1. coxsbazarekattorbd@gmail.com : Cox's Bazar Ekattor : Cox's Bazar Ekattor
  2. coxsekttornews@gmail.com : Balal Uddin : Balal Uddin
গরমের সুযোগে একটি ডাব বিক্রি হচ্ছে দেড়’শ টাকা, শরবতের দামও চড়া - Cox's Bazar Ekattor | দৈনিক কক্সবাজার একাত্তর
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন

গরমের সুযোগে একটি ডাব বিক্রি হচ্ছে দেড়’শ টাকা, শরবতের দামও চড়া

  • আপলোড সময় : বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
  • ২৭ জন দেখেছেন

বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজারে চলছে প্রচণ্ড দাবদাহ। অতিরিক্ত গরমে এখানকার মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। গরমের তীব্রতা থেকে স্বস্তি পেতে একটু ডাবের পানি বা কোমল পানীয় খেতে চান অনেকে। এর কারণে ডাবের চাহিদা বেড়েছে। চাহিদা বাড়ায় বড় আকারের একটি ডাবের দাম নেয়া হচ্ছে ১৫০ টাকা। মাঝারি এবং ছোট আকারের কোনো ডাব একশত টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি তীব্র গরমে গ্লাস প্রতি ২০ টাকা লেবুর শরবত বিক্রি করে কাঙ্ক্ষিত উপার্জন করছেন ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গরমে ডাবের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পাইকারি ও খুচরায় ডাবের দাম বেড়েছে। এছাড়া কক্সবাজারে ডাবের ফলন কমে যাওয়ায় অতিরিক্ত পরিবহন ভাড়ায় খুলনা, সাতক্ষীরা, রাজশাহী, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ডাব কিনে আনতে হয়। রমজানের আগে গরম কম পড়ায় ডাবের দাম কম ছিল এখন গরমের তীব্রতার কারণে একেকটি ডাবের দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে। শুধু তা-নয় লেবুর শরবতও গ্লাস প্রতি ১০ টাকা বেড়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে কক্সবাজার শহরের কলাতলী ও সুগন্ধা মোড়ে ঘুরে দেখা যায়, ডাব বিক্রিতে ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা। কলাতলীর ডাব বিক্রেতা নুর মোহাম্মদ বলেন, পাইকার থেকে বড় ও ছোট আকারের প্রতিটি ডাব একত্রে ৯৫ টাকায় কেনেন। পরে সেগুলোর আকার অনুযায়ী বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে নির্দিষ্ট দাম নির্ধারণ করা হয়।
তিনি জানান, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৪০টা ডাব বিক্রি করেছেন। বড় আকারের ডাবের দাম রাখছেন ১৫০ টাকা। মাঝারি আকারের ডাবগুলো ১৩০ ও ১২০ টাকা।
আয়ুব আলী নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, গরমের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডাবের চাহিদা বাড়ছে। তাই দামও একটু বেড়েছে। এখন যে আকারের ডাব ১৫০ টাকা বিক্রি করছেন, এক মাস আগে তা ১০০ বা ১১০ টাকা ছিল। অনেক সময় ৯০ টাকায়ও বিক্রি করেছেন। কিন্তু এখন বাজারে ডাবের যোগান কম। অনেক দূর থেকে ডাব এনে বিক্রি করতে হয়। কম দামে বিক্রি করলে লোকসান হবে। তাই দাম একটু বেশি রাখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সকাল থেকে ৬ হাজার টাকার ডাব বিক্রি করেছেন। পর্যটকরা আসছেন, ডাব কিনে খাচ্ছেন। বিক্রিও মোটামুটি হচ্ছে।
সুগন্ধা পয়েন্টের ভ্রাম্যমাণ শরবত বিক্রেতা আরিফ ও সাগর বলেন, সৈকত থেকে উঠে এসে পর্যটকরা শরবত চান। এই কয় দিনে শরবতের চাহিদা বেড়ে গেছে। আগে এক গ্লাস ১৫ টাকা বিক্রি করলেও এখন লেবুর দাম বেড়ে যাওয়ায় ২০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। লেবুর সঙ্গে বরফও কিনতে হয়। তাই শরবতের দাম একটু বেশি রাখছেন।
এদিকে বিক্রেতারা গরমের তীব্রতাকে পুঁজি করে ডাব ও শরবতের দাম বেশি রাখছে বলে পর্যটকরা অভিযোগ তোলেন।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে আসা আবু হাসিব বলেন, ‘সৈকত থেকে উঠে আসার সময় বাচ্চারা ডাব খেতে চাইল। ডাব কিনতে গিয়ে দেখি, মাঝারি আকারের ডাবের দাম বলছে ১৪০ টাকা। অথচ এই ডাব ১০০ টাকায় কিনে খেয়েছি বেশি দিন হয়নি। কী আর করার; নিরুপায় হয়ে বেশি দামে ডাব কিনে খেতে হলো।’
চাঁদপুর থেকে আসা নোমান আবদুল্লাহ বলেন, ‘তিন দিন আগে একই জায়গা থেকে ১৫ টাকা দিয়ে লেবুর শরবত কিনে খেলাম। আজ নাকি এক গ্লাস ২০ টাকা। দুই দিনের ব্যবধানে ৫ টাকা বেড়ে গেল। এসব গলাকাটা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।’

শেয়ার করতে পারেন খবরটি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো বিভিন্ন খবর দেখুন

Sidebar Ads

ডাঃ কবীর উদ্দিন আহমদ

© All rights reserved © 2015 Dainik Cox's Bazar Ekattor
Theme Customized By MonsuR