1. coxsbazarekattorbd@gmail.com : Cox's Bazar Ekattor : Cox's Bazar Ekattor
  2. coxsekttornews@gmail.com : Balal Uddin : Balal Uddin
চকরিয়া-পেকুয়ায় বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে সৈয়দ ইবরাহিম - Cox's Bazar Ekattor | দৈনিক কক্সবাজার একাত্তর
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০২:০১ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
কক্সবাজারে সুযোগসন্ধানীর ফাঁদে ব্যয় বাড়ছে রোগীর কক্সবাজারে ভাড়ায় বাণিজ্যিক ট্রেন চালাবে রেলওয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঝড় কক্সবাজারে বিচার বিভাগের বিশ্রামাগার উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি কক্সবাজার এক্সপ্রেসের বগি থেকে ইঞ্জিন বিচ্ছিন্ন ভাসানচর থেকে দলে দলে পালাচ্ছে রোহিঙ্গারা বান্দরবান-টেকনাফ-উখিয়া সীমান্তের সন্ত্রাস ঠেকাতে কঠোর হওয়ার তাগিদ উখিয়ার ইনানীতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের পূর্ণাঙ্গ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপে ৩০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ী আটক উখিয়া ও টেকনাফ থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে জার্মানের তৈরি জি থ্রি রাইফেল, শুটার গান ও ৯২ রাউন্ড রাইফেলের গুলিসহ ৫ জন গ্রেফতার

চকরিয়া-পেকুয়ায় বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে সৈয়দ ইবরাহিম

  • আপলোড সময় : রবিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৯২ জন দেখেছেন

