1. coxsbazarekattorbd@gmail.com : Cox's Bazar Ekattor : Cox's Bazar Ekattor
  2. coxsekttornews@gmail.com : Balal Uddin : Balal Uddin
রাজ পরিবারের বউ-শাশুড়ি কোন্দলের যত ঘটনা - Cox's Bazar Ekattor | দৈনিক কক্সবাজার একাত্তর
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৪:০৮ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
প্রবীণ আবছারের সঙ্গে পেরে উঠল না মুজিব উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি-সম্পাদকের পরাজয় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রোমেনা আক্তার বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত সদরে মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত কুতুবদিয়া উপজেলায় ব্যারিস্টার হানিফ চেয়ারম্যান নির্বাচিত ১০ ও ১১ মে দুই দিনব্যাপী কক্সবাজারে বলী খেলা ও বৈশাখী মেলা : অংশ নিচ্ছে ৩০০জন বলী সদর উপজেলা নির্বাচনে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে হেভিওয়েট দুই প্রার্থীর : বিজয়ের পথে নুরুল আবছার কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ আনারস প্রতীকের বিরুদ্ধে মোটর সাইকেল প্রার্থী নুরুল আবছারের কক্সবাজারে পাহাড়ি ছড়ায় গোসলে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু মেরিন ড্রাইভ প্রশস্তকরণ প্রকল্পে কাটা পড়বে সাড়ে ৬ হাজার গাছ

রাজ পরিবারের বউ-শাশুড়ি কোন্দলের যত ঘটনা

  • আপলোড সময় : শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৩২৬ জন দেখেছেন

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শাসনকাল অনেক ইতিহাসের সাক্ষী। অতি রক্ষণশীল রাজপরিবারের প্রতি সাধারণ মানুষের কৌতূহল অন্য দিকে। কী হয় বাকিংহাম প্যালেসের ভেতরে? কেমন করে কথা বলেন রাজপরিবারের সদস্যরা, কী খান তারা অথবা ঘরে কেমন পোশাক পরে থাকে তারা। এই সব প্রশ্ন তো রয়েছেই। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনা প্রাসাদের অন্দরমহলে জমে থাকা কেচ্ছা ও শাশুড়ি-বউমার কোন্দল নিয়ে। এলিজাবেথের মৃত্যুতে সেই বিষয়গুলো আবারো আলোচনায় উঠে আসবে- তাতে আর আশ্চর্য কী?

ডায়না ও এলিজাবেথ

পুত্রবধূর সঙ্গে কেমন রসায়ন ছিল শাশুড়ির? ১৯৯৭ সালে যখন আকস্মিক দুর্ঘটনায় ডায়নার মৃত্যু হয়, সেই সময় স্কটল্যান্ডে ছুটি কাটাচ্ছিলেন এলিজাবেথ। দুঃসংবাদ পেয়েও প্রাথমিক ভাবে লন্ডনে ফিরতে আগ্রহী ছিলেন না তিনি। ততদিনে অবশ্য ডায়না প্রাক্তন। চার্লসের সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয় ১৯৯২ সালে। ডিভোর্স হয়ে যায় ১৯৯৬ সালে। তবুও মাত্র ৩৬ বছর বয়সে তার প্রয়াণের সময় রানির এই সিদ্ধান্তে তার জনপ্রিয়তার গ্রাফ রাতারাতি অনেকটাই নামিয়ে দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তিনি মত বদলান। ডায়নাকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণও দেন। স্বীকার করে নেন, প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও হাসিখুশি থাকতে জানতেন তার প্রাক্তন পুত্রবধূ।

