জাহাঙ্গীর আলম কাজল নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে আমন ফসল ও ফলজ, বনজ বাগানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।বঙ্গপসাগরের সৃষ্ট নিম্নচাপের কারনেরবিবার ২৩ অক্টোবর রাত থেকে মঙ্গলবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টি ও প্রচন্ড বাতাসে উপজেলার ৫ ইউনিয়নের আমনধান, শীতের আগাম সবজী চাষ, ফলজ, বনজ বাগান লন্ড বন্ড হয়েছে। পাকাধান ও আধাপাকা ধান মাটিতে পড়ে যাওয়ার ফলে কৃষকেরা এখন দিশেহারা।উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের কৃষক আবুল আবদুল কাদের, সুলতান আহমদ, মনিরুল হক সহঅনেকে জানান,এবছর শেষের দিকে চাষাবাদ করলে ও ফলন হয়েছিলো অনেক সুন্দর। কিন্ত ঘুর্নিঝড় সিত্রাং এ অধিকাংশ ধান মাটিতে পড়ে যাওয়ার কারনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার ৫ ইউনিয়ন, বাইশারী,সোনাইছড়ি, দৌছড়ি,ঘুমধুম ও সদর ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানাযায়, ঘুর্নিঝড় সিত্রাং এর কারনে কৃষকের ক্ষতির পাশাপাশি সড়কের উপর গাছ পালা পড়ে রয়েছে। ৩ দিন যাবৎ বিদ্যুৎ নাই। মানুষের বাড়ী ঘরের রক্ষিত ফ্রীজের মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে।রাবার বাগান ম্যানেজার আল আমিন জানান, তার বাগানের অনেক গুলো রাবার গাছ ভেংগে গেছে। এতে কয়েক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া ঘূর্নিঝড়ে অনেকের বসতবাড়ির ছাউনি ঘেরাবেড়া,উড়ে গেছে।
সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যনিং মারমা জানান, ফসল সহ সবজী ও বাগানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল আবছার ইমন বলেন, ফসল সহ ফলজ বনজ বাগান ও কিছু মানুষের ঘরের চাল বাতাসে উড়ে গেছে।নাইক্ষ্যছড়ি অফিসার ইনচার্জ (ওসি) টানটু সহা জানান, এলাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পাহাড় ধ্বসের ঘটনা ও ঘটেনি। তবে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানি বলেন, আমার এলাকায় রাবার বাগান, ফলজ বাগান, রবি শষ্যের প্রচুর পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ডিসি৭১/২২/ইয়াছমিন
Leave a Reply