স্টাফ রিপোর্টার, চকরিয়া:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে গত পক্ষকাল ধরে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনটি ছিলো সরগরম। রাজনৈতিক স্বতন্ত্র হিসেবে ৭জন প্রার্থী ভোটের লড়াইতে নামলেও মাত্র দুইজনকে ঘিরেই আলোচনা সীমাবদ্ধ ছিলো ভোটের মাঠ। সেই দুইজন হলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক (হাতঘড়ি) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম এমপি (ট্রাক)।
নির্বাচনি প্রচারের প্রথমাবস্থায় এমপি জাফর আলম বেশ এগিয়ে ছিলেন। সৈয়দ ইবরাহিম ‘অস্থানীয়’ হওয়ার ইস্যুটি প্রার্থী জাফর আলম বেশ ভাল ভাবেই ছড়িযে দিয়েছিলেন। সৈয়দ ইবরাহিমের বিরুদ্ধে ’অস্থানীয়’ ইস্যুটি ছাড়া অন্য কোন কথা দাড় করাতে পারেননি এমপি জাফর। যেহেতু সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি একাত্তরের রণাঙ্গণে দেশ মাতৃকার জন্য বীরত্বের সাথে লড়াই করেছেন। একারণে তিনি বীর প্রতীক খ্যাতিও পেয়েছেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল পদের কর্মকর্তা তিনি। ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তির নেপথ্যেও রয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের অসাধারণ ভুমিকা । এসব বিষয়াদি চকরিয়া-পেকুয়ার মানুষের কাছে ধীরে ধীরে পৌছে যায়। তদুপরি মানুষ একজন আস্থাভাজন ব্যক্তিকে স্থানীয় এমপি পদে পেয়ে তার প্রতি ঝুকে পড়তে শুরু করে। এরপর থেকেই উপজেলা দুইটির নির্বাচনী পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে।
অপরদিকে গত ৫ বছর ধরে এ আসনটির এমপি জাফর আলম ও তার কয়েকটি বাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতন, লুটপাট, গরুচুরি, চিংড়ি ও লবণ মাঠ দখল, নিরীহ লোকজনের জায়গা-জমি জবর দখল, বালু উত্তোলন ও পাহাড় কাটাসহ হরেক দুর্নীতির কারণে চকরিয়া-পেকুয়ার মানুষ অতীষ্ট হয়ে পড়েছে। স্থানীয় এমপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমের বিরুদ্ধে চিংড়ি ঘের, লবণ মাঠসহ ভুসম্পত্তি দখল-বেদখল, ব্যাপক দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, গরু চুরি ও দুর্বৃত্তায়ণসহ গত ৫ বছরের নানা অপকর্মের ফিরস্তি নিয়েই জমজমাট ভোটের প্রচারণা চলেছে এতদিন ধরে। খোদ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এমপি জাফর আলমের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ নিয়ে ছিলেন সোচ্চার।
এমনকি আসনটির অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বিভিন্ন প্রচারণা সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী এমপি জাফরের গত ৫ বছরের লুটপাটের চিত্রও তুলে ধরেছেন। সৈয়দ ইবরাহিম নির্বাচনী প্রচারণাকালে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেছেন-‘দেশের একটি সংসদীয় আসন কক্সবাজারের চকরিয়া-পেকুয়ায় কৃষকের গোয়াল থেকে শত শত গরু চুরির ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে একদম নির্বিঘ্নে। যা বলতেও আমি লজ্জাবোধ করছি। আর এমন জঘন্য অপরাধের কথা বিদেশীরা শুনলে আমাদের জাতি নিয়ে তাদের কেমন ধারণা হবে তাতো বুঝতেই পারছেন।’
সৈয়দ ইবরাহিম বলেন, একটি ভাল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেই তিনি নির্বাচন বিরোধী বিএনপি জোট থেকে বেরিয়ে এসেছেন। তিনি কক্সবাজার-১ চকরিয়া-পেকুয়া আসনে নির্বাচন করতে এসেছেন। এখানে নির্বাচনী মাঠে নেমেই এলাকার নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের আহাজারি শুনে তিনি রিতীমত হতবাক। দলে দলে চকরিয়া-পেকুয়ার মানুষ তাঁর (সৈয়দ ইবরাহিম) কাছে এসে বলছেন, শত শত একরের চিংড়ি ঘের এমপি জাফর আলমের লোকজন দখল করে নিয়েছেন। নিয়েছেন কারো বাড়ী-ঘর ও ভিটির জমি দখল এমনকি এমপির লোকজন গোয়ালের গরু পর্যন্ত চুরি করে নিয়েছেন। সৈয়দ ইবরাহিম জানান, চকরিয়া-পেকুয়ায় গত ৫ বছরের হরেক রকমের অপরাধজনক ঘটনা ঘটলেও এমপি জাফরের হস্তক্ষেপের কারণে পুলিশ এমপির দখলবাজ আর গরু চোরদের বিরুদ্ধে কোন মামলাও নিতে পারেনি। শুধু তাই নয়, এমপি জাফরের দখলবাজির ঘটনা এখনও অব্যাহত থাকার কথাও জানান তিনি।
চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী এ বিষয়ে জানান, খোদ চকরিয়া পৌর শহরেই এমপি জাফর আলম কমপক্ষে ৮ একরের সরকারি ও ব্যক্তিগত জমিতে অবৈধভাবে বালু ভরাট করে চলেছেন। মেয়র জানান, ৮ একরের মধ্যে সিংহ ভাগ জমি হচ্ছে সরকারের খাস ও সড়ক বিভাগের মালিকানাধীন। এ জমির বর্তমান বাজার দরের মূল্য হচ্ছে প্রায় ২৫০ (আড়াইশ কোটি) টাকা। গতকাল সরেজমিন চকরিয়া পৌর শহরের কোচ পাড়ায় গিয়ে দেখা গেছে, বাস টার্মিনাল সংলগ্ন বিশাল জলাশয়ের ভরাট কাজ চলছে মাতামুহুরী নদের বালু দিয়ে। পাশের্^র আরো একটি জমি খন্ডে চলছে এমপির নেতৃত্বে একটি বেসরকারি হাসপাতাল গড়ার কাজ।
এসব বিষয় নিয়ে চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো রাহাত উজ জামান জানিয়েছেন-‘ কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পার্শে^ই রয়েছে বিশাল জলাশয়। বর্ষাকালে পানির জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণে যদিওবা বড় ভুমিকা রাখে এটি কিন্তু তা অক্ষুন্ন রাখা গেল না। মহাসড়ক সংলগ্ন সরকারি জমি থাকায় আমার সরকারি লোকজন নিয়ে দফায় দফায় জবরদখল রোধে সেখানে গিয়ে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে বাধা দিই।’ সহকারি কমিশনার জানান, জবরদখল কোন ভাবেই থামানো যাচ্ছে না। প্রভাব প্রতিপত্তির কারণে দখল চলছে।