ইতিহাসবিদ অধ্যাপক কেট উইলিয়ামস জানাচ্ছেন, দুইজনের সম্পর্ক মন্দ ছিল না। কিন্তু দূরত্ব ছিল। সমাজসেবায় বউমার মনোযোগকে তিনি সম্মান করতেন। আবার তার খামখেয়ালি আচরণকে পছন্দও করতেন না। ডায়না কিন্তু শাশুড়িকে বরাবরই শ্রদ্ধা দেখিয়ে এসেছেন। প্রকাশ্যেই যে কোনো আহ্লাদী বউমার মতোই জানিয়েছিলেন, ‘আমার শাশুড়িই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শাশুড়ি’। এমনিতেই ডায়না মোটেই রাজপরিবারে ‘বহিরাগত’ছিলেন না। তার ভাই চার্লস স্পেনসারের ‘গডমাদার’ অর্থাৎ ধর্মমা ছিলেন তিনি। তাই ডায়নাকে পুত্রবধূ হিসেবে মানতে আপত্তি ছিল না তার। প্রথম দিকে সব ঠিকই ছিল। কিন্তু যত সময় এগিয়েছে, চার্লসের সঙ্গে ডায়নার দূরত্ব বেড়েছে, ততই যেন শীতল কাঠিন্যে ভরে গেছে ডায়না-এলিজাবেথের সম্পর্ক। ডায়নার প্রাইভেট সেক্রেটারি প্যাট্রিক জেপসনের মতে, ডায়নার আশা ছিল তাদের দাম্পত্যের ভাঙন রোধে এগিয়ে আসবেন এলিজাবেথ। কিন্তু তিনি তা করেননি। আসলে আপাত ভাবে অপছন্দ না করলেও দুইজনের কঠিন ব্যক্তিত্বই কখনো তাদের কাছাকাছি আসতে দেয়নি।

রাজ পরিবারের বউ-শাশুড়ি কোন্দলের যত ঘটনা

রাজ পরিবারের বউ-শাশুড়ি কোন্দলের যত ঘটনা

মেগান ও এলিজাবেথ

ডায়না-এলিজাবেথ নিয়ে গুঞ্জন যাই থাক, প্রকাশ্যে কিছু আসেনি। কিন্তু নাতি হ্যারির স্ত্রী মেগান মার্কেল রাজপরিবারের বিরুদ্ধে রীতিমতো ঝড় তুলে দিয়েছিলেন প্রকাশ্যে মুখ খুলে। গত বছরের মার্চে বিখ্যাত ফরাসি ম্যাগাজিন ‘শার্লি এবদো’একটা কার্টুন ছেপেছিল। যা ছাপা হয়েছিল একেবারে প্রচ্ছদে। দেখা গিয়েছিল, মেগান মার্কেলের গলায় হাঁটু চেপে বসে রয়েছেন তার দাদীশাশুড়ি রানি এলিজাবেথ। ঠিক যেভাবে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডকে মেরে ফেলেছিলেন মিনিয়াপোলিসের এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশকর্মী। ঐ কার্টুনের শিরোনাম ছিল ‘মেগান কেন বাকিংহাম প্যালেস ছেড়ে দিলেন?’ রানির হাঁটুর নিচ থেকে প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী মেগানের জবাব, ‘কারণ আমি নিশ্বাস নিতে পারছিলাম না।’এই কার্টুন নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল প্রবল। আসলে সেই সময়ই মার্কিন টক শো হোস্ট ওফ্রা উইনফ্রেকে বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন মেগান। সেখানে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড থেকে রাজপরিবার সবাইকেই একহাত নিয়েছিলেন তিনি। তার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ছিল, রাজপরিবার তাদের সন্তানের গায়ের রং নিয়ে চিন্তিত ছিল। এব্যাপারে হ্যারির সঙ্গেও আলোচনা করেছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা। আসলে মেগানের বাবা শ্বেতাঙ্গ হলেও মা ছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ। সেই কারণেই রাজপরিবারের উদ্বেগ ছিল, মেগানের সন্তান হয়তো পুরোপুরি ফরসা নাও হতে পারে। অভিমান উগরে দিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল, তিনি আর বেঁচে থাকতেই চাইছিলেন না!

তবে শুরুতে সম্পর্কটা কিন্তু ভালোই ছিল। ইতিহাসবিদ উইলিয়ামস জানাচ্ছেন, নাতি হ্যারির সঙ্গে এলিজাবেথের খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। মেগানকে নিয়েও তিনি খুশিই ছিলেন। কিন্তু ২০২০ সালে রাজপরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করেন হ্যারি-মেগান। যা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে ‘মেগজিট’ নাম পায়। এই সময় থেকেই বাকিংহাম প্যালেস ও এলিজাবেথের সঙ্গে মেগানের দূরত্ব একলাফে অনেকটাই বেড়ে যায়। যা চরম আকার নেয় বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারটির পরে। তবে প্রকাশ্যে রানি সম্পর্কে কোনো কটূকথা অবশ্য বলেননি মেগান। বরং দাদীশাশুড়িকে দেখলে তার নিজের দাদীর কথা মনে পড়ে বলেই জানিয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, দাদীর সঙ্গে মিলিয়ে নিজের মেয়ের নাম ‘লিলিবেট’ রাখেন।  সেসব দেখলে ‘শার্লি এবদো’র কার্টুনকে অতিরঞ্জন বলেই মনে হয়।

