মিয়ানমারের দু’স্বশস্ত্র বাহিনীর মধ্যকার তুমুল সংঘর্ষকালে দুই দিনে ২ টি একে-৪৭ রাইফেলের বুলেট এসে পড়ে পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম তুমব্রু পাড়ায় ২ গ্রামবাসীর ঘরের চালে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। রোববার বিকেলে প্রথম বুলেটটি এসে পড়ে তুমব্রু বাজারে নুর মেহের ডিপার্টমেন্ট ষ্টোরের টিনের উপর।
আর সোমবার ভোররাতে এসে পড়ে তুমব্রু মধ্যমপাড়া মূত মীর আহমদ মাস্টারের ছেলে জয়নাল আবেদীনের বাড়ির রান্নাঘরের চালে। উভয় ঘটনায় কেউ হতাহত হয় নি। তবে সোমবার সকাল ৮ টার আগ পর্যন্ত গত ৩৬ ঘন্টা ব্যাপক গোলাগুলির শব্দে আতংকিত হয় এ সীমান্তের অধিবাসিরা।
তাদের মতে, মিয়ানমার থেকে আসা আওয়াজের মধ্যে মর্টার শেল ও একে-৪৭ রাইফেলের গুলির শব্দ। যাতে এলাকাবাসী তটস্থ।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ বলেন, দু’দিনে ২ টি বুলেট মিয়ানমার অংশ থেকে বাংলাদেশের তুমব্রু বাজার ও তুমব্রু মধ্যম পাড়ায় এসে পড়েছে। যদিও এতে হতাহত হয়নি কেউ। তবে লোকজন আতংকিত এ সব ঘটনায়।
৩৪ বিজিবি অধিনায়ক কর্ণেল সাইফ ইসলাম চৌধুরী জানান, দীর্ঘ সময় ধরে মিয়ানমারে সংঘর্ষ চলে আসছে। যা তাদের আভ্যন্তরিণ বিষয়। তবে গত ২ দিনে যা ঘটেছে তা একটু ভিন্ন মাত্রার। তবে এপারে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষীরা সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে সরকার বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যকার তুমুল সংঘর্ষ চলে আসছে গত ২ বছর। এ সময়ের মধ্যে দফায দফায় গোলাগুলিতে কয়েকবার গোলা ও মর্টার শেল এসে পড়ে তুমব্রু গ্রামে। এর আগে ২০২২ সালে ১৬ সেম্টেম্বর রাত ৮ টায় পরপর ২ টি মর্টারশেল এসে পড়ে তুমব্রু গ্রামে । যার একটি পড়ে বাংলাদেশী নাগরিক ও কোনার পাড়ার বাসিন্দা শাহ আলম ড্রাইভারের বাড়ির পাশে।
অপর ১ টি পড়ে তৎসময়ের শূণ্যরেখায় বসবাসরত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। এ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসে পড়া গোলাটিতে আহত হয় অন্তত ৮ জন। যাদের মধ্যে ১ জন মারা যায়। তার নাম মোহাম্মদ ইকবাল (২৮) পিতা মনির আহমদ। এ ঘটনার দীর্ঘ সময় পর গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ রোববার ও ১ জানুয়ারী ২০২৪ সোমবার আবারো গোলা এসে পড়ে বাংলাদেশ অংশে। পৃথক সময়ে পৃথক বাড়ির চালায় ২ টি একে-৪৭ রাইফেলের গুলি এসে পড়ার পর নড়ে-চড়ে বসে সকলে। কেননা এ সময়ে তুমব্রু গ্রাম থেকে ২ টি বুলেট উদ্ধার করে আইন-শৃংখলা বাহিনী। যা আন্তর্জাতিক আইনে লঙ্গন।
Leave a Reply