জাহাঙ্গীর আলম কাজল,নাইক্ষংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ মায়ানমার সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ও দৌছড়ি ইউনিয়নে সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ও আজ নতুন করে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন ও দৌছড়ি ইউনিয়নের সীমান্তে মিয়ানমার অভ্যন্তর থেকে একের পর এক মর্টার ও আর্টিলারি বোমা বিস্ফোরণ ও প্রচন্ড গুলাগুলির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দারা।
শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১ টা থেকেএই প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৪,৬,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের চেরারমাঠ সীমান্তের ৪৪,৪৫,৪৬ ও দৌছড়ি ইউনিয়নের ৪৭ পিলার পুরান মাইজ্জা ক্যাম্প,অংচাফ্রী ক্যাম্প,ও সালি ডং ক্যাম্পের তাদের চৌকি থেকে অগণিত মর্টার ও আর্টিলারি বোমা বিস্ফোরণের আওয়াজে যেন এপারে ভূমিকম্প হচ্ছে এমনটি জানিয়েছেন সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল আবছার ইমন । তিনি আরো বলেন, দুপুর ১টা থেকে ওপার থেকে গুলাগুলি ও আর্টিলারি মটারশেল বিস্ফোরণের আওয়াজে এপারের বেশ কয়েকটা গ্রাম কেঁপে ওঠেছে।
এলাকাবাসী ছুটাছুটি করছেন এবং সীমান্তে অবস্থানরত সবাই আতঙ্কিত। কারণ আজ পর্যন্ত এধরণের গুলাগুলির আওয়াজ কখনো শুনেনি।এদিকে জামছড়ি জামে মসজিদে যোহরের নামাজ পড়তে আসা মুসল্লি,মোয়াজ্জেম ও ইমাম জানিয়েছেন, ওপারে বিস্ফোরণের আওয়াজে যোহরের নামাজের সময় অনেকটা ভয়ে কাজ করেছিল কারণ কখন জানি মটার্শেল আমাদের মসজিদে এসে পড়ে।
দৌছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইমরান জানান, দুপুর ১টা থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে ভারী অস্ত্রের বিস্ফোরণ শুনা গেছে। এতে সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটা গ্রাম কেঁপে ওঠেছে। এদিকে সীমান্তের কাছে না যাওয়ার জন্য স্থানীয়দের কাছে বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিজিবির সূত্র জানিয়েছে, সীমান্তের কাছে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না এবং বিজিবির টহল জোরদার রয়েছে। বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস বলেন,ঘটনায় কিছু লোক সীমান্ত থেকে পালিয়ে আসার খবর
পেয়ে তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে ব্যবস্থা করা হয়েছে। অস্থায়ী আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে লোকজনকে শিবিরে নিয়ে আনার ব্যবস্থা করছেন তারা।
Related
Leave a Reply