রাজ পরিবারের বউ-শাশুড়ি কোন্দলের যত ঘটনা

রাজ পরিবারের বউ-শাশুড়ি কোন্দলের যত ঘটনা

ক্যামিলা ও এলিজাবেথ

তিনি ডাচেস অফ কর্নওয়াল। চার্লস ও ডায়নার বিচ্ছেদের ‘কারণ’ ধরা হয় ক্যামিলা পার্কার বোলসকে। ডায়নার মৃত্যুর আট বছর পরে ২০০৫ সালে ক্যামিলাকে বিয়ে করেন চার্লস। এই বিয়ে মোটেই মেনে নিতে পারেননি রানি এলিজাবেথ। কিন্তু জীবনসায়াহ্নে এসে ২০২২ সালে তিনি জানিয়ে দেন, ডাচেসকে কুইন কনসর্ট হিসেবে ঘোষণায় তার আপত্তি নেই। আসলে কঠিন সময়ে ছেলে চার্লসের পাশে ক্যামিলা যেভাবে দাঁড়িয়েছিলেন, তা দেখে একেবারে শেষে এসে মন গলেছিল রানির। এলিজাবেথের মৃত্যুর পরে মসনদে চার্লস। আর ক্যামিলা হচ্ছেন নতুন রানি।

রাজ পরিবারের বউ-শাশুড়ি কোন্দলের যত ঘটনা

রাজ পরিবারের বউ-শাশুড়ি কোন্দলের যত ঘটনা

কেট মিডলটন ও এলিজাবেথ

ডাচেস অফ কেমব্রিজ কেট মিডলটনের সঙ্গে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সম্পর্ক ছিল দারুণ। ২০১১ সালে প্রিন্স উইলিয়ামসের বিয়ে হয়। তারও তিন বছর আগে পিটার ফিলিপসের বিয়ের সময়ই কেটের সঙ্গে রানির প্রথম পরিচয়। একেবারে শুরু থেকেই তাকে বেশ পছন্দ করে ফেলেছিলেন তিনি। রাজপরিবারের অভ্যন্তরীণ এক সূত্রের দাবি, রানির ধারণা ছিল তার অবর্তমানে রাজপরিবারের নানা সমস্যায় তার এই নাতি ও নাতবউ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন। তার ভরসা এতটাই ছিল, ভাষণ দেওয়ার আগে নাকি সেবিষয়ে আলোচনাও করে নিতেন কেটের সঙ্গে। এমনকী এমনো বলা হয়, এলিজাবেথ কেটের মধ্যে ভবিষ্যতের ‘রানি’কে দেখতে পেয়েছিলেন।

কিন্তু রানির মৃত্যুর পরে কেমন যেন কুয়াশা তৈরি হয়েছে তাদের সম্পর্ক নিয়ে। য়খন রাজপরিবারের সবাই স্কটল্যান্ডে দৌড়চ্ছেন, কেট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ইংল্যান্ডেই থাকছেন। তার তিন সন্তানের সঙ্গে। কেননা নতুন স্কুলে সবেমাত্র ক্লাস শুরু হয়েছে তাদের। এই অবস্থায় এখানেই থাকতে চান কেট। একথা জানার পরেই শুরু হয়েছে গুঞ্জন। তবে কি কেট ও এলিজাবেথের তথাকথিত ‘সুসম্পর্কে’র আড়ালেও ছিল কোনো ‘অন্য’ কিছু? সেই চেনা শাশুড়ি (এক্ষেত্রে দাদীশাশুড়ি) ও বউমার ঠান্ডা ‘লড়াই’? প্রশ্নগুলো সহজ নয়। উত্তর তো নয়ই।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

শেয়ার করতে পারেন খবরটি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো বিভিন্ন খবর দেখুন

Sidebar Ads

ডাঃ কবীর উদ্দিন আহমদ

© All rights reserved © 2015 Dainik Cox's Bazar Ekattor
Theme Customized By MonsuR