🔲 আজ ১৮ই জুন রবিবার সন্ধ্যায় সৌদি আরবসহ দেশের বিভিন্ন দেশে পবিত্র যিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে। সুতরাং আগামীকাল বাংলাদেশে যিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখা যাবে ইন শা আল্লাহ। তাই আগামীকাল রাতে সাহরী খেয়ে মঙ্গলবার থেকে রোজা রাখা শুরু করতে হবে ইন শা আল্লাহ
🔸 রাসূল ﷺ বলেছেন, আল্লাহ তা’য়ালার নিকট যিলহজ্ব মাসের প্রথম ১০ দিনের আমলের চেয়ে অধিক প্রিয় আর অন্য কোনো দিনের আমল নয়। সুতরাং তোমরা এই দিনগুলোতে সিয়াম পালন করো এবং অধিক পরিমানে তাসবীহ, তাহলীল ও যিকির আযকার (সুবহা-নাল্ল-হ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্ল-হ, আল্ল-হু আকবার) পাঠ করো। [মুসনাদে আহমাদ- ৫৪৪৬]
🔹 রাসূল ﷺ বলেন, যিলহজ্ব মাসের প্রথম ১০ দিনের প্রতিদিনের রোজা ১ বছর রোজার সমতূল্য এবং প্রতিটি রাতের তাহাজ্জুদ লাইলাতুল কদরের তাহাজ্জুদের সমতূল্য। [জামে তিরমিযী- ৭৫৮]
🔸 তাই যিলহজ্ব মাসের ১ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত রোজা রাখা সুন্নত তথা মুস্তাহাব আমল। বিশেষ করে ৯ ই যিলহজ্ব অর্থাৎ ঈদের পূর্বের দিনের রোজাটি আরাফার রোজার নিয়তে রাখা। এই রোজাটির বরকতে মহান আল্লাহ তা’য়ালা পূর্বের ১ বছর এবং পরের ১ বছরের গুনাহসমূহ মাফ করে দিবেন ইন শা আল্লাহ। [মুসলিম- ২৬৩৬]
⭕ তাই সাধ্য মোতাবেক নফল রোজাগুলো রাখার চেষ্টা করতে হবে এবং ৯ ই যিলহজ্ব তথা ঈদের পূর্বের দিনের রোজাটি আরাফার নিয়তে রাখতে হবে ইন শা আল্লাহ।
🔲 আর যিলহজ্ব মাসের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত আমল হচ্ছে, যারা কুরবানী করবে এবং যারা কুরবানী করবে না তারা যিলহজ্ব মাস শুরু হওয়ার পর থেকে ধরে কুরবানী করার আগ পর্যন্ত চুল, নখ, অবাঞ্চিত পশম ইত্যাদী কোনো কিছু কাটবে না। তাই আগামীকাল সন্ধ্যার পূর্বেই চুল, নখ, অবাঞ্চিত পশম কেটে ফেলতে হবে ইন শা আল্লাহ। [সুনানে নাসাঈ- ৪৩৬২]
⭕ আরো বিশেষ কিছু ফজিলতপূর্ণ আমল করার মাধ্যমে যিলহজ্ব মাসের দিন এবং রাত্রগুলো অতিবাহিত করাঃ-
🔸 সুবহা-নাল্ল-হ, আলহামদুলিল্লাহ, লা- ইলাহা ইল্লাল্ল-হ, আল্ল-হু আকবার, সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াবিহামদীহী, আস্তাগফিরুল্ল-হ, লা হাওলা ওয়ালা ক্বুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ, প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ বার করে তাসবীহগুলো পাঠ করা।
🔹 অধিক পরিমানে দুরূদ শরীফ পাঠ করা। এক্ষেত্রে কিছু সংক্ষিপ্ত দুরূদ হচ্ছেঃ- “আল্লহুম্ম সল্লি ‘আলা মুহাম্মাদ ওয়া ‘আলা আ-লি মুহাম্মাদ”, “আল্লহুম্মা সল্লি ওয়া সাল্লিম ‘আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ”, “সল্লল্লহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম”
🔸 মনযোগ সহকারে কুরআন তিলাওয়াত করা। এক্ষেত্রে যেই সূরাগুলো সহীহ শুদ্ধভাবে আয়ত্ত্বে রয়েছে, সেগুলো বেশি বেশি তিলাওয়াত করা। যেমনঃ- সূরা ইয়াসিন, মুলক, আর-রহমান, ওয়াকিয়া, আয়াতুল কুরসী, বাকারার শেষ দুই আয়াত, সূরা ইখলাস, ফালাক, নাস এবং সূরা ফাতিহা।
🔹 “সূরা ইখলাস” ১০ বার পাঠ করার দ্বারা জান্নাতে একটি বাড়ি তৈরি করা হয় এবং “সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াবিহামদীহী” পাঠ করার দ্বারা জান্নাতে একটি করে খেজুর গাছ রোপণ করা হয়। তাই এই দিনগুলোতে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ বার করে আমলটি করে জান্নাতটাকে সুসজ্জিত করা।
🔸 মধ্যরাতে ৮-১২ রাকাত তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা। আর মধ্যরাতে সজাগ না পেলে এশার নামাজের পরেই ২-৪ রাকাত নফল নামাজ আদায় করা, তাহলে এই নামাজটাও তাহাজ্জুদের নামাজ বলে গন্য হয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ। তাহাজ্জুদের পাশাপাশি সালাতুল হাজত, সালাতুত তওবা, ইশরাক, চাশত, যাওয়াল এবং পূর্বের ছুটে যাওয়া কাজা নামাজ আদায় করা।
⭕ যিলহজ্ব মাসের প্রতিটি দিন এবং রাত অত্যন্ত দামী এবং ফজিলতপূর্ণ। তাই এই ১০ দিন অধিক পরিমানে দোয়া করা, পূর্বের ভুলের জন্য অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা প্রার্থণা করা। কারন আল্লাহ তা’য়ালা এই ১০ দিনে তার অসংখ্য, অগনিত বান্দাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন এবং তাদের দোয়াগুলোকে কবুল করে নিবেন। তাই প্রতিটি মূহুর্তে বেশি বেশি করে দোয়া করা। যার যার যা কিছু প্রয়োজন মালিকের কাছ থেকে চেয়ে নেওয়া ইন শা আল্লাহ।
🔲 আমলের নিয়তে এবং দ্বীন প্রচারের উদ্দেশ্যে লিখাটি কপি করে ছবিটি সেভ করে নিজ নিজ আইডি, স্টোরি এবং গ্রুপগুলোতে পোষ্ট করে দিবেন ইন শা আল্লাহ। এতে করে যতজন মানুষ আপনাদের উছিলায় আমলগুলো সম্পর্কে জেনে আমল করতে পারবে তাদের আমলের সম-পরিমান সওয়াব আপনাদের আমল নামাতেও লিপিবদ্ধ করা হতে থাকবে ইন শা আল্লাহ 💞✅
Leave a Reply