চকরিয়ার চিংড়ি ঘেরের জমি নিয়ে স্থানীয় চিংড়ি ঘের মালিক মামুনুল করিম বলেন-‘ এমপি জাফর আলমের দখলবাজ চক্র আমার ঘেরসহ কমপক্ষে ২ হাজার একরের ২০০ টি চিংড়ি ঘের জবর দখল করে রেখেছেন। এ পরিমাণ জমি জবর দখলে রেখে প্রতি মৌসুমে এমপি জাফর অবৈধভাবে ৫/৬ কোটি টাকা আয় করছেন।’ তিনি জানান, এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সালাউদ্দিন আহমদ ঋণখেলাপির কারণে নির্বাচন করতে পারছেন না। যদি মেজর জেনালে (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম না হয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচনের মাঠে থাকতেন তাহলে এতদিনে বহু সংখ্যক লোক খুনের শিকার হতেন।
তবে কক্সবাজার-১ আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী জাফর আলম বলেন-‘ আমি চকরিয়া পৌর এলাকার জলাশয় ভরাট করে সেখানে উপশহর গড়ে তুলছি তাতে এমন কোন অন্যায় করিনি। তিনি চিংড়ি ঘের দখলের কথাও প্রকারান্তরে স্বীকার করেন।
সরেজমিন ঘুরে চকরিয়া পৌরশহর সহ কয়েকটি ইউনিয়নের ভোটারদের সাথে আলাপ হয় এ প্রতিবেদকের। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ভোটারদের সিংহভাগই নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, চকরিয়া-পেকুয়ায় আমরা পরিবর্তন চাই। ব্যক্তি কেন্দ্রীক কর্মকান্ড থেকে বেরিয়ে সার্বজনীন কাজ করলে এবং সাধারণ মানুষের সাথে সহজে মিশবে তেমন প্রার্থীকে আমরা ভোট দেবো। এ প্রশ্নের জবাবে তাদের অভিমত স্থানীয় বহিরাগত বুঝিনা সরকার প্রধান যাকে চায় তাকে আমরা ভোট দেবো, কেননা অন্য কাউকে ভোট দিলে চকরিয়া-পেকুয়াবাসী উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হবে।
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে চকরিয়ায় আসার পর তাকে নিয়ে তেমন উত্থাপ ছিলনা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিমের হাতঘড়ির পক্ষে নিবার্চন করার ঘোষণা দিয়ে দুই উপজেলার একটি পৌরসভার ও ২৫টি ইউনিয়নে একাধিক টিমে বিভক্ত হয়ে সভা ও গণসংযোগ করায় অল্পদিনেই মধ্যে ই ইবরাহিমের পক্ষে ব্যােপক গণজোয়ার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা গণসংযোগ ও পথ সভায় বর্তমান এমপি জাফর আলমের অনিয়ম দূর্নীতির মাধ্যমে রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার ফিরিস্তি ও খুন সন্ত্রাসের তথ্য তুলে ধরায় গ্রামীণ জনপদের লোকজন ঝুঁকে পড়ে সৈয়দ ইবরাহিমের পক্ষে। জানা যায়, গত ১৬ডিসেম্বর চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে চকরিয়ায় পদার্পন হয় মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতিকের। গত ২০দিনে চকরিয়া-পেকুয়ার প্রত্যন্ত এলাকায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তিনি হাতঘড়ি মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেন। এছাড়া তিনি ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদানে উৎসাহ প্রদান করেন ভোটারদের। এতে সার্বক্ষণিক সহায়তা করেন বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, গত পাঁচবছরে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় চিংড়িঘের দখল, বনভূমি দখল, অসহায় মানুষকে প্রলোবনে ফেলে ক্রয়ের নামে জমিজমা হাতিয়ে নেওয়া, অবৈধ বালু উত্তোলন ও গরুচুরির কারণে বর্তমান সাংসদ জাফর আলমের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে মানুষ। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাফর আলমের নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে জবাব দিতে প্রস্তুত ক্ষোভ চেপে রাখা মানুষ। চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমকে ২০১৮ সালে আমরা অনেক কষ্ট করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছিলাম। মনে করেছিলাম, চকরিয়া-পেকুয়ায় ব্যাপক উন্নয়নের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর পরিক্ষিত সৈনিকরা স্বাবলম্বী হওয়ার পথ খুজে পাবে।
কিন্তু সেই আশার গুড়েবালি। নিজে সহ পরিবারের সদস্যদের আখের গুছানোর সাথে জাফর লীগ গড়ে তুলে তছনছ করেছে দুই উপজেলার আওয়ামী পরিবারকে। পরিক্ষিত মুজিব সেনারা নানা ভাবে হয়রানী নির্যাতন ও মামলার শিকার হওয়ার পাশাপাশি দলীয় পদ থেকেও বিতাড়িত করেছে জাফর আলম। তাই আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ভোটাররা পরিবর্তনে ভূমিকা রাখবে বলে সর্বমহলের বিশ্বাস। এদিকে এই দুইজন ছাড়া অল্প বিস্তর পোস্টার লাগানো, প্রচারণা চালায় জাতীয় পার্টির হোসনে আরা (লাঙ্গল) ও ওয়ার্কার্স পার্টির আবু মোহাম্মদ বশিরুল আলম (হাতুড়ি)। এছাড়াও প্রার্থী হওয়া ইসলামী ফ্রন্টের মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন (মোমবাতি), স্বতন্ত্র প্রার্থী কমরউদ্দিন (কলারছড়ি) ও এমপি পুত্র তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিন (ঈগল)। এ চারজন কোন ধরণের প্রচার প্রচারণা চালাননি বলে জানান স্থানীয় ভোটাররা।

শেয়ার করতে পারেন খবরটি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো বিভিন্ন খবর দেখুন

Sidebar Ads

ডাঃ কবীর উদ্দিন আহমদ

© All rights reserved © 2015 Dainik Cox's Bazar Ekattor
Theme Customized By MonsuR