নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের মানুষের মাঝে আতঙ্ক কাটছে না কোনোভাবেই,পরিস্থিতি এই ঠান্ডা ,এই গরম এমন পরিস্থিতিতে বেকায়দায় পড়েছে সীমান্তের জন সাধারণ,বিশেষ করে আমতলী,চেরার মাঠের ৪৩ সীমানা পিলার থেকে ফুলতলী ৫০ পিলার পযর্ন্ত গত সনিবারের উপর্যপুরী গুলি এবং মর্টারশেল বিস্ফোরণের ফলে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে আছে এখনো ঐ জনপদে বসবাসকারী হাজার হাজার নারী পুরুষ থেকে শুরু করে ছোট বাচ্ছারা পযর্ন্ত।
আমতলির মোঃ করিম বলেন সীমান্তে ঘেঁষা এই গ্রামে ছোট থেকে বড় হয়েছি,কিন্তু শনিবারের মত এমন ভীতিকর ও উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়নি কখনো, মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে আগে অনেক ফোটাফুটির আওয়াজ এসেছে,শনিবারের আওয়াজ এর গতি এবং স্থায়িত্ব সময়ে ছিল কল্পনা বাইরে।
রোববার সকাল ৯টা থেকে চেরার মাঠ এলাকা দিয়ে ১১টা পযর্ন্ত থেমে থেমে ৪৪,৪৫ সিমানা পিলারের মাঝখান দিয়ে গোলাগুলির প্রখর শব্দ মিয়ানমারের ভিতর থেকে বাংলাদেশের অনেক অভ্যন্তরে শুনা গেছে বলে সদর চেয়ারম্যান আবছার জানিয়েছেন।
জামছড়ি ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ছাবেরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সকাল ১০টা ৩০ মিনিটের সময় জামছড়ি সীমানা পয়েন্ট হয়ে মিয়ানমার থেকে কয়েকটি ফায়ারের শব্দ তিনি শুনতে পেয়েছেন,তার এলাকার সার্বিক বিবেচনায় বতর্মানে মোটামুটি ভালো আছে।অপর দিকে ঘুমধুমের তমব্রুর ৩৪,৩৫ সীমানা পিলারের কাছাকাছি শনিবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে মিয়ানমারের ভিতর থেকে একটি ফাইটার হেলিকপ্টার এসে তাদের ভিতরে কয়েকটি গোলা নিক্ষেপ করে প্রায় ১০মিনিট টহল দিয়ে আবারো মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলে যায় বলে তমব্রু বাজারের ব্যাবসায়ী সরোয়ার জানান।
সীমান্ত পরিস্থিতির সার্বিক বিষয়ে নিয়ে যোগাযোগ করা হলে,নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন,শনিবারে মিয়ানমারের ভিতরে চলা তুমুল সংঘর্ষের বিকট আওয়াজ এবং তাদের ছোঁড়া গুলি বাংলাদেশের অংশে এসে পড়াতে মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিদ্যমান রয়েছে,সীমান্ত এলাকার স্পর্শকাতর জায়গা থেকে নিরাপদ আশ্রয় আনা বিশ পরিবারের মাঝে প্রায় ১২ পরিবার ফিরে গেছেন তাদের নিজগৃহে, অপর পরিবারগুলো এখনো তাদের নিকটবর্তী স্বজনদের বাড়িতে অবস্থান করছে বলে তিনি জানান।
ডিসি৭১/২২/ইয়াছমিন
Leave a Reply