী কক্সবাজার শহরের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে ‘ঐতিহ্যবাহী ডিসি সাহেবের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা’র ৬৯তম আসর।
বলীখেলার প্রথম দিনে তিনটি ক্যাটাগরিতে জেলার বিভিন্ন স্থানের ৩০০ জন বলী অংশ নেবেন।
শ্রীম্প হ্যাচারী এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ(সেব) এর পৃষ্ঠপোষকতায় ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে এই বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা চলবে।
দিনব্যাপী কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী ডিসি সাহেবের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা উপলক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আয়োজক কমিটি।
মঙ্গলবার (৭ মে)জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন ডিসি সাহেবের বলী খেলা ও বৈশাখী মেলা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এড. জসিম উদ্দীন। উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার অধ্যক্ষ জসীম উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ রাশেদ হোসাইন নান্নু, সদস্য যথাক্রমে খালেদ আজম বিপ্লব, পরেশ কান্তি দে ও আলী রেজা তসলিম প্রমূখ।
মেলা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যসচিব হেলাল উদ্দিন কবির জানান,আগামী ১০ মে ডি.সি. সাহেবের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলার শুভ উদ্বোধন হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলাম, বিপিএম, পিপিএম (বার),বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এড. সিরাজুল মোস্তফা সহ গন্যমান্য অনেকে উপস্থিত থাকবেন। ১১ মে পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এড. জসিম উদ্দীন জানান,জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান নির্দেশে এবারের বলীখেলায় ১ম মেডেলে থাকছে চ্যাম্পীয়ন ২৫ হাজার টাকা, রানার আপ ১৫ হাজার টাকা। ২য় মেডেলে থাকছে চ্যাম্পীয়ন ১২ হাজার টাকা, রানার আপ ৮ হাজার টাকা এবং ৩য় মেডেলে থাকছে চ্যাম্পীয়ন ১০ হাজার টাকা, রানার আপ ৭ হাজার টাকা।এছাড়া অংশগ্রহনকারী প্রত্যেক বলীকে আর্থিকভাবে সন্মানিত করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ডিসি সাহেবের বলী খেলা ও বৈশাখী মেলা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন,কক্সবাজারবাসীর কাঙ্খিত এ প্রাণের উৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ মেলার ৬৯তম আসরটি সফলভাবে সমাপ্তকরণে সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিকতা ও সহযোগিতা কামনা করছি।
উল্লেখ্য ১৯৫৬ সালে ‘এসডিও সাহেবের বলীখেলা’ নামে এই খেলা শুরু। ১৯৮৪ সালে কক্সবাজার মহকুমা থেকে জেলায় উন্নীত হয়। এরপর এই খেলা ডিসি সাহেবের বলীখেলা নামে পরিচিতি পায়।
বাঙালীর লোকজ উৎসব “বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা” তখন থেকে পরিণত হয় এই জনপদের অধিবাসীদের প্রাণের উৎসবে।
Leave a